অবৈধ সম্পদ, পাপিয়া দম্পতির বিচার শুরু

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে আদালত। চার্জ গঠনের মধ্যদিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার অনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

গতকাল দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেয়। একই সঙ্গে আগামী ২২ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করে আদালত।

এদিন আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী শাখাওয়াত উল্যাহ ভূঁইয়া আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। দুদকের পক্ষ থেকে চার্জ গঠনের প্রার্থনা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ঠিক করেন।

গত ৬ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে দুদকের দেয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। ওই দিন মামলার চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৩ এ বদলির আদেশ দেন তিনি।

গত বছর ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুম ভাড়া নেন পাপিয়া। তিনি নগদে মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকা বিল পরিশোধ করেন। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার কেনাকাটা করেন পাপিয়া। এসব অর্থের কোন বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তিনি। এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালে এপ্রিল পর্যন্ত বাসা ভাড়া ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগ এক কোটি টাকা, নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগ ২০ লাখ টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকে নিজের ও স্বামীর নামে জমা রাখা ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোন বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি দুদকের অনুসন্ধানে।

অন্যদিকে, র‌্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি জব্দ করা হয়। এরও কোন বৈধ উৎস মেলেনি দুদকের অনুসন্ধানে। মোট ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়। এসব অর্থের বৈধ উৎসের দালিলিক প্রমাণ না পাওয়ায় পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১ , ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

অবৈধ সম্পদ, পাপিয়া দম্পতির বিচার শুরু

আদালত বার্তা পরিবেশক

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে আদালত। চার্জ গঠনের মধ্যদিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার অনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

গতকাল দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেয়। একই সঙ্গে আগামী ২২ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করে আদালত।

এদিন আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী শাখাওয়াত উল্যাহ ভূঁইয়া আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। দুদকের পক্ষ থেকে চার্জ গঠনের প্রার্থনা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ঠিক করেন।

গত ৬ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে দুদকের দেয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। ওই দিন মামলার চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৩ এ বদলির আদেশ দেন তিনি।

গত বছর ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুম ভাড়া নেন পাপিয়া। তিনি নগদে মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকা বিল পরিশোধ করেন। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার কেনাকাটা করেন পাপিয়া। এসব অর্থের কোন বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তিনি। এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালে এপ্রিল পর্যন্ত বাসা ভাড়া ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগ এক কোটি টাকা, নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগ ২০ লাখ টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকে নিজের ও স্বামীর নামে জমা রাখা ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোন বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি দুদকের অনুসন্ধানে।

অন্যদিকে, র‌্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি জব্দ করা হয়। এরও কোন বৈধ উৎস মেলেনি দুদকের অনুসন্ধানে। মোট ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়। এসব অর্থের বৈধ উৎসের দালিলিক প্রমাণ না পাওয়ায় পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।