বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যার রায় দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকরের দাবি জানিয়েছে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পলাতক তিনজনকেও দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তারা।
রায় ঘোষণা পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থী এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, আবরার ফাহাদকে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে সারারাত নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আমরা, বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা, গুরু থেকেই এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলাম এবং একই সঙ্গে বিজ্ঞ আদালতের প্রতি আস্থাশীল ছিলাম। রায়ে চার্জশিটভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আমরা মনে করি, এই রায়ের মাধ্যমে সবার আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা এই রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি এবং আবরারের পরিবারের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আশাবাদ ব্যাক্ত করছি যে, এই রায় শেষ পর্যন্ত বহাল থাকবে এবং এই রায় বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। একই সঙ্গে আমাদের প্রত্যাশা, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র শিক্ষক কাউকেই যেন রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির বলি না হতে হয় এবং সব ক্ষেত্রে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ৩ জন (এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মুজতবা রাফিদ, মোর্শেদ- উজ- জামান মণ্ডল জিসান) এখনো পলাতক। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, পলাতক ৩ জনকে দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনা হোক।
আবরারের চাচা মোফাজ্জল হোসেন সংবাদকে বলেন, বিচার বিভাগের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা চাই এই রায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হোক। পাশাপাশি আর কোন সন্তানকে যেন এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার না হতে হয় সেটি আমাদের প্রত্যাশা থাকবে।
বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ৪ জমাদিউল আউয়াল
ঢাবি প্রতিনিধি
বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যার রায় দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকরের দাবি জানিয়েছে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পলাতক তিনজনকেও দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তারা।
রায় ঘোষণা পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থী এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, আবরার ফাহাদকে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে সারারাত নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আমরা, বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা, গুরু থেকেই এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলাম এবং একই সঙ্গে বিজ্ঞ আদালতের প্রতি আস্থাশীল ছিলাম। রায়ে চার্জশিটভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আমরা মনে করি, এই রায়ের মাধ্যমে সবার আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা এই রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি এবং আবরারের পরিবারের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আশাবাদ ব্যাক্ত করছি যে, এই রায় শেষ পর্যন্ত বহাল থাকবে এবং এই রায় বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। একই সঙ্গে আমাদের প্রত্যাশা, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র শিক্ষক কাউকেই যেন রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির বলি না হতে হয় এবং সব ক্ষেত্রে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ৩ জন (এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মুজতবা রাফিদ, মোর্শেদ- উজ- জামান মণ্ডল জিসান) এখনো পলাতক। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, পলাতক ৩ জনকে দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনা হোক।
আবরারের চাচা মোফাজ্জল হোসেন সংবাদকে বলেন, বিচার বিভাগের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা চাই এই রায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হোক। পাশাপাশি আর কোন সন্তানকে যেন এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার না হতে হয় সেটি আমাদের প্রত্যাশা থাকবে।