বিশ্বজুড়ে মানুষের আয় এবং সম্পদের ক্রমবর্ধমান বৈষম্যবিষয়ক এক সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্যারিস স্কুল অব ইকোনমিকস। অবস্থিত ?ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব। ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি রিপোর্ট ২০২২ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত এবং চীনসহ বিশ্বের ৩০ দেশের বৈষম্য পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে ভারত দরিদ্র এবং চরম অসাম্যের দেশ বলে দাবি করা হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব’-এর প্রকাশ করা বিশ্ব অসাম্য রিপোর্টে।
দারিদ্র্য ও অসাম্য; দুটিই এখন ভারতে প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির এক শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে ২২ শতাংশ সম্পদ। এমনকি ভারতের সমাজ ব্যবস্থার নিচের সারিতে বসবাস করা অর্ধেক মানুষের হাতে দেশের সম্পদের প্রায় কিছুই নেই বলেও জানানো হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই। এছাড়া দেশটির ১০ শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে ৫৭ শতাংশ সম্পদ। অন্যদিকে, কানাডার শীর্ষ ১০ শতাংশ মানুষের উপার্জন নিচুতলার ৫০ শতাংশ মানুষের তুলনায় ১৩ গুণ বেশি। ভারতের দরিদ্র মানুষের হাতে সম্পদের প্রায় কিছুই না থাকলেও দেশটির ধনীরা অত্যন্ত ধনী হয়ে উঠেছেন। ২০২১ সালে ভারতের মোট আয়ের পাঁচ ভাগের এক ভাগই চলে গেছ দেশটির ওপরের সারির এক শতাংশ মানুষের হাতে। অথচ ৫০ শতাংশ মানুষকে দেশের মোট আয়ের মাত্র ১৩ শতাংশ নিয়েই দিন কাটাতে হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রয়ক্ষমতার তুলনার নিরিখে ভারতের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় বছরে ২ লাখ ৪ হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু আয়ের দিক থেকে নিচের সারির অর্ধেক মানুষের গড় আয় মাত্র ৫৩ হাজার ৬১০ টাকা। ওপরের সারির ১০ শতাংশ মানুষের আয় তার প্রায় ২০ গুণ। ১১ লাখ ৬৬ হাজার ৫২০ টাকা। সম্পদের ক্ষেত্রে অসাম্যের মাত্রা আরও বেড়েছে। ভারতের পরিবারভিত্তিক গড় সম্পদের পরিমাণ ৯ লাখ ৮৩ হাজার ১০ টাকা। কিন্তু সমাজের নিচু স্তরের ৫০ শতাংশ পরিবারের গড় সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৬৬ হাজার ২৮০ টাকা। এছাড়া ওপরের সারির বা অতিধনী ১ শতাংশ বা ১০ শতাংশ পরিবারের তুলনায় মধ্যবিত্তও যথেষ্ট গরিব। অতি ধনী ১০ শতাংশ পরিবারের গড় সম্পদের পরিমাণ ৬৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকার বেশি। একই ক্যাটাগরির ১ শতাংশ পরিবারের গড় সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকার বেশি। সেই তুলনায় মধ্যবিত্ত পরিবারের গড় সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৭ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকা।
ভারতে লিঙ্গবৈষম্যও চরম আকার ধারণ করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। মোট আয়ে নারী শ্রমিক-কর্মীদের ভাগ মাত্র ১৮ শতাংশ। এই হার সারা বিশ্বের মধ্যেই ভারতে বেশ কম। পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোতে নারীদের আয়ের ভাগ ১৫ শতাংশ। অন্যদিকে চীন ছাড়া এশিয়ার দেশগুলোতে এই হার ২১ শতাংশ। অবশ্য বিশ্বজুড়েই বেড়েছে সম্পদের অসমতা। রিপোর্টে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বিশ্বব্যাপী ‘বিলিয়নিয়ার’ বা কোটিপতিদের সম্পদের পরিমাণ আরও বেড়েছে।
সম্প্রতি দারিদ্র, অর্থনৈতিক অসাম্য ও লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফ্রান্সের প্যারিস স্কুল অফ ইকোনোমিক্স-এ অবস্থিত ‘ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব’। এ রিপোর্ট তৈরিতে অন্যান্য অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন ফ্রান্সের অর্থনীতিবিদ টমাস পিকেটি ও সংস্থাটির সহ-পরিচালক লুকাস চান্সেল। রিপোর্টের শুরুতে নোবেলজয়ী দুই অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক ও এস্থার ডুফলো লিখেছেন, অসাম্য চরম পর্যায়ে থাকা বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ভারত রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাবের সহ-পরিচালক ও সমীক্ষা প্রতিবেদনের প্রধান লেখক লুকাস চ্যান্সেল এবং ফরাসি অর্থনীতিবিদ থমাস পিকেটিসহ সমাজবিজ্ঞানীদের একটি নেটওয়ার্ক ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। এতে বলা হয়েছে, ১৯৮০’র দশক থেকে বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই আয় এবং সম্পদের বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধারাবাহিক নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং উদার কর্মসূচির কারণে এই বৈষম্য আরও প্রকোট হয়েছে। বিশ্ব বৈষম্য প্রতিবেদনে ঠাঁই না পেলেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত নয় বাংলাদেশও। চলতি বছরের জাতিসংঘের বিশ্ব মানব উন্নয়ন সূচকে ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৩৩তম অবস্থানে রয়েছে। সেই সূচকে বলা হয়েছে, নিচের ৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর হাতে মোট সম্পদের মাত্র ২১ শতাংশ রয়েছে। অন্যদিকে, সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ২৭ শতাংশ সম্পদ।
ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছর কোভিড সঙ্কটে বিশ্বজুড়েই কোটিপতিদের সম্পদের পরিমাণ আরও বেড়েছে। বিশ্বের মাত্র ২ হাজার ৭৫০ জন অতিধনীর হাতে এখন পৃথিবীর ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পদ রয়েছে।
১৯৯৫ সালে তাদের হাতে বিশ্বের ১ শতাংশ সম্পদ ছিল। মহামারীর সময়ে ধনীরা আরও ফুলেফেঁপে ওঠায় নিচের সারির অর্ধেক মানুষের কাছে ধনীদের তুলনায় মাত্র ২ শতাংশ সম্পদ রয়েছে। লুকাস চ্যান্সেল বলেছেন, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে অতিধনী এবং বাকি জনগোষ্ঠীর মাঝে সম্পদের বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেছেন, ধনী দেশগুলোতে সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে দারিদ্রের ভয়াবহ উত্থান প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।
কিন্তু সেই চিত্র বিশ্বের দারিদ্র দেশগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। দারিদ্রের বিরুদ্ধে সামাজিক অবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরছে এই চিত্র।
প্যারিস স্কুল অব ইকোনোমিকসে অবস্থিত ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাবের এই রিপোর্ট তৈরিতে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন ফ্রান্সের অর্থনীতিবিদ টমাস পিকেটি।
বিশ্বের মাত্র ২ হাজার ৭৫০ জন বিলিয়নিয়ারের হাতে এখন পৃথিবীর ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পদ। ১৯৯৫ সালে তাদের হাতে বিশ্বের ১ শতাংশ সম্পদ ছিল। করোনা মহামারীর সময়ই ধনীরা আরও ধনী হয়ে উঠেছেন। নিচের সারির অর্ধেক মানুষের কাছে এই ধনীদের তুলনায় মাত্র ২ শতাংশ সম্পদ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ৪ জমাদিউল আউয়াল
বিশ্বজুড়ে মানুষের আয় এবং সম্পদের ক্রমবর্ধমান বৈষম্যবিষয়ক এক সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্যারিস স্কুল অব ইকোনমিকস। অবস্থিত ?ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব। ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি রিপোর্ট ২০২২ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত এবং চীনসহ বিশ্বের ৩০ দেশের বৈষম্য পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে ভারত দরিদ্র এবং চরম অসাম্যের দেশ বলে দাবি করা হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব’-এর প্রকাশ করা বিশ্ব অসাম্য রিপোর্টে।
দারিদ্র্য ও অসাম্য; দুটিই এখন ভারতে প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির এক শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে ২২ শতাংশ সম্পদ। এমনকি ভারতের সমাজ ব্যবস্থার নিচের সারিতে বসবাস করা অর্ধেক মানুষের হাতে দেশের সম্পদের প্রায় কিছুই নেই বলেও জানানো হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই। এছাড়া দেশটির ১০ শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে ৫৭ শতাংশ সম্পদ। অন্যদিকে, কানাডার শীর্ষ ১০ শতাংশ মানুষের উপার্জন নিচুতলার ৫০ শতাংশ মানুষের তুলনায় ১৩ গুণ বেশি। ভারতের দরিদ্র মানুষের হাতে সম্পদের প্রায় কিছুই না থাকলেও দেশটির ধনীরা অত্যন্ত ধনী হয়ে উঠেছেন। ২০২১ সালে ভারতের মোট আয়ের পাঁচ ভাগের এক ভাগই চলে গেছ দেশটির ওপরের সারির এক শতাংশ মানুষের হাতে। অথচ ৫০ শতাংশ মানুষকে দেশের মোট আয়ের মাত্র ১৩ শতাংশ নিয়েই দিন কাটাতে হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রয়ক্ষমতার তুলনার নিরিখে ভারতের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় বছরে ২ লাখ ৪ হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু আয়ের দিক থেকে নিচের সারির অর্ধেক মানুষের গড় আয় মাত্র ৫৩ হাজার ৬১০ টাকা। ওপরের সারির ১০ শতাংশ মানুষের আয় তার প্রায় ২০ গুণ। ১১ লাখ ৬৬ হাজার ৫২০ টাকা। সম্পদের ক্ষেত্রে অসাম্যের মাত্রা আরও বেড়েছে। ভারতের পরিবারভিত্তিক গড় সম্পদের পরিমাণ ৯ লাখ ৮৩ হাজার ১০ টাকা। কিন্তু সমাজের নিচু স্তরের ৫০ শতাংশ পরিবারের গড় সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৬৬ হাজার ২৮০ টাকা। এছাড়া ওপরের সারির বা অতিধনী ১ শতাংশ বা ১০ শতাংশ পরিবারের তুলনায় মধ্যবিত্তও যথেষ্ট গরিব। অতি ধনী ১০ শতাংশ পরিবারের গড় সম্পদের পরিমাণ ৬৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকার বেশি। একই ক্যাটাগরির ১ শতাংশ পরিবারের গড় সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ২৪ লাখ টাকার বেশি। সেই তুলনায় মধ্যবিত্ত পরিবারের গড় সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৭ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকা।
