দেড় মাস গ্যাস সংকটের আশঙ্কা

সরবরাহকারী জাহাজের মুরিং লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর ফলে সারাদেশে গ্যাস ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই ত্রুটি সারতে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। গতকাল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মুরিং হলো এমন স্থায়ী কাঠামো, যেখানে কোন জাহাজ বাঁধা অবস্থায় সুরক্ষিত থাকে। এই লাইন ছিঁড়ে গেলে জাহাজ থেকে জাহাজে গ্যাস সরবরাহে সমস্যা হয়। জানা গেছে, সামিট এলএনজি টার্মিনালের একটি মুরিং লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় জাহাজ থেকে জাহাজে এলএনজি পরিবহন করা সম্ভব হবে না। ফলে এলএনজি সরবরাহে বিঘœ ঘটবে। আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এই ত্রুটি মেরামত বা পুনঃস্থাপন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। তবে আমদানিকৃত এলএনজি থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ এমএমসিএফ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।

বর্তমানে দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা রয়েছে চার হাজার এমএমসিএল (মিলিয়ন ঘনফুট)। পেট্রোবাংলা প্রতিদিন তিন হাজার ১০০ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ করে। এর মধ্যে এলএনজি আমদানির মাধ্যমে সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ করা হয়। বাকিটা দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন হয়।

এদিকে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ গ্যাস সরবরাহে বিঘœ সৃষ্টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে এবং প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১ , ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

দেড় মাস গ্যাস সংকটের আশঙ্কা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সরবরাহকারী জাহাজের মুরিং লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর ফলে সারাদেশে গ্যাস ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই ত্রুটি সারতে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। গতকাল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মুরিং হলো এমন স্থায়ী কাঠামো, যেখানে কোন জাহাজ বাঁধা অবস্থায় সুরক্ষিত থাকে। এই লাইন ছিঁড়ে গেলে জাহাজ থেকে জাহাজে গ্যাস সরবরাহে সমস্যা হয়। জানা গেছে, সামিট এলএনজি টার্মিনালের একটি মুরিং লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় জাহাজ থেকে জাহাজে এলএনজি পরিবহন করা সম্ভব হবে না। ফলে এলএনজি সরবরাহে বিঘœ ঘটবে। আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এই ত্রুটি মেরামত বা পুনঃস্থাপন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। তবে আমদানিকৃত এলএনজি থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ এমএমসিএফ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।

বর্তমানে দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা রয়েছে চার হাজার এমএমসিএল (মিলিয়ন ঘনফুট)। পেট্রোবাংলা প্রতিদিন তিন হাজার ১০০ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ করে। এর মধ্যে এলএনজি আমদানির মাধ্যমে সাড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ করা হয়। বাকিটা দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন হয়।

এদিকে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ গ্যাস সরবরাহে বিঘœ সৃষ্টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে এবং প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।