ঋণ পরিশোধে সুবিধার তদবির নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে ব্যবসায়ীরা

ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধার মেয়াদ বাড়ানোর দাবি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা। গতকাল এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা বৈঠকে অংশ নেন।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ হলে সাধারণ ছুটিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে অচলাবস্থা দেখা দেয়। সে সময় ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ী উদ্যোগ শুরু করা মানুষদের জন্য নীতি সহায়তা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সিদ্ধান্ত হয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি কমা না দিলেও কেউ খেলাপির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না। পরে এই মেয়াদ বাড়ানো হয় ধাপে ধাপে। তবে ঢালাও সুবিধা ধীরে ধীরে কমায় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ২৮ ডিসেম্বর জানানো হয়, করোনায় ঋণ পরিশোধে দেয়া সুবিধা আর থাকছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছেরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন।

২৮ ডিসেম্বর ব্যাংকার্স সভা থেকে জানানো হয়-সবার জন্য সুবিধা আর বাড়বে না। তবে সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তারা ১৫ শতাংশ পরিশোধ করলে আর খেলাপি হবে না। এসব বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা চলছে।

তবে এই বৈঠকে বসার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা ব্যবসায়ী নেতাদের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য আসেনি।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ হলে সাধারণ ছুটিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে অচলাবস্থা দেখা দেয়। সে সময় ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ী উদ্যোগ শুরু করা মানুষদের জন্য নীতি সহায়তা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সিদ্ধান্ত হয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি কমা না দিলেও কেউ খেলাপির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না।

পরে এই মেয়াদ বাড়ানো হয় ধাপে ধাপে। তবে ঢালাও সুবিধা ধীরে ধীরে কমায় বাংলাদেশ ব্যাংক। ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তির কোনো অংশ জমা না দিয়েও খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ থাকলেও পরে তা কমানো হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনার কারণে চলতি বছর একজন ঋণগ্রহীতার যে পরিমাণ পরিশোধ করার কথা ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে কেউ ২৫ শতাংশ পরিশোধ করলে আর খেলাপি হবেন না।

ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো এ সুবিধা আরও বাড়ানোর দাবিতে চিঠি দিয়েছিল। তাদের যুক্তি হলো, বিশ্বে করোনা আবার বাড়ছে। ইউরোপ আমেরিকায় ভাইরাসটি আবার ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভালো হলেও রপ্তানির প্রধান কেন্দ্রে আবার নানা বিধিনিষেধ আসছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব তৈরি হবে। আর এটা হলে ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণের কিস্তি জমা দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।

শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ , ১৬ পৌষ ১৪২৮ ২৬ জমাদিউল আউয়াল

ঋণ পরিশোধে সুবিধার তদবির নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধার মেয়াদ বাড়ানোর দাবি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা। গতকাল এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা বৈঠকে অংশ নেন।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ হলে সাধারণ ছুটিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে অচলাবস্থা দেখা দেয়। সে সময় ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ী উদ্যোগ শুরু করা মানুষদের জন্য নীতি সহায়তা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সিদ্ধান্ত হয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি কমা না দিলেও কেউ খেলাপির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না। পরে এই মেয়াদ বাড়ানো হয় ধাপে ধাপে। তবে ঢালাও সুবিধা ধীরে ধীরে কমায় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ২৮ ডিসেম্বর জানানো হয়, করোনায় ঋণ পরিশোধে দেয়া সুবিধা আর থাকছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছেরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন।

২৮ ডিসেম্বর ব্যাংকার্স সভা থেকে জানানো হয়-সবার জন্