ভারতে লিঙ্গবৈষম্যও চরম আকার ধারণ করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। মোট আয়ে নারী শ্রমিক-কর্মীদের ভাগ মাত্র ১৮ শতাংশ। এই হার সারা বিশ্বের মধ্যেই ভারতে বেশ কম। পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোতে নারীদের আয়ের ভাগ ১৫ শতাংশ। অন্যদিকে চীন ছাড়া এশিয়ার দেশগুলোতে এই হার ২১ শতাংশ। অবশ্য বিশ্বজুড়েই বেড়েছে সম্পদের অসমতা। রিপোর্টে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বিশ্বব্যাপী ‘বিলিয়নিয়ার’ বা কোটিপতিদের সম্পদের পরিমাণ আরও বেড়েছে।
সম্প্রতি দারিদ্র, অর্থনৈতিক অসাম্য ও লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফ্রান্সের প্যারিস স্কুল অফ ইকোনোমিক্স-এ অবস্থিত ‘ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব’। এ রিপোর্ট তৈরিতে অন্যান্য অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন ফ্রান্সের অর্থনীতিবিদ টমাস পিকেটি ও সংস্থাটির সহ-পরিচালক লুকাস চান্সেল। রিপোর্টের শুরুতে নোবেলজয়ী দুই অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক ও এস্থার ডুফলো লিখেছেন, অসাম্য চরম পর্যায়ে থাকা বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ভারত রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাবের সহ-পরিচালক ও সমীক্ষা প্রতিবেদনের প্রধান লেখক লুকাস চ্যান্সেল এবং ফরাসি অর্থনীতিবিদ থমাস পিকেটিসহ সমাজবিজ্ঞানীদের একটি নেটওয়ার্ক ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। এতে বলা হয়েছে, ১৯৮০’র দশক থেকে বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই আয় এবং সম্পদের বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধারাবাহিক নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং উদার কর্মসূচির কারণে এই বৈষম্য আরও প্রকোট হয়েছে। বিশ্ব বৈষম্য প্রতিবেদনে ঠাঁই না পেলেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত নয় বাংলাদেশও। চলতি বছরের জাতিসংঘের বিশ্ব মানব উন্নয়ন সূচকে ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৩৩তম অবস্থানে রয়েছে। সেই সূচকে বলা হয়েছে, নিচের ৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর হাতে মোট সম্পদের মাত্র ২১ শতাংশ রয়েছে। অন্যদিকে, সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ২৭ শতাংশ সম্পদ।
ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছর কোভিড সঙ্কটে বিশ্বজুড়েই কোটিপতিদের সম্পদের পরিমাণ আরও বেড়েছে। বিশ্বের মাত্র ২ হাজার ৭৫০ জন অতিধনীর হাতে এখন পৃথিবীর ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পদ রয়েছে।
১৯৯৫ সালে তাদের হাতে বিশ্বের ১ শতাংশ সম্পদ ছিল। মহামারীর সময়ে ধনীরা আরও ফুলেফেঁপে ওঠায় নিচের সারির অর্ধেক মানুষের কাছে ধনীদের তুলনায় মাত্র ২ শতাংশ সম্পদ রয়েছে। লুকাস চ্যান্সেল বলেছেন, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে অতিধনী এবং বাকি জনগোষ্ঠীর মাঝে সম্পদের বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেছেন, ধনী দেশগুলোতে সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে দারিদ্রের ভয়াবহ উত্থান প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।
কিন্তু সেই চিত্র বিশ্বের দারিদ্র দেশগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। দারিদ্রের বিরুদ্ধে সামাজিক অবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরছে এই চিত্র।
প্যারিস স্কুল অব ইকোনোমিকসে অবস্থিত ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাবের এই রিপোর্ট তৈরিতে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন ফ্রান্সের অর্থনীতিবিদ টমাস পিকেটি।
বিশ্বের মাত্র ২ হাজার ৭৫০ জন বিলিয়নিয়ারের হাতে এখন পৃথিবীর ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পদ। ১৯৯৫ সালে তাদের হাতে বিশ্বের ১ শতাংশ সম্পদ ছিল। করোনা মহামারীর সময়ই ধনীরা আরও ধনী হয়ে উঠেছেন। নিচের সারির অর্ধেক মানুষের কাছে এই ধনীদের তুলনায় মাত্র ২ শতাংশ সম্পদ রয়েছে।