নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী মংলা সমুদ্র বন্দরের পশুর চ্যানেলে বাল্কহেডে আমদানি পণ্য পরিবহন করা নিষিদ্ধ। অথচ এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বছরের পর বছর ধরে বাল্কহেডেই চলছে পণ্য পরিবহন। এর ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সার, কয়লা, ক্লিঙ্কার ইত্যাদি নিয়ে নৌযান ডুবির ঘটনায় নদ-নদীর পরিবেশ নিয়েও উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা। এ নিয়ে গত সোমবার গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী বাল্কহেড বালু ও ইট ছাড়া অন্য কোন পণ্য পরিবহন করতে পারবে না। ১৬ হর্স পাওয়ারের নিচের এবং এক হ্যাচবিশিষ্ট বাল্কহেড পণ্য পরিবহনের জন্য অনুপযুক্ত। তাছাড়া এ ধরনের নৌযানের নৌপথে চলাচলের জন্য যান্ত্রিক বার্তা আদান-প্রদানে নিজস্ব কোন ব্যবস্থা নেই। এসব কারণে ঝুঁকি থাকায় পশুর চ্যানেলে বাল্কহেডে পণ্য পরিবহন কঠোরভাবেই নিষিদ্ধ। তবে কঠোরতা শুধুই কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। বাল্কহেডের মাধ্যমে সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে আমদানি পণ্য দেশের নানা প্রান্তে পরিবহন করা চলছেই।
অভিযোগ রয়েছে, পরিবহন খরচ কম হওয়ায় একশ্রেণীর অসাধু পরিবহন ঠিকাদার সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে দিনের পর দিন বাল্কহেডে পণ্য পরিবহন করছে। এতে প্রভাবশালী একটি মহলের নেপথ্য সহযোগিতা আছে বলেও জানা যায়।
বাল্কহেড চলাচল বন্ধে সরকারের কোন সংস্থা বা কর্তৃপক্ষই দায় নিতে চাচ্ছে না। এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষেরে ওপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছে। তাদের দায় চাপানোর খেলা আর সমন্বয়হীনতার সুযোগ নিচ্ছে স্বার্থান্বেষীরা।
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল দিয়ে অবৈধ বাল্কহেডে পণ্য পরিবহন বন্ধ করা দরকার। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। পরস্পরের ওপর দায় চাপালে চলবে না। তাদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১ , ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৩
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী মংলা সমুদ্র বন্দরের পশুর চ্যানেলে বাল্কহেডে আমদানি পণ্য পরিবহন করা নিষিদ্ধ। অথচ এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বছরের পর বছর ধরে বাল্কহেডেই চলছে পণ্য পরিবহন। এর ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সার, কয়লা, ক্লিঙ্কার ইত্যাদি নিয়ে নৌযান ডুবির ঘটনায় নদ-নদীর পরিবেশ নিয়েও উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা। এ নিয়ে গত সোমবার গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী বাল্কহেড বালু ও ইট ছাড়া অন্য কোন পণ্য পরিবহন করতে পারবে না। ১৬ হর্স পাওয়ারের নিচের এবং এক হ্যাচবিশিষ্ট বাল্কহেড পণ্য পরিবহনের জন্য অনুপযুক্ত। তাছাড়া এ ধরনের নৌযানের নৌপথে চলাচলের জন্য যান্ত্রিক বার্তা আদান-প্রদানে নিজস্ব কোন ব্যবস্থা নেই। এসব কারণে ঝুঁকি থাকায় পশুর চ্যানেলে বাল্কহেডে পণ্য পরিবহন কঠোরভাবেই নিষিদ্ধ। তবে কঠোরতা শুধুই কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। বাল্কহেডের মাধ্যমে সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে আমদানি পণ্য দেশের নানা প্রান্তে পরিবহন করা চলছেই।
অভিযোগ রয়েছে, পরিবহন খরচ কম হওয়ায় একশ্রেণীর অসাধু পরিবহন ঠিকাদার সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে দিনের পর দিন বাল্কহেডে পণ্য পরিবহন করছে। এতে প্রভাবশালী একটি মহলের নেপথ্য সহযোগিতা আছে বলেও জানা যায়।
বাল্কহেড চলাচল বন্ধে সরকারের কোন সংস্থা বা কর্তৃপক্ষই দায় নিতে চাচ্ছে না। এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষেরে ওপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছে। তাদের দায় চাপানোর খেলা আর সমন্বয়হীনতার সুযোগ নিচ্ছে স্বার্থান্বেষীরা।
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল দিয়ে অবৈধ বাল্কহেডে পণ্য পরিবহন বন্ধ করা দরকার। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। পরস্পরের ওপর দায় চাপালে চলবে না। তাদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।