রাজধানীতে তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

রাজধানীতে গতকাল তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শাহজাহানপুর ভবন থেকে পড়ে আবদুল হান্নান (৩০) নামে এক যুবক, পুরান ঢাকায় বাবু (২০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিক এবং উত্তরায় ফারহান ইসলাম ফুয়াদ (১৪) নামে স্কুলছাত্র মারা গেছেন।

মৃত হান্নানের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, গতকাল বেলা ১১টার দিকে কাপড় রোদ্রে শুকাতে গিয়ে শাহজাহানপুরে পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে যায় তার ভাই। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। বেলা দেড়টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হান্নান কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গোড়াগোড়া গ্রামের আবদুল ওয়াজেদের ছেলে। স্ত্রী তামান্না ও তিন মেয়েকে নিয়ে শাহজাহানপুর বেনজিরবাগান এলাকায় ভাড়া থাকতো। পল্টনে একটি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি।

এছাড়া গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পলাশীর মোড়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে যান নির্মাণ শ্রমিক বাবু। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সহকর্মী মারুফ হোসেন জানান, দীর্ঘ দেড় মাস ধরে বাবু পলাশী মোড়ে নির্মাণাধীন ১১ তলা ভবনটিতে রাজমিস্ত্রীর সহযোগী হিসেবে কাজ করছিল। সকালে ভবনের নিচ থেকে বাকেটে করে উপরে মালামাল তোলা হচ্ছিল। তবে বাকেটটি পাঁচতলায় রডের সঙ্গে আটকে গেলে বাবু সেটি ছাড়াতে যায়। সেখান থেকে পা পিছলে নিচে পড়ে যায় সে। তার বাড়ি বগুড়ায়। সে নির্মাণাধীন ভবনটিতেই থাকতো।

গতকাল সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার সাত তলা ভবনের ছাঁদ থেকে পড়ে যায় মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী ফারহান ইসলাম ফুয়াদ। নিহতের মা শামীম আরা নীপা জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সকাল দশটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মা আরও জানান, ফুয়াদ মাইলস্টোন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সকালে বাসার ছাদে গিয়ে ঘোরাঘুরি করার সময় সে উপর থেকে পড়ে নিচে যায়। তিনি জানান, কয়েকদিন আগে সে কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। আমরা তাকে চিকিৎসা করিয়েছিলাম। কি কারণে সে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল তা বলতে পারি না। ফুয়াদ বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডের ৩১ নম্বর বাসায় থাকতো। তার বাবার নাম সওকত ইসলাম। দুই ভাই-বোনের মধ্যে ফুয়াদ ছিল বড়।

বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ৪ জমাদিউল আউয়াল

রাজধানীতে তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীতে গতকাল তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শাহজাহানপুর ভবন থেকে পড়ে আবদুল হান্নান (৩০) নামে এক যুবক, পুরান ঢাকায় বাবু (২০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিক এবং উত্তরায় ফারহান ইসলাম ফুয়াদ (১৪) নামে স্কুলছাত্র মারা গেছেন।

মৃত হান্নানের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, গতকাল বেলা ১১টার দিকে কাপড় রোদ্রে শুকাতে গিয়ে শাহজাহানপুরে পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে যায় তার ভাই। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। বেলা দেড়টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হান্নান কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গোড়াগোড়া গ্রামের আবদুল ওয়াজেদের ছেলে। স্ত্রী তামান্না ও তিন মেয়েকে নিয়ে শাহজাহানপুর বেনজিরবাগান এলাকায় ভাড়া থাকতো। পল্টনে একটি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি।

এছাড়া গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পলাশীর মোড়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে যান নির্মাণ শ্রমিক বাবু। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সহকর্মী মারুফ হোসেন জানান, দীর্ঘ দেড় মাস ধরে বাবু পলাশী মোড়ে নির্মাণাধীন ১১ তলা ভবনটিতে রাজমিস্ত্রীর সহযোগী হিসেবে কাজ করছিল। সকালে ভবনের নিচ থেকে বাকেটে করে উপরে মালামাল তোলা হচ্ছিল। তবে বাকেটটি পাঁচতলায় রডের সঙ্গে আটকে গেলে বাবু সেটি ছাড়াতে যায়। সেখান থেকে পা পিছলে নিচে পড়ে যায় সে। তার বাড়ি বগুড়ায়। সে নির্মাণাধীন ভবনটিতেই থাকতো।

গতকাল সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার সাত তলা ভবনের ছাঁদ থেকে পড়ে যায় মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী ফারহান ইসলাম ফুয়াদ। নিহতের মা শামীম আরা নীপা জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সকাল দশটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের মা আরও জানান, ফুয়াদ মাইলস্টোন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সকালে বাসার ছাদে গিয়ে ঘোরাঘুরি করার সময় সে উপর থেকে পড়ে নিচে যায়। তিনি জানান, কয়েকদিন আগে সে কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। আমরা তাকে চিকিৎসা করিয়েছিলাম। কি কারণে সে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল তা বলতে পারি না। ফুয়াদ বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডের ৩১ নম্বর বাসায় থাকতো। তার বাবার নাম সওকত ইসলাম। দুই ভাই-বোনের মধ্যে ফুয়াদ ছিল বড়।