কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও গেস্ট হাউজের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ঘটনায় আরেক আশিকসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও লাইসেন্সবিহীন গেস্ট হাউজের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেখানে প্রতিদিন পর্যটকরা পথে পথে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পর্যটক থেকে শুরু করে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিচগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। তারা কক্সবাজারের পর্যটক ও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। আর গেস্ট হাউজের আড়ালে যারা অপকর্ম করছে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি করছেন।

অভিযোগ রয়েছে, বছরের পর বছর সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো কক্সবাজারে আধিপত্য বিস্তার করছে। আশিক বাহিনী ছাড়াও কিশোর গ্যাং গ্রুপ রয়েছে। কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো পর্যটন স্পটগুলোতে আধিপত্য বিস্তার করছে। চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে পর্যটকদের উত্ত্যক্ত সবই করছে সন্ত্রাসীরা। অনেক সময় অপরাধীরা অপরাধ করে অন্য স্থানে গিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। কক্সবাজারে আইনশঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালালে অপরাধীরা চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ ছাড়া কুতুবদিয়া, মহেশখালীসহ অন্যান্য দ্বীপ এলাকাগুলোতে তারা পরিচয় গোপন করে পালিয়ে থাকে।

গতকাল র‌্যাব হেডকোয়ার্টার থেকে বলা হয়েছে, কক্সবাজারে আবাসিক হোটেলে স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনার মামলায় আশিক নামে আরেক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা করার পর সে পুনরায় ধর্ষণ করে স্কুলছাত্রীকে মেরে লাশ গুম করার হুমকি দিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আশিক র‌্যাবকে এসব তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল দুপুরে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার এ সব তথ্য জানিয়েছেন।

র‌্যাব জানায়, স্কুলছাত্রীকে হোটেলে ধর্ষণের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে র‌্যাবের টিম গত সোমবার রাত ১১টার দিকে গোপন খবরের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মো. আশিককে গ্রেপ্তার করেছে। এই ধর্ষক কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে।

এর আগে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত ৪ নম্বর আসামি কামরুল ও মমস গেস্ট হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহীনকে গ্রেপ্তার করে।

গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী বাড়িতে ফেরার সময় আশিকসহ ৩ থেকে ৪ যুবক তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তাকে শহরের হোটেল মোটেল জোনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত মমস গেস্ট হাউজ নামে একটি হোটেলে নিয়ে যায়। ওই গেস্ট হাউজে স্কুলছাত্রীকে দুইদিন জিম্মি করে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় গত ১৮ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং অজ্ঞাত আরও ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা করার পর অভিযুক্ত কোন আসামি তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার না হওয়ায় অভিযুক্তরা বাদীর পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হুমকি দিয়েছে। এ নিয়ে সংবাদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও পর্যটক ধর্ষণের ঘটনায় দুই প্রধান অভিযুক্তের নাম আশিক। দুইটি ঘটনাই কক্সবাজারের পর্যটন এলাকার গেস্ট হাউজে ঘটেছে। এ ঘটনায় পলাতক সিন্ডিকেটের অন্যদের ধরতে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।

র‌্যাব জানায়, পর্যটক ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তারকৃত প্রধান অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম বাহিনীর আরও একাধিক সদস্য এখনো পলাতক রয়েছে। তারা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় গত ১০ বছর ধরে কক্সবাজারে আধিপত্য বিস্তার করছে।

সিসি টিভির ফুটেজ ও আসামিদের নানা অপকর্মের ক্লু উদ্ঘাটনে র‌্যাবের একাধিক টিম কাজ করছে।

জানা গেছে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, ইনানী ও উখিয়া এলাকায় দা-বাহিনী ও বোরকা বাহিনীর একাধিক সদস্য এখনো তৎপর রয়েছে। মূল হোতা আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেও এখনও বাহিনীর মাঠ পর্যায়ের সদস্যরা কাজ করছে।

কক্সবাজারে কিশোর গ্যাং গ্রুপের একাধিক সদস্য এখনো তৎপর রয়েছে। সৈকতের সুগন্ধা থেকে শুরু করে আশপাশের ফুটপাতে দোকান বসানো ও জায়গা দখলে তারা প্রভাবশালীদের হয়ে কাজ করছে। অনেকেই নিজেদের বীচ কমিটির সদস্য পরিচয়ে চাঁদাবাজি করছে। একাধিক দোকানের মালিক তারা। তাদের লালিত ক্যাডাররা এখনো নানা পরিচয়ে সৈকতে মস্তানি করছে। তারা পর্যটকদের উত্ত্যক্ত করছেন।

