অনেক বড় উদারতা কি আমরা দেখাইনি, আর কী আশা করছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক, জ্ঞান ও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রগতিশীল সমাজ গঠনের মাধ্যমে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শে তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এ ব্যাপারে যুবলীগকে অগ্রণী ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল আওয়ামী যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

গণভবন থেকে তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে (কেআইবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে বিএনপি নেতাদের দাবির প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বাড়িতে থাকার অনুমতি দিয়ে এবং দেশের সর্বোত্তম চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দিয়ে তারা সর্বোচ্চ সহানুভূতি দেখিয়েছেন।

তিনি বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন করেন, ‘তারা আমাদের কাছে কী আশা করছে? আমরা তাকে বাড়িতে থাকতে এবং দেশের সেরা হাসপাতালে অবাধে চিকিৎসা নিতে দিয়েছি। এটা কি যথেষ্ট নয়? এটা কি বিরাট উদারতা নয়? আমরা এটা (উদারতা) দেখিয়েছি।’

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক যুব নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক বক্তৃতা করেন। সাবেক যুবলীগ নেতাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম এমপি এবং হারুনুর রশিদ বক্তৃতা করেন।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল সভাটি সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের ভিডিও বার্তাও প্রচার করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী মঞ্জুরুল ইসলাম, সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি এবং বিশিষ্ট বাউল শিল্পী শফি ম-ল।

জিয়ার পদাংক অনুসরণ করে জাতির পিতার খুনিদের পুরস্কৃত করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসনে খালেদা জিয়ার উদ্যোগ এবং তার রূঢ় ও অমানবিক আচরণের খতিয়ান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসা করি তারা যে সহানুভূতি দেখাতে বলে, সহযোগিতা চায় খালেদা জিয়া কি আচরণ করেছে?

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তার আগে খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল- ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীতো দূরের কথা, কোনদিন বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবে না এবং আওয়ামী লীগ ১শ’ বছরেও ক্ষমতায় যেতে পারবে না।’ আল্লাহর কুদরত বোঝা ভার, যে কারণে খালেদা জিয়া আর প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধী দলের নেতাও হতে পারেনি। এটা তার ওপরই ফলে গেছে, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারপরেও সে যখন অসুস্থ, আন্তর্জাতিক সংস্থার তদন্তে সে এবং তার ছেলে দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত, গ্যাটকো’ এবং নাইকো’র মামলা তার বিরুদ্ধে এবং এতিমের টাকা আত্মসাতের মতো দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এবং সে কারাগারে ছিল।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বড় বোন, বোনের স্বামী এবং ভাই তার কাছে এসেছিল। তারা আসায় তিনি তখন তার নির্বাহী ক্ষমতাবলে যতটুকু করতে পারেন সে অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে সাজা স্থগিত করে বাড়িতে থাকার এবং চিকিৎসার অনুমতি প্রদান করেন। সে সময় শেখ রেহানাও তার সঙ্গে ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশে সবচেয়ে দামি ও ব্যয়বহুল যে হাসপাতাল, সেখানেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে। আর তারেকের স্ত্রীওতো ডাক্তার, শুনেছি সে নাকি অনলাইনে শাশুড়িকে দেখে।

তারপরেও ১৫ আগস্ট সে জন্মদিন পালন করে অথচ জিয়ার সঙ্গে তার ম্যারেজ সার্টিফিকেট কিংবা প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হবার পর পাসপোর্টেও যে জন্ম তারিখ বা খালেদা জিয়ার মা’য়ের বিবৃতি অনুযায়ীও জন্ম তারিখটা ১৫ আগস্ট নয়। তার ৪/৫টা জন্ম তারিখ রয়েছে এবং জন্মসাল নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে, বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ আগস্ট কেক কেটে জন্মদিন করার অর্থটা কি? সেদিন আমরা যারা বাবা, মা-ভাইসহ আপনজন হারিয়েছি তাদের কষ্ট দেয়া। তাহলে আমার কাছে আর কত আশা করে তারা কিভাবে আশা করে, সেটাই আমার প্রশ্ন’।

