রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ এলাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে তাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযাগের ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি করে দিয়েছে আদালত। গতকাল বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
কমিটির সদস্য হলেন, রংপুর জেলা ও দায়রা জজ, একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও একজন অতিরিক পুলিশ কমিশনার। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে মামলার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। এর আগে পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে সঠিক তদন্ত চেয়ে গত ২ নভেম্বর আবেদন করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। ওই দিনই এ ঘটনার বিস্তারিত জানতে চায় আদালত। এ ঘটনায় একটি প্রতিবেদন জমার পর ফের বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এর আগে শুনানিকালে পুলিশ সুপার থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাজুলের কাছে ৫ গ্রাম হেরোইন পাওয়া গিয়েছিলো। তার মৃত্যুর ঘটনায় মরদেহের সুরতহাল রিপোর্টে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এরপর আদালত ওই তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে আদেশ দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নয়া বাজার বছি বানিয়ার তেপতি থেকে তাজুল ইসলামকে মাদকসহ আটক করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি।
পুলিশ তাকে বেধড়ক মারধর করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তাজুল। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা ঘেরাও করেন। বিক্ষুব্ধ জনতা ইটপাকটেল ছুড়ে মারার পাশাপাশি পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ৪ জমাদিউল আউয়াল
আদালত বার্তা পরিবেশক
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ এলাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে তাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযাগের ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটি করে দিয়েছে আদালত। গতকাল বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
কমিটির সদস্য হলেন, রংপুর জেলা ও দায়রা জজ, একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও একজন অতিরিক পুলিশ কমিশনার। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে মামলার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। এর আগে পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে সঠিক তদন্ত চেয়ে গত ২ নভেম্বর আবেদন করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। ওই দিনই এ ঘটনার বিস্তারিত জানতে চায় আদালত। এ ঘটনায় একটি প্রতিবেদন জমার পর ফের বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এর আগে শুনানিকালে পুলিশ সুপার থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাজুলের কাছে ৫ গ্রাম হেরোইন পাওয়া গিয়েছিলো। তার মৃত্যুর ঘটনায় মরদেহের সুরতহাল রিপোর্টে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এরপর আদালত ওই তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে আদেশ দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নয়া বাজার বছি বানিয়ার তেপতি থেকে তাজুল ইসলামকে মাদকসহ আটক করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি।
পুলিশ তাকে বেধড়ক মারধর করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তাজুল। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা ঘেরাও করেন। বিক্ষুব্ধ জনতা ইটপাকটেল ছুড়ে মারার পাশাপাশি পুলিশের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।