ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা ও ইসি’র দাবি

আগের দুই দফার মতো সংঘাত-সংঘর্ষ আর প্রাণহানির ঘটনার মধ্যদিয়ে তৃতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হয়েছে গত রোববার। ভোটের আগে যেমন, পরেও তেমন সংঘাত-সংঘর্ষ হয়েছে। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিন দফায় ৬৫ জন মারা গেছে।

ইউপি নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষ বা অনিয়মের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোন হেলদোল আছে বলে মনে হয় না। নির্বাচনে মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটছে, কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু ইসি কখনও একে ‘উৎসবমুখর’ আবার কখনও ‘মডেল’ নির্বাচন বলে দাবি করছে। তাদের দাবি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কি না সেটা ভেবে দেখার প্রয়োজন তার বোধ করে না।

ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা ও প্রাণহানি প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘ঘরে ঘরে, মহল্লায় মহল্লায় পুলিশ দিয়ে পাহারা দিয়ে এ জাতীয় অপ্রীতিকর ঘটনা থামানো যায় না।’ আমরা জানতে চাইব যে, ভোটকেন্দ্রগুলো পাহারা দিয়ে রাখা যায় কি না। একজনের ভোট আরেকজনের দিয়ে দেয়া, কোন ভোটারকে তার পছন্দমতো ভোট দিতে না দেয়া, বুথ বা কেন্দ্র দখলের ঘটনায় ইসি কী ব্যবস্থা নিতে পারে আর তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা জানা দরকার। ইউপি নির্বাচন নিয়ে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার কোন অভিযোগ কি ইসি তদন্ত করে দেখছে?

পাহারা দিয়ে সংঘাত-সহিংসতা থামানো যায় না বলে হাল ছেড়ে দেয়া দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়। ইসিকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার আইনি ক্ষমতার সর্Ÿোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনী দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কি না সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ইসির। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা, ভোটের আগে হুঁশিয়ারি দেয়া এবং ভোটের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করার গৎবাঁধা ভূমিকা থেকে তাদের বের হয়ে আসতে হবে।

বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১ , ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৩

ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা ও ইসি’র দাবি

আগের দুই দফার মতো সংঘাত-সংঘর্ষ আর প্রাণহানির ঘটনার মধ্যদিয়ে তৃতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হয়েছে গত রোববার। ভোটের আগে যেমন, পরেও তেমন সংঘাত-সংঘর্ষ হয়েছে। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিন দফায় ৬৫ জন মারা গেছে।

ইউপি নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষ বা অনিয়মের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোন হেলদোল আছে বলে মনে হয় না। নির্বাচনে মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটছে, কেন্দ্র দখল ও ভোট কারচুপির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু ইসি কখনও একে ‘উৎসবমুখর’ আবার কখনও ‘মডেল’ নির্বাচন বলে দাবি করছে। তাদের দাবি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কি না সেটা ভেবে দেখার প্রয়োজন তার বোধ করে না।

ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা ও প্রাণহানি প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘ঘরে ঘরে, মহল্লায় মহল্লায় পুলিশ দিয়ে পাহারা দিয়ে এ জাতীয় অপ্রীতিকর ঘটনা থামানো যায় না।’ আমরা জানতে চাইব যে, ভোটকেন্দ্রগুলো পাহারা দিয়ে রাখা যায় কি না। একজনের ভোট আরেকজনের দিয়ে দেয়া, কোন ভোটারকে তার পছন্দমতো ভোট দিতে না দেয়া, বুথ বা কেন্দ্র দখলের ঘটনায় ইসি কী ব্যবস্থা নিতে পারে আর তারা কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা জানা দরকার। ইউপি নির্বাচন নিয়ে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার কোন অভিযোগ কি ইসি তদন্ত করে দেখছে?

পাহারা দিয়ে সংঘাত-সহিংসতা থামানো যায় না বলে হাল ছেড়ে দেয়া দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়। ইসিকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার আইনি ক্ষমতার সর্Ÿোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনী দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কি না সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ইসির। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা, ভোটের আগে হুঁশিয়ারি দেয়া এবং ভোটের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করার গৎবাঁধা ভূমিকা থেকে তাদের বের হয়ে আসতে হবে।