বাহাউদ্দিন নাছিম থেকে শুরু করে মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবের হোসেন চৌধুরী এবং শেখ সেলিমসহ বহু নেতাকর্মীকে বিএনপি’র অত্যাচার নির্যাতনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নাছিমকে এমন অত্যাচার করেছিল তাকে মৃত মনে করে তাড়াতাড়ি কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।’

‘দিনের পর দিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার করে সেই অত্যাচারের ভিডিও দেখে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান উৎফুল্ল হয়েছে’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এই ধরণের হিং¯্র একটা চরিত্র আমরা দেখেছি (খালেদা জিয়ার মাঝে)।’

খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকো মারা যাওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী হয়েও একজন মা’ হিসেবে তাকে সহানুভূতি জানাতে গেলে মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেয়ার স্মৃতিও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘যখনই আমার গাড়িটা বাড়ির সামনে থেমেছে, এসএসএফ’র অফিসার জাস্ট ভেতর থেকে বাইরে এসে দাঁড়িয়েছে আমাকে নিতে সঙ্গে সঙ্গে দরজাটা বন্ধ করে তালা দিয়ে দিয়েছে।’

তিনি গাড়ি থেকে নেমে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে আর ঢুকতে পারেননি, সন্তনহারা মা’কে সহানুভূতি জানাতে গিয়ে এভাবে অপমান হতে হয়েছে, বলেন তিনি।

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপি’র দাবি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আমার যতটুকু করার ছিল করেছি। তাকে যে বাসায় থাকতে দিয়েছি ইচ্ছেমতো হাসপাতালে চিকিৎসা করতে দিয়েছি, এটাই কি যথেষ্ট নয়, এটাই কি অনেক বড় উদারতা আমরা দেখাইনি।’

বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ৪ জমাদিউল আউয়াল

অনেক বড় উদারতা কি আমরা দেখাইনি, আর কী আশা করছে

বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক, জ্ঞান ও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রগতিশীল সমাজ গঠনের মাধ্যমে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শে তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এ ব্যাপারে যুবলীগকে অগ্রণী ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল আওয়ামী যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

গণভবন থেকে তিনি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে (কেআইবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে বিএনপি নেতাদের দাবির প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বাড়িতে থাকার অনুমতি দিয়ে এবং দেশের সর্বোত্তম চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দিয়ে তারা সর্বোচ্চ সহানুভূতি দেখিয়েছেন।

তিনি বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন করেন, ‘তারা আমাদের কাছে কী আশা করছে? আমরা তাকে বাড়িতে থাকতে এবং দেশের সেরা হাসপাতালে অবাধে চিকিৎসা নিতে দিয়েছি। এটা কি যথেষ্ট নয়? এটা কি বিরাট উদারতা নয়? আমরা এটা (উদারতা) দেখিয়েছি।’

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক যুব নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক বক্তৃতা করেন। সাবেক যুবলীগ নেতাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম এমপি এবং হারুনুর রশিদ বক্তৃতা করেন।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল সভাটি সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের ভিডিও বার্তাও প্রচার করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী মঞ্জুরুল ইসলাম, সাংবাদিক মুস্তাফিজ শফি এবং বিশিষ্ট বাউল শিল্পী শফি ম-ল।

জিয়ার পদাংক অনুসরণ করে জাতির পিতার খুনিদের পুরস্কৃত করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসনে খালেদা জিয়ার উদ্যোগ এবং তার রূঢ় ও অমানবিক আচরণের খতিয়ান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসা করি তারা যে সহানুভূতি দেখাতে বলে, সহযোগিতা চায় খালেদা জিয়া কি আচরণ করেছে?

