ছেলের খুনিদের ফাঁসির রায় শুনে অঝোরে কাঁদলেন আবরার ফাহাদের বাবা মামলার বাদী বরকত উল্লাহ। গতকাল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রায় শোনার পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, আদালতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। উচ্চ আদালতে যেন এই রায় বহাল থাকে। এ সময় এই রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, এখানো শেষ রাতে ঘুম ভেঙে যায়, ছেলেটার কথা মনে পড়ে। সারা জীবনই মনে পড়বে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বরকতুল্লাহ বলেন, আমার ছেলেটা কখনো শিবির করেনি। অথচ ওকে শিবির বলে পিটিয়ে মারল।
এদিকে, ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের ফাঁসির রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে তার মা রোকেয়া খাতুন ও ছোট ভাই আবরায় ফাইয়াজ। তবে যে পাঁচজনের যাবজ্জীবন দণ্ড হয়েছে তাদেরও ফাঁসি চান তারা।
কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের বাসায় রায় ঘোষণার খবর টিভিতে দেখে ও ঢাকা থেকে আবরারের বাবার বরকত উল্লাহর কাছ থেকে মোবাইল ফোনে রায় ঘোষণার খবর পায় রোকেয়া খাতুন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আবরার আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝত না। আমার ছেলেকে ওরা কীভাবে পিটিয়ে মারলো। ওরা এত ব্যথা দিয়ে কষ্ট দিয়ে মারলো ছেলেটাকে। বেটার মৃত্যুর পর আমি শুধু আল্লাহর কাছে বলেছি, আল্লাহ তুমি এই হত্যার বিচার করো।
তিনি আরও বলেন, ২০ জনের ফাঁসির রায়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে, অমিত সাহা যেসব সময় নির্দেশ দিয়েছে আরও পিটাও। তার কেন ফাঁসি হলো না? রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। যেদিন রায় কার্যকর হবে সেদিনই মনে করব, আমার ছেলের বিচার হলো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, অমিত সাহারও ফাঁসি চাই। তিনি বলেন, করোনাসহ নানা কারণে রায় অনেক পিছিয়ে গেছে। এখন যেন স্বল্প সময়ে কার্যকর হয়।
বেলা ১১টার পর থেকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কে আবরার ফাহাদের বাড়িতে গণমাধ্যমকর্মীরা ভিড় করতে থাকেন। তখন বাড়িতে ছিলেন না আবরারের মা ও ভাই। ছেলেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন মা। ফাইয়াজ এবার কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষা শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় বাড়ি ফেরেন তারা।
আবরার ফাহাদের ভাই আবরায় ফাইয়াজ বলেন, অমিত সাহা ফোনে বলেছিল আরও দুই ঘণ্টা পেটানো যাবে। সে উপস্থিত না থাকলেও নির্দেশদাতা ছিল। আমরা তারও ফাঁসির রায় হবে এমনটি চেয়েছিলাম। তবে, ২০ জনের ফাঁসির রায় হয়েছে আমরা সন্তুষ্ট। পুরো রায় দেখে পর্যালোচনা করে আমরা আমাদের বক্তব্য জানাবো। রায় ঘোষণার আগে থেকেই বাসায় উদ্বিগ্ন ছিলেন আবরারের মা-ভাই। গ্রামের বাি থেকে এসেছেন আত্মীয়-স্বজনেরা। সবাই রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ৪ জমাদিউল আউয়াল
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
ছেলের খুনিদের ফাঁসির রায় শুনে অঝোরে কাঁদলেন আবরার ফাহাদের বাবা মামলার বাদী বরকত উল্লাহ। গতকাল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রায় শোনার পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, আদালতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। উচ্চ আদালতে যেন এই রায় বহাল থাকে। এ সময় এই রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, এখানো শেষ রাতে ঘুম ভেঙে যায়, ছেলেটার কথা মনে পড়ে। সারা জীবনই মনে পড়বে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বরকতুল্লাহ বলেন, আমার ছেলেটা কখনো শিবির করেনি। অথচ ওকে শিবির বলে পিটিয়ে মারল।
এদিকে, ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের ফাঁসির রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে তার মা রোকেয়া খাতুন ও ছোট ভাই আবরায় ফাইয়াজ। তবে যে পাঁচজনের যাবজ্জীবন দণ্ড হয়েছে তাদেরও ফাঁসি চান তারা।
কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের বাসায় রায় ঘোষণার খবর টিভিতে দেখে ও ঢাকা থেকে আবরারের বাবার বরকত উল্লাহর কাছ থেকে মোবাইল ফোনে রায় ঘোষণার খবর পায় রোকেয়া খাতুন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আবরার আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝত না। আমার ছেলেকে ওরা কীভাবে পিটিয়ে মারলো। ওরা এত ব্যথা দিয়ে কষ্ট দিয়ে মারলো ছেলেটাকে। বেটার মৃত্যুর পর আমি শুধু আল্লাহর কাছে বলেছি, আল্লাহ তুমি এই হত্যার বিচার করো।
তিনি আরও বলেন, ২০ জনের ফাঁসির রায়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে, অমিত সাহা যেসব সময় নির্দেশ দিয়েছে আরও পিটাও। তার কেন ফাঁসি হলো না? রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। যেদিন রায় কার্যকর হবে সেদিনই মনে করব, আমার ছেলের বিচার হলো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, অমিত সাহারও ফাঁসি চাই। তিনি বলেন, করোনাসহ নানা কারণে রায় অনেক পিছিয়ে গেছে। এখন যেন স্বল্প সময়ে কার্যকর হয়।
বেলা ১১টার পর থেকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কে আবরার ফাহাদের বাড়িতে গণমাধ্যমকর্মীরা ভিড় করতে থাকেন। তখন বাড়িতে ছিলেন না আবরারের মা ও ভাই। ছেলেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন মা। ফাইয়াজ এবার কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষা শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় বাড়ি ফেরেন তারা।
আবরার ফাহাদের ভাই আবরায় ফাইয়াজ বলেন, অমিত সাহা ফোনে বলেছিল আরও দুই ঘণ্টা পেটানো যাবে। সে উপস্থিত না থাকলেও নির্দেশদাতা ছিল। আমরা তারও ফাঁসির রায় হবে এমনটি চেয়েছিলাম। তবে, ২০ জনের ফাঁসির রায় হয়েছে আমরা সন্তুষ্ট। পুরো রায় দেখে পর্যালোচনা করে আমরা আমাদের বক্তব্য জানাবো। রায় ঘোষণার আগে থেকেই বাসায় উদ্বিগ্ন ছিলেন আবরারের মা-ভাই। গ্রামের বাি থেকে এসেছেন আত্মীয়-স্বজনেরা। সবাই রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।