মহিউদ্দিন মোল্লা
ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাস, মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবের মাস। দেখতে দেখতে স্বাধীনতার ৫০ বছর কেটে যাচ্ছে। এবার আমরা বিজয়ী জাতি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি।
প্রতি বছর ডিসেম্বর এলেই একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গৌরব বোধ করি এই ভেবে যে, আমি এই বিজয়ের একজন অংশীদার। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের জীবনধারা পাল্টে দিয়েছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় দিনগুলো যেন এখনও স্মৃতির পাতায় অত্যন্ত সজীব।
ভাবতে অবাক লাগে, যতই দিন যাচ্ছে ততই আমরা নতুনভাবে অনুভব করি মুক্তিযুদ্ধ ছিল আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ ঘটনা। অনুভব করি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পেছনে আমাদের অপরিসীম দেশপ্রেম ও সাহসই ছিল মূল শক্তি
মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলাম নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম বলে ছাত্র রাজনীতির খুঁটিনাটি জানা ছিল। সেই সুবাদেই মুক্তিযুদ্ধে যেতে অনুপ্রাণিত হই। ভারতে গিয়ে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে নিজ এলাকা নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ থানা এলাকায় পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে অনেক অপারেশনে অংশগ্রহণ করেছি। সে সব অপারেশনে অংশগ্রহণ করে উপলব্দি করেছি অকৃত্রিম দেশপ্রেম আর অপরিমেয় সাহস ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে বিজয় সম্ভব ছিল না। সেই শক্তির ফলেই সম্ভব হয়েছে পাকিস্তানিদের পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে আনা।
ভারতে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আমরা যখন নিজ এলাকায় এসে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা অপারেশন শুরু করি, তখন আমাদের গ্রুপে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১৫ জন। তারা হলেন- আলী হোসেন (ছাত্র ও গ্রুপ কমান্ডার), আবদুল মতিন (ছাত্র, ডেপুটি কমান্ডার), কামাল হোসেন (ছাত্র), আবদুল হামিদ মোল্লা (ছাত্র), খোরশেদ আলম (ছাত্র), মহিউদ্দিন মোল্লা (ছাত্র), ফজলুল হক (ছাত্র) মফিজ উদ্দিন (ছাত্র), এহসান কবীর রমজান (ছাত্র), এসএম বদিউল আলম (ছাত্র), রোশন আলী (ছাত্র), আক্কাস আলী (ছাত্র), জয়নাল আবেদিন (চাকরিজীবী), আয়েত আলী গাজী (পরিবহন কর্মী) ও মহিউদ্দিন আহমদ (চাকরিজীবী)।
মুক্তিযুদ্ধকালে আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস এবং অর্থনৈতিক মেরুদ- ভেঙে দেয়া। সেভাবেই আমরা আমাদের অপারেশন পরিকল্পনা তৈরি করি। পাকিস্তান বাহিনী ঢাকা সেনানিবাস থেকে সৈন্য ও গোলাবারুদ নারায়ণগঞ্জ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় পাঠাতো। এজন্য আমাদের সামনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব ছিল রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া। সে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমাদের গেরিলা গ্রুপ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও আদমজী জুট মিলের মধ্যে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ার জন্য এ রেলপথে ৪টি অপারেশন করে তিনটি রেলসেতু ধ্বংস করে দেই। এ তিনটি রেলসেতু হলো ফতুল্লা রেল সেতু, দেলপাড়া রেলসেতু ও গোদনাইল জেলেপাড়া রেলসেতু। এসব সেতু ধ্বংস করার ফলে পাকিস্তান বাহিনী চরম আতঙ্কগ্রস্ত এবং মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি সম্পর্কেও ধারণা পেয়ে যায়।