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তার আগে খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল- ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীতো দূরের কথা, কোনদিন বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবে না এবং আওয়ামী লীগ ১শ’ বছরেও ক্ষমতায় যেতে পারবে না।’ আল্লাহর কুদরত বোঝা ভার, যে কারণে খালেদা জিয়া আর প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধী দলের নেতাও হতে পারেনি। এটা তার ওপরই ফলে গেছে, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারপরেও সে যখন অসুস্থ, আন্তর্জাতিক সংস্থার তদন্তে সে এবং তার ছেলে দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত, গ্যাটকো’ এবং নাইকো’র মামলা তার বিরুদ্ধে এবং এতিমের টাকা আত্মসাতের মতো দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এবং সে কারাগারে ছিল।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বড় বোন, বোনের স্বামী এবং ভাই তার কাছে এসেছিল। তারা আসায় তিনি তখন তার নির্বাহী ক্ষমতাবলে যতটুকু করতে পারেন সে অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে সাজা স্থগিত করে বাড়িতে থাকার এবং চিকিৎসার অনুমতি প্রদান করেন। সে সময় শেখ রেহানাও তার সঙ্গে ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশে সবচেয়ে দামি ও ব্যয়বহুল যে হাসপাতাল, সেখানেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে। আর তারেকের স্ত্রীওতো ডাক্তার, শুনেছি সে নাকি অনলাইনে শাশুড়িকে দেখে।

তারপরেও ১৫ আগস্ট সে জন্মদিন পালন করে অথচ জিয়ার সঙ্গে তার ম্যারেজ সার্টিফিকেট কিংবা প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হবার পর পাসপোর্টেও যে জন্ম তারিখ বা খালেদা জিয়ার মা’য়ের বিবৃতি অনুযায়ীও জন্ম তারিখটা ১৫ আগস্ট নয়। তার ৪/৫টা জন্ম তারিখ রয়েছে এবং জন্মসাল নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে, বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ আগস্ট কেক কেটে জন্মদিন করার অর্থটা কি? সেদিন আমরা যারা বাবা, মা-ভাইসহ আপনজন হারিয়েছি তাদের কষ্ট দেয়া। তাহলে আমার কাছে আর কত আশা করে তারা কিভাবে আশা করে, সেটাই আমার প্রশ্ন’।

বাহাউদ্দিন নাছিম থেকে শুরু করে মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবের হোসেন চৌধুরী এবং শেখ সেলিমসহ বহু নেতাকর্মীকে বিএনপি’র অত্যাচার নির্যাতনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নাছিমকে এমন অত্যাচার করেছিল তাকে মৃত মনে করে তাড়াতাড়ি কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।’

‘দিনের পর দিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার করে সেই অত্যাচারের ভিডিও দেখে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান উৎফুল্ল হয়েছে’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এই ধরণের হিং¯্র একটা চরিত্র আমরা দেখেছি (খালেদা জিয়ার মাঝে)।’

খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকো মারা যাওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী হয়েও একজন মা’ হিসেবে তাকে সহানুভূতি জানাতে গেলে মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেয়ার স্মৃতিও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘যখনই আমার গাড়িটা বাড়ির সামনে থেমেছে, এসএসএফ’র অফিসার জাস্ট ভেতর থেকে বাইরে এসে দাঁড়িয়েছে আমাকে নিতে সঙ্গে সঙ্গে দরজাটা বন্ধ করে তালা দিয়ে দিয়েছে।’

তিনি গাড়ি থেকে নেমে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে আর ঢুকতে পারেননি, সন্তনহারা মা’কে সহানুভূতি জানাতে গিয়ে এভাবে অপমান হতে হয়েছে, বলেন তিনি।

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপি’র দাবি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আমার যতটুকু করার ছিল করেছি। তাকে যে বাসায় থাকতে দিয়েছি ইচ্ছেমতো হাসপাতালে চিকিৎসা করতে দিয়েছি, এটাই কি যথেষ্ট নয়, এটাই কি অনেক বড় উদারতা আমরা দেখাইনি।’