শেরপুর শহীদিয়া আলীয়া কামিল মাদরাসার পুরাতন বিজ্ঞান ভবন টেন্ডার ছাড়া ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে।
শেরপুরের প্রাণকেন্দ্রে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরবর্তী প্রায় ২২ বিঘা সম্পত্তির ওপরে ইতিহাসের পীঠস্থানে ১৯৩৭ সালে শেরপুর শহীদিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসাটি স্থািপত হয়। এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত শেরপুর আলিয়া মাদরাসার নামে প্রায় ৫২ একর সম্পত্তি সে সময় মানুষ দান করেন। সম্প্রতি শেরপুর আলিয়া মাদরাসার একটি বিজ্ঞান ভবন টেন্ডার ছাড়া ভাংচুর শুরু হলে বিষয়টি অনেকের নজরে আসে।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান জানান, ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল এ ব্যাপারে প্রথম মিটিং হয়। সে সময় মাদরাসার সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান। এরপর সরকারি বিধান মতে, শেরপুর আলিয়া মাদরাসার নতুন সভাপতি নিযুক্ত হন বগুড়া জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন।
নিলুফা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের বলেন, আমি সভাপতি নিযুক্ত হলেও এ ধরনের ভাংচুর অথবা নতুন বিল্ডিং নির্মাণের বিষয়ে আমার জানা নাই। প্রতিষ্ঠানের অর্থ ব্যয় হলে অবশ্যই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির জানার কথা। কিন্তু কেন জানানো হয়নি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ওই মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির অন্যতম সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, আমার জানা মতে রেজুলেশন আছে। কিন্ত টেন্ডার ছাড়া বিল্ডিং ভাংচুরের বিষয়টি আমার জানা নেই। একই ধরনের মন্তব্য করেন কমিটির সদস্য রেজাউল করিম মজনু।
শেরপুর আলিয়া মাদরাসার প্রচুর টাকার সম্পদ যুগে যুগে উন্নয়নের নামে লুটপাটের অভিযোগ আছে। ইতোপূর্বে আলিয়া মাদরাসার নামে থাকা খন্দকার টোলা মৌজার ৫ বিঘা জমি নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা হয়। এরপর ২০ বিঘা সম্পত্তি মাদরাসার নামে ক্রয় করার দাবি করা হলেও তার সত্যতা মেলেনি।
অধ্যক্ষ আরও জানান, পুরাতন ভবনের স্থানে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫ তলা ভবনের ভিত্তি দেয়া হবে। তবে বিল্ডিং নির্মাণের কোন কমিটি বা প্ল্যান পাস করা হয়নি এখনও।
মঙ্গলবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ , ২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৮
প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)
শেরপুর শহীদিয়া আলীয়া কামিল মাদরাসার পুরাতন বিজ্ঞান ভবন টেন্ডার ছাড়া ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে।
শেরপুরের প্রাণকেন্দ্রে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরবর্তী প্রায় ২২ বিঘা সম্পত্তির ওপরে ইতিহাসের পীঠস্থানে ১৯৩৭ সালে শেরপুর শহীদিয়া আলিয়া কামিল মাদরাসাটি স্থািপত হয়। এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত শেরপুর আলিয়া মাদরাসার নামে প্রায় ৫২ একর সম্পত্তি সে সময় মানুষ দান করেন। সম্প্রতি শেরপুর আলিয়া মাদরাসার একটি বিজ্ঞান ভবন টেন্ডার ছাড়া ভাংচুর শুরু হলে বিষয়টি অনেকের নজরে আসে।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান জানান, ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল এ ব্যাপারে প্রথম মিটিং হয়। সে সময় মাদরাসার সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান। এরপর সরকারি বিধান মতে, শেরপুর আলিয়া মাদরাসার নতুন সভাপতি নিযুক্ত হন বগুড়া জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন।
নিলুফা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের বলেন, আমি সভাপতি নিযুক্ত হলেও এ ধরনের ভাংচুর অথবা নতুন বিল্ডিং নির্মাণের বিষয়ে আমার জানা নাই। প্রতিষ্ঠানের অর্থ ব্যয় হলে অবশ্যই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির জানার কথা। কিন্তু কেন জানানো হয়নি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ওই মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির অন্যতম সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, আমার জানা মতে রেজুলেশন আছে। কিন্ত টেন্ডার ছাড়া বিল্ডিং ভাংচুরের বিষয়টি আমার জানা নেই। একই ধরনের মন্তব্য করেন কমিটির সদস্য রেজাউল করিম মজনু।
শেরপুর আলিয়া মাদরাসার প্রচুর টাকার সম্পদ যুগে যুগে উন্নয়নের নামে লুটপাটের অভিযোগ আছে। ইতোপূর্বে আলিয়া মাদরাসার নামে থাকা খন্দকার টোলা মৌজার ৫ বিঘা জমি নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা হয়। এরপর ২০ বিঘা সম্পত্তি মাদরাসার নামে ক্রয় করার দাবি করা হলেও তার সত্যতা মেলেনি।
অধ্যক্ষ আরও জানান, পুরাতন ভবনের স্থানে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫ তলা ভবনের ভিত্তি দেয়া হবে। তবে বিল্ডিং নির্মাণের কোন কমিটি বা প্ল্যান পাস করা হয়নি এখনও।