নারায়ণগঞ্জ ছিল পাটের জন্য বিখ্যাত। সারাদেশের বেশিরভাগ পাট বিদেশে রপ্তানি হতো নারায়ণগঞ্জ থেকে। এ প্রেক্ষাপটে আমাদের আরেকটি পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তানিরা যাতে বিদেশে পাট রপ্তানি করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। এজন্য আমরা পাট রপ্তানি কেন্দ্র জুট মার্কেটিং করপোরেশনের গোদনাইল কেন্দ্র, কোঅপারেটিভ জুট বেলিংসহ বিভিন্ন সংস্থার গোডাউন ধ্বংস করার অপারেশন করি। এর ফলে পাট রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আমাদের আরেকটি প্রয়োজনীয় অপারেশন ছিল বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়া। আমাদের গ্রুপের গেরিলারা নারায়ণগঞ্জ-আদমজী সড়কের দুটি ট্রান্সফর্মার ধ্বংস করে দেয়। এতে বিভিন্ন কারখানাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানিরা চরম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা প্রশিক্ষণ নিতে ভারত যাওয়ার আগে আমাদের গোদনাইলে ৩ জন পাকিস্তানি সৈন্য হত্যা করা ছিল সবচেয়ে বড় ঘটনা। সে ঘটনা ছিল অত্যন্ত বীরত্বপূর্ণ। নারায়ণগঞ্জ-আদমজী প্রধান সড়কে প্রকাশ্য স্থানে হামলা করে তিন পাকিস্তান সেনাকে হত্যা করা তখন এতোটাই আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল যে, আমাদের মধ্যে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে চরম উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছিল। পাকিস্তানি সেনারা আদমজী জুট মিলের ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে এলাকায় লুটপাট থেকে শুরু করে সব ধরনের নির্যাতন করতো। একদিন সশস্ত্র তিন সৈন্য এলাকায় এসে এমন নির্যাতন শুরু করলে সবাই মিলে তাদের প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এলাকায় নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই তিন পাকিস্তানি সেনার উপর। কয়েক মিনিটের মধ্যে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তিন সেনাকে। লাশ নিয়ে ফেলে দেয়া হয় শীতলক্ষ্যা নদীতে। আমরা যেসব তরুণ সেই অপারেশনে অংশগ্রহণ করেছিলাম তাদের প্রায় সবাই পরে ভারতে চলে যাই গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য।
মুক্তিযুদ্ধে আমরা অসম সাহস নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম কোন প্রাপ্তির আশা নিয়ে নয়। আমরা দেশ পেয়েছি, স্বাধীন দেশের মানুষ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁ”ু করে দাঁড়াতে পেরেছি সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া। এজন্য আমরা গর্বিত। এই গৌরববোধ আমাদের আলোকিত করে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে।
বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১ , ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৩
মহিউদ্দিন মোল্লা
‘দেশপ্রেম ও সাহসই ছিল মূল শক্তি’ মহিউদ্দিন মোল্লা
ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাস, মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবের মাস। দেখতে দেখতে স্বাধীনতার ৫০ বছর কেটে যাচ্ছে। এবার আমরা বিজয়ী জাতি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি।
প্রতি বছর ডিসেম্বর এলেই একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গৌরব বোধ করি এই ভেবে যে, আমি এই বিজয়ের একজন অংশীদার। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের জীবনধারা পাল্টে দিয়েছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় দিনগুলো যেন এখনও স্মৃতির পাতায় অত্যন্ত সজীব।
ভাবতে অবাক লাগে, যতই দিন যাচ্ছে ততই আমরা নতুনভাবে অনুভব করি মুক্তিযুদ্ধ ছিল আমাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ ঘটনা। অনুভব করি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পেছনে আমাদের অপরিসীম দেশপ্রেম ও সাহসই ছিল মূল শক্তি
মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলাম নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম বলে ছাত্র রাজনীতির খুঁটিনাটি জানা ছিল। সেই সুবাদেই মুক্তিযুদ্ধে যেতে অনুপ্রাণিত হই। ভারতে গিয়ে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে নিজ এলাকা নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ থানা এলাকায় পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে অনেক অপারেশনে অংশগ্রহণ করেছি। সে সব অপারেশনে অংশগ্রহণ করে উপলব্দি করেছি অকৃত্রিম দেশপ্রেম আর অপরিমেয় সাহস ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে বিজয় সম্ভব ছিল না। সেই শক্তির ফলেই সম্ভব হয়েছে পাকিস্তানিদের পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে আনা।