অপরাধ ঘটিয়ে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। প্রভাবশালীরা তাদের লালন পালন করছে। রাতে সৈকতে নারী পর্যটকরা ঘুরতে গেলে তাদের টার্গেট করে অশ্লীল কথাবার্তা বলে। পর্যটকরা ভয়ে মুখ বুজে চুপ থাকে। সেখানে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল থাকলেও সৈকতে পর্যটকদের দেখার কেউ নেই। কলাতলী থেকে পাথরের রানী সি বিচ পর্যন্ত পথে পথে পর্যটকরা ঘুরাফেরার সময় থাকেন টেনশনে।

পুলিশকে টেলিফোন করলেও সাধারণ মানুষের ফোন অনেকেই রিসিভ করে না। এমনকি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মোবাইল ফোন রহস্যজনক কারণে রিসিভ করে না। যার ফলে পর্যটকরা হেনেস্তার শিকার হয়েও নীরবে সহ্য করে ফেরত চলে আসে।

একজন নারী পর্যটক সংবাদকে বলেন, আর নয় কক্সবাজার। সেখানে ধর্ষক থেকে হোটেল মোটেল জোনের ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের জিম্মি করে মৌসুমে বেশি টাকা নেয়। সেখানে কোন বিধি-বিধান নেই। নেই নীতিমালা। তাদের মতে, অনেকে কক্সবাজার যেতে এখন অস্বীকার করছেন। স্কুল ও কলেজের ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষা শেষে অনেকের কক্সবাজার যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও এখন আর যেতে রাজি নয়। সরাসরি অস্বীকার করছেন।

এদিকে র‌্যাব হেডকোয়ার্টার থেকে বলা হয়েছে, কক্সবকাজারে পর্যটক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত যারা এখনো পলাতক আছে তাদের ধরতে র‌্যাবের একাধিক টিম কাজ করছে। অপরাধীরা যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ১৯ পৌষ ১৪২৮ ২৪ জমাদিউল আউয়াল

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও গেস্ট হাউজের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ঘটনায় আরেক আশিকসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক ও প্রতিনিধি কক্সবাজার

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও লাইসেন্সবিহীন গেস্ট হাউজের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেখানে প্রতিদিন পর্যটকরা পথে পথে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পর্যটক থেকে শুরু করে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিচগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। তারা কক্সবাজারের পর্যটক ও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। আর গেস্ট হাউজের আড়ালে যারা অপকর্ম করছে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি করছেন।

অভিযোগ রয়েছে, বছরের পর বছর সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো কক্সবাজারে আধিপত্য বিস্তার করছে। আশিক বাহিনী ছাড়াও কিশোর গ্যাং গ্রুপ রয়েছে। কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো পর্যটন স্পটগুলোতে আধিপত্য বিস্তার করছে। চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে পর্যটকদের উত্ত্যক্ত সবই করছে সন্ত্রাসীরা। অনেক সময় অপরাধীরা অপরাধ করে অন্য স্থানে গিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। কক্সবাজারে আইনশঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালালে অপরাধীরা চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ ছাড়া কুতুবদিয়া, মহেশখালীসহ অন্যান্য দ্বীপ এলাকাগুলোতে তারা পরিচয় গোপন করে পালিয়ে থাকে।

গতকাল র‌্যাব হেডকোয়ার্টার থেকে বলা হয়েছে, কক্সবাজারে আবাসিক হোটেলে স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনার মামলায় আশিক নামে আরেক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা করার পর সে পুনরায় ধর্ষণ করে স্কুলছাত্রীকে মেরে লাশ গুম করার হুমকি দিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আশিক র‌্যাবকে এসব তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল দুপুরে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার এ সব তথ্য জানিয়েছেন।

র‌্যাব জানায়, স্কুলছাত্রীকে হোটেলে ধর্ষণের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে র‌্যাবের টিম গত সোমবার রাত ১১টার দিকে গোপন খবরের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মো. আশিককে গ্রেপ্তার করেছে। এই ধর্ষক কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে।

এর আগে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত ৪ নম্বর আসামি কামরুল ও মমস গেস্ট হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহীনকে গ্রেপ্তার করে।

গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী বাড়িতে ফেরার সময় আশিকসহ ৩ থেকে ৪ যুবক তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তাকে শহরের হোটেল মোটেল জোনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত মমস গেস্ট হাউজ নামে একটি হোটেলে নিয়ে যায়। ওই গেস্ট হাউজে স্কুলছাত্রীকে দুইদিন জিম্মি করে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় গত ১৮ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং অজ্ঞাত আরও ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা করার পর অভিযুক্ত কোন আসামি তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার না হওয়ায় অভিযুক্তরা বাদীর পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হুমকি দিয়েছে। এ নিয়ে সংবাদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও পর্যটক ধর্ষণের ঘটনায় দুই প্রধান অভিযুক্তের নাম আশিক। দুইটি ঘটনাই কক্সবাজারের পর্যটন এলাকার গেস্ট হাউজে ঘটেছে। এ ঘটনায় পলাতক সিন্ডিকেটের অন্যদের ধরতে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।

র‌্যাব জানায়, পর্যটক ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তারকৃত প্রধান অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম বাহিনীর আরও একাধিক সদস্য এখনো পলাতক রয়েছে। তারা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় গত ১০ বছর ধরে কক্সবাজারে আধিপত্য বিস্তার করছে।

সিসি টিভির ফুটেজ ও আসামিদের নানা অপকর্মের ক্লু উদ্ঘাটনে র‌্যাবের একাধিক টিম কাজ করছে।

জানা গেছে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, ইনানী ও উখিয়া এলাকায় দা-বাহিনী ও বোরকা বাহিনীর একাধিক সদস্য এখনো তৎপর রয়েছে। মূল হোতা আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেও এখনও বাহিনীর মাঠ পর্যায়ের সদস্যরা কাজ করছে।

কক্সবাজারে কিশোর গ্যাং গ্রুপের একাধিক সদস্য এখনো তৎপর রয়েছে। সৈকতের সুগন্ধা থেকে শুরু করে আশপাশের ফুটপাতে দোকান বসানো ও জায়গা দখলে তারা প্রভাবশালীদের হয়ে কাজ করছে। অনেকেই নিজেদের বীচ কমিটির সদস্য পরিচয়ে চাঁদাবাজি করছে। একাধিক দোকানের মালিক তারা। তাদের লালিত ক্যাডাররা এখনো নানা পরিচয়ে সৈকতে মস্তানি করছে। তারা পর্যটকদের উত্ত্যক্ত করছেন।

অপরাধ ঘটিয়ে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। প্রভাবশালীরা তাদের লালন পালন করছে। রাতে সৈকতে নারী পর্যটকরা ঘুরতে গেলে তাদের টার্গেট করে অশ্লীল কথাবার্তা বলে। পর্যটকরা ভয়ে মুখ বুজে চুপ থাকে। সেখানে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল থাকলেও সৈকতে পর্যটকদের দেখার কেউ নেই। কলাতলী থেকে পাথরের রানী সি বিচ পর্যন্ত পথে পথে পর্যটকরা ঘুরাফেরার সময় থাকেন টেনশনে।

পুলিশকে টেলিফোন করলেও সাধারণ মানুষের ফোন অনেকেই রিসিভ করে না। এমনকি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মোবাইল ফোন রহস্যজনক কারণে রিসিভ করে না। যার ফলে পর্যটকরা হেনেস্তার শিকার হয়েও নীরবে সহ্য করে ফেরত চলে আসে।

একজন নারী পর্যটক সংবাদকে বলেন, আর নয় কক্সবাজার। সেখানে ধর্ষক থেকে হোটেল মোটেল জোনের ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের জিম্মি করে মৌসুমে বেশি টাকা নেয়। সেখানে কোন বিধি-বিধান নেই। নেই নীতিমালা। তাদের মতে, অনেকে কক্সবাজার যেতে এখন অস্বীকার করছেন। স্কুল ও কলেজের ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষা শেষে অনেকের কক্সবাজার যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও এখন আর যেতে রাজি নয়। সরাসরি অস্বীকার করছেন।

এদিকে র‌্যাব হেডকোয়ার্টার থেকে বলা হয়েছে, কক্সবকাজারে পর্যটক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত যারা এখনো পলাতক আছে তাদের ধরতে র‌্যাবের একাধিক টিম কাজ করছে। অপরাধীরা যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।