জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে আদালতের আদেশ না মানায় তার ব্যাখ্যা দিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ১৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে আদালতে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আঞ্জুমান আরা লীমা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
অ্যাডভোকেট আঞ্জুমান আরা লিমা বলেন, ২০১৯ সালে কক্সবাজারের বিমানবন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে সেখানের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহবুবুর রহমানের ১৫ শতক জমিও অধিগ্রহণ করা হয়। যার মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও সেই ক্ষতিপূরণের টাকা তিনি বুঝে না পাওয়ায় জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেন। দীর্ঘ দিনেও আবেদনটি নিষ্পত্তি না করায় আমরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। আদালত ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন। রুলের শুনানিকালে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের কাছে সেই আবেদনটির বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা চান। লিখিত ব্যাখ্যার জন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও জেলা প্রশাসকের কোন সাড়া না পাওয়ায় বিষয়টি আমরা আজ আদালতের নজরে আনা হয়।
আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে তাকে হাজির হতে নির্দেশ দেন। আগামী ১৩ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির হয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা বুঝিয়ে দিতে আবেদন নিষ্পত্তির না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ৪ জমাদিউল আউয়াল
আদালত বার্তা পরিবেশক
জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে আদালতের আদেশ না মানায় তার ব্যাখ্যা দিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ১৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে আদালতে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আঞ্জুমান আরা লীমা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
অ্যাডভোকেট আঞ্জুমান আরা লিমা বলেন, ২০১৯ সালে কক্সবাজারের বিমানবন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে সেখানের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহবুবুর রহমানের ১৫ শতক জমিও অধিগ্রহণ করা হয়। যার মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও সেই ক্ষতিপূরণের টাকা তিনি বুঝে না পাওয়ায় জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেন। দীর্ঘ দিনেও আবেদনটি নিষ্পত্তি না করায় আমরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। আদালত ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন। রুলের শুনানিকালে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের কাছে সেই আবেদনটির বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা চান। লিখিত ব্যাখ্যার জন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও জেলা প্রশাসকের কোন সাড়া না পাওয়ায় বিষয়টি আমরা আজ আদালতের নজরে আনা হয়।
আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে তাকে হাজির হতে নির্দেশ দেন। আগামী ১৩ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির হয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা বুঝিয়ে দিতে আবেদন নিষ্পত্তির না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।