আবরার হত্যার রায় দ্রুত কার্যকর ও গেস্টরুম নির্যাতন বিরোধী আইন দাবি

আবরার হত্যার রায় দ্রুত কার্যকর এবং গেস্টরুম-নির্যাতন বিরোধী আইন পাশের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতির বিষবাষ্পে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, যারা আবরারকে হত্যা করার জন্য মৃত্যুদ- পেলো তারা কিভাবে সন্ত্রাসী দানবে পরিণত হলো। দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বলার জন্য, দেশের পানি, সীমান্ত হত্যা নিয়ে কথা বলার জন্য আবরার ফাহাদকে হত্যা করলো। অমিত শাহ’র মা বলেছে, আমি যদি জানতাম সে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে, এগুলো করে, তাকে দুই গালে জুতা মারতাম। ছাত্রলীগ এমন একটা মেশিন এখানে কেউ ঢুকলে সন্ত্রাসী হয়ে বের হয়। এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের আজকের এই অবস্থা। ছাত্র রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের ডাক এসেছে। ছাত্রলীগ ছাত্রদের পাশে না থেকে ছাত্রদের জুলুম নির্যাতন করলে খুন করলে ছাত্ররা আর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে থাকবে না। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলে তিনি বলেন, আপনারা ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলব, ডাকসু নির্বাচন কেন দিচ্ছেন না। তাহলে তো ক্যাম্পাসগুলোতে অন্তত ছাত্র নেতারা চিন্তা করে যে, ভোট পেতে হলে ও ছাত্রদের জন্য কাজ করতে হবে। বুয়েটের ছাত্র আবরারের হত্যাকারীদের শাস্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। গেস্টরুম-গণরুমে নির্যাতন বিরোধী আইন প্রণয়ন করতে হবে।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘আবরারের হত্যা মামলার রায় দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। একই সঙ্গে হলের দায়িত্বরত শিক্ষকদের দায়িত্ব অবহেলার জন্য বিচারের কাঁঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হলের দায়িত্ব থাকে শিক্ষকরা কিন্তু তারা তাদের শিক্ষক রাজনীতি, পদ পজিশন, সরকারের প্রিয়ভাজন হওয়ার জন্য ক্ষমতাশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেয়। ফলে হলগুলো হয়ে ওঠে নির্যাতিত নিপীড়নের আস্তানা। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে নির্যাতন বিরোধী আইন প্রণয়ন করতে হবে।

ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাকিল মিয়া ও ঢাবি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্যা রহমতুল্লাহ, সহ-সভাপতি সোহেল মৃধা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সানাউল্লাহসহ অন্য নেতারা।

image

রায় দ্রুত কার্যকর ও নির্যাতনবিরোধী আইন পাসের দাবিতে গতকাল ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ -সংবাদ

আরও খবর
নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করে ঢাকা-দিল্লি উপকৃত হতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধের মোড়  ঘোরালো ‘অপারেশন জ্যাকপট’
অনেক বড় উদারতা কি আমরা দেখাইনি, আর কী আশা করছে
বেগম রোকেয়া দিবস আজ
রোকেয়ার বাস্তুভিটা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, বন্ধ স্মৃতিকেন্দ্রটি
খালেদা জিয়ার আবার রক্তক্ষরণ হচ্ছে : ফখরুল
নিলয় হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামির সাজা কমে যাবজ্জীবন
রংপুরে পুলিশের নির্যাতনে ‘মৃত্যু’, বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
স্কুলে ভর্তির আবেদনের সময় বাড়লো
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে হাইকোর্টে তলব

বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ৪ জমাদিউল আউয়াল

আবরার হত্যার রায় দ্রুত কার্যকর ও গেস্টরুম নির্যাতন বিরোধী আইন দাবি

প্রতিনিধি, ঢাবি

image

রায় দ্রুত কার্যকর ও নির্যাতনবিরোধী আইন পাসের দাবিতে গতকাল ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ -সংবাদ

আবরার হত্যার রায় দ্রুত কার্যকর এবং গেস্টরুম-নির্যাতন বিরোধী আইন পাশের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতির বিষবাষ্পে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, যারা আবরারকে হত্যা করার জন্য মৃত্যুদ- পেলো তারা কিভাবে সন্ত্রাসী দানবে পরিণত হলো। দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বলার জন্য, দেশের পানি, সীমান্ত হত্যা নিয়ে কথা বলার জন্য আবরার ফাহাদকে হত্যা করলো। অমিত শাহ’র মা বলেছে, আমি যদি জানতাম সে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে, এগুলো করে, তাকে দুই গালে জুতা মারতাম। ছাত্রলীগ এমন একটা মেশিন এখানে কেউ ঢুকলে সন্ত্রাসী হয়ে বের হয়। এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের আজকের এই অবস্থা। ছাত্র রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের ডাক এসেছে। ছাত্রলীগ ছাত্রদের পাশে না থেকে ছাত্রদের জুলুম নির্যাতন করলে খুন করলে ছাত্ররা আর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে থাকবে না। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলে তিনি বলেন, আপনারা ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলব, ডাকসু নির্বাচন কেন দিচ্ছেন না। তাহলে তো ক্যাম্পাসগুলোতে অন্তত ছাত্র নেতারা চিন্তা করে যে, ভোট পেতে হলে ও ছাত্রদের জন্য কাজ করতে হবে। বুয়েটের ছাত্র আবরারের হত্যাকারীদের শাস্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। গেস্টরুম-গণরুমে নির্যাতন বিরোধী আইন প্রণয়ন করতে হবে।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘আবরারের হত্যা মামলার রায় দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। একই সঙ্গে হলের দায়িত্বরত শিক্ষকদের দায়িত্ব অবহেলার জন্য বিচারের কাঁঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হলের দায়িত্ব থাকে শিক্ষকরা কিন্তু তারা তাদের শিক্ষক রাজনীতি, পদ পজিশন, সরকারের প্রিয়ভাজন হওয়ার জন্য ক্ষমতাশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেয়। ফলে হলগুলো হয়ে ওঠে নির্যাতিত নিপীড়নের আস্তানা। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে নির্যাতন বিরোধী আইন প্রণয়ন করতে হবে।

ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাকিল মিয়া ও ঢাবি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্যা রহমতুল্লাহ, সহ-সভাপতি সোহেল মৃধা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সানাউল্লাহসহ অন্য নেতারা।