ভারতে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আমরা যখন নিজ এলাকায় এসে পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা অপারেশন শুরু করি, তখন আমাদের গ্রুপে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১৫ জন। তারা হলেন- আলী হোসেন (ছাত্র ও গ্রুপ কমান্ডার), আবদুল মতিন (ছাত্র, ডেপুটি কমান্ডার), কামাল হোসেন (ছাত্র), আবদুল হামিদ মোল্লা (ছাত্র), খোরশেদ আলম (ছাত্র), মহিউদ্দিন মোল্লা (ছাত্র), ফজলুল হক (ছাত্র) মফিজ উদ্দিন (ছাত্র), এহসান কবীর রমজান (ছাত্র), এসএম বদিউল আলম (ছাত্র), রোশন আলী (ছাত্র), আক্কাস আলী (ছাত্র), জয়নাল আবেদিন (চাকরিজীবী), আয়েত আলী গাজী (পরিবহন কর্মী) ও মহিউদ্দিন আহমদ (চাকরিজীবী)।
মুক্তিযুদ্ধকালে আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস এবং অর্থনৈতিক মেরুদ- ভেঙে দেয়া। সেভাবেই আমরা আমাদের অপারেশন পরিকল্পনা তৈরি করি। পাকিস্তান বাহিনী ঢাকা সেনানিবাস থেকে সৈন্য ও গোলাবারুদ নারায়ণগঞ্জ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় পাঠাতো। এজন্য আমাদের সামনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব ছিল রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া। সে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমাদের গেরিলা গ্রুপ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও আদমজী জুট মিলের মধ্যে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ার জন্য এ রেলপথে ৪টি অপারেশন করে তিনটি রেলসেতু ধ্বংস করে দেই। এ তিনটি রেলসেতু হলো ফতুল্লা রেল সেতু, দেলপাড়া রেলসেতু ও গোদনাইল জেলেপাড়া রেলসেতু। এসব সেতু ধ্বংস করার ফলে পাকিস্তান বাহিনী চরম আতঙ্কগ্রস্ত এবং মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি সম্পর্কেও ধারণা পেয়ে যায়।
নারায়ণগঞ্জ ছিল পাটের জন্য বিখ্যাত। সারাদেশের বেশিরভাগ পাট বিদেশে রপ্তানি হতো নারায়ণগঞ্জ থেকে। এ প্রেক্ষাপটে আমাদের আরেকটি পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তানিরা যাতে বিদেশে পাট রপ্তানি করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। এজন্য আমরা পাট রপ্তানি কেন্দ্র জুট মার্কেটিং করপোরেশনের গোদনাইল কেন্দ্র, কোঅপারেটিভ জুট বেলিংসহ বিভিন্ন সংস্থার গোডাউন ধ্বংস করার অপারেশন করি। এর ফলে পাট রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আমাদের আরেকটি প্রয়োজনীয় অপারেশন ছিল বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়া। আমাদের গ্রুপের গেরিলারা নারায়ণগঞ্জ-আদমজী সড়কের দুটি ট্রান্সফর্মার ধ্বংস করে দেয়। এতে বিভিন্ন কারখানাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানিরা চরম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা প্রশিক্ষণ নিতে ভারত যাওয়ার আগে আমাদের গোদনাইলে ৩ জন পাকিস্তানি সৈন্য হত্যা করা ছিল সবচেয়ে বড় ঘটনা। সে ঘটনা ছিল অত্যন্ত বীরত্বপূর্ণ। নারায়ণগঞ্জ-আদমজী প্রধান সড়কে প্রকাশ্য স্থানে হামলা করে তিন পাকিস্তান সেনাকে হত্যা করা তখন এতোটাই আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল যে, আমাদের মধ্যে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে চরম উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছিল। পাকিস্তানি সেনারা আদমজী জুট মিলের ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে এলাকায় লুটপাট থেকে শুরু করে সব ধরনের নির্যাতন করতো। একদিন সশস্ত্র তিন সৈন্য এলাকায় এসে এমন নির্যাতন শুরু করলে সবাই মিলে তাদের প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এলাকায় নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই তিন পাকিস্তানি সেনার উপর। কয়েক মিনিটের মধ্যে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তিন সেনাকে। লাশ নিয়ে ফেলে দেয়া হয় শীতলক্ষ্যা নদীতে। আমরা যেসব তরুণ সেই অপারেশনে অংশগ্রহণ করেছিলাম তাদের প্রায় সবাই পরে ভারতে চলে যাই গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য।
মুক্তিযুদ্ধে আমরা অসম সাহস নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম কোন প্রাপ্তির আশা নিয়ে নয়। আমরা দেশ পেয়েছি, স্বাধীন দেশের মানুষ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁ”ু করে দাঁড়াতে পেরেছি সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া। এজন্য আমরা গর্বিত। এই গৌরববোধ আমাদের আলোকিত করে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে।