সু চির মামলার রায় স্থগিত

মায়ানমারে সামরিক সরকারের হাতে বন্দী নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার রায় পিছিয়েছে। গতকাল দেশটির একটি আদালত তার বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের দিন আগামী ৬ ডিসেম্বর ধার্য করেন।

সু চির বিরুদ্ধে আন্দোলন উস্কে দেয়া ও কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইন ভাঙার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার রায় হওয়ার কথা ছিল। দোষী সাব্যস্ত হলে প্রথমটিতে সর্বোচ্চ দুই বছর ও পরেরটিতে সু চির সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাদ- হতে পারে বলে জানা গেছে। সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) দলের অন্যতম নেতা ও ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্টও এসব অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন, দোষী সাব্যস্ত হলে তারও একই সাজা হতে পারে বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান।

গত ১ ফেব্রুয়ারি বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দী হন সু চি। এর এক সপ্তাহ পরে বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে রাজপথে নামে দেশটির সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন শ্রেণী, পেশার মানুষের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে। অপরদিকে, বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান নেয় জান্তা সরকার।

মায়ানমার সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১২শর মতো মানুষ নিহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে কয়েক হাজার জনকে। এরপর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বহু দেশ। এখনও দেশটিতে ঘটছে সহিংসতার ঘটনা।

বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১ , ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

সু চির মামলার রায় স্থগিত

মায়ানমারে সামরিক সরকারের হাতে বন্দী নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার রায় পিছিয়েছে। গতকাল দেশটির একটি আদালত তার বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের দিন আগামী ৬ ডিসেম্বর ধার্য করেন।

সু চির বিরুদ্ধে আন্দোলন উস্কে দেয়া ও কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইন ভাঙার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার রায় হওয়ার কথা ছিল। দোষী সাব্যস্ত হলে প্রথমটিতে সর্বোচ্চ দুই বছর ও পরেরটিতে সু চির সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত কারাদ- হতে পারে বলে জানা গেছে। সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) দলের অন্যতম নেতা ও ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্টও এসব অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন, দোষী সাব্যস্ত হলে তারও একই সাজা হতে পারে বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান।

গত ১ ফেব্রুয়ারি বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দী হন সু চি। এর এক সপ্তাহ পরে বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে রাজপথে নামে দেশটির সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন শ্রেণী, পেশার মানুষের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে। অপরদিকে, বিক্ষোভ দমনে কঠোর অবস্থান নেয় জান্তা সরকার।

মায়ানমার সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১২শর মতো মানুষ নিহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে কয়েক হাজার জনকে। এরপর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বহু দেশ। এখনও দেশটিতে ঘটছে সহিংসতার ঘটনা।