নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আসেনি : অর্থমন্ত্রী

নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোন প্রস্তাব এখনো অর্থ মন্ত্রণালয়ে আসেনি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। সেটি বাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এখন সবাই ভালো অবস্থানে আছেন। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে কি না, সে প্রস্তাবনা এখনো আমাদের কাছে আসেনি।’

গতকাল দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আরও অনেকগুলো পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে হবে। কারণ, এরিমধ্যে সরকার ক্লাইমেট চেঞ্জের প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে যুক্ত থেকে আমাদের কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট পাইপলাইনে ছিল, সেগুলোকে আমরা এখন আর অনুমোদন দিচ্ছি না। পাইপলাইনে থাকা আটটি পাওয়ার প্ল্যান্টের অনুমোদন বাতিল করে দেয়া হয়েছে। ফলে আমাদের এখানে আরও পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে হবে।’

নতুন দু’টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে ‘নো পাওয়ার নো পেমেন্ট’ করছি। রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট যেগুলো ছিলে সেগুলোর মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গেছে। এ মুহূর্তে আমাদের আরও দু-এক বা পাঁচ বছর অপারেট করবে, সেজন্য কোন এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে না। যখন তাদের কাছ থেকে ইলেক্ট্রিসিটি পাব তখন শুধু ওই পরিমাণ ইলেক্ট্রিসিটির চার্জ দিতে হবে। এখানে আমরা কোনভাবেই লোকসান করার সুযোগ রাখিনি।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনার কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও সক্ষমতা কমে গেছে। তবে ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে সরকার নানা রকম পদক্ষেপ নিয়েছে। আমার বিশ্বাস, সবাই ভালো অবস্থানে আছে।’ ক্রয় কমিটির বৈঠকে ১২টি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে যাতে ব্যয় হবে ৭২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় হবে ৭০ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। বাকি টাকা ভারত থেকে ঋণ হিসেবে নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ , ২০ পৌষ ১৪২৮ ২৫ জমাদিউল আউয়াল

নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আসেনি : অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোন প্রস্তাব এখনো অর্থ মন্ত্রণালয়ে আসেনি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। সেটি বাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এখন সবাই ভালো অবস্থানে আছেন। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে কি না, সে প্রস্তাবনা এখনো আমাদের কাছে আসেনি।’

গতকাল দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আরও অনেকগুলো পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে হবে। কারণ, এরিমধ্যে সরকার ক্লাইমেট চেঞ্জের প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে যুক্ত থেকে আমাদের কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট পাইপলাইনে ছিল, সেগুলোকে আমরা এখন আর অনুমোদন দিচ্ছি না। পাইপলাইনে থাকা আটটি পাওয়ার প্ল্যান্টের অনুমোদন বাতিল করে দেয়া হয়েছে। ফলে আমাদের এখানে আরও পাওয়ার প্ল্যান্ট করতে হবে।’

নতুন দু’টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে ‘নো পাওয়ার নো পেমেন্ট’ করছি। রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট যেগুলো ছিলে সেগুলোর মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গেছে। এ মুহূর্তে আমাদের আরও দু-এক বা পাঁচ বছর অপারেট করবে, সেজন্য কোন এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে না। যখন তাদের কাছ থেকে ইলেক্ট্রিসিটি পাব তখন শুধু ওই পরিমাণ ইলেক্ট্রিসিটির চার্জ দিতে হবে। এখানে আমরা কোনভাবেই লোকসান করার সুযোগ রাখিনি।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনার কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও সক্ষমতা কমে গেছে। তবে ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে সরকার নানা রকম পদক্ষেপ নিয়েছে। আমার বিশ্বাস, সবাই ভালো অবস্থানে আছে।’ ক্রয় কমিটির বৈঠকে ১২টি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে যাতে ব্যয় হবে ৭২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় হবে ৭০ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। বাকি টাকা ভারত থেকে ঋণ হিসেবে নেয়া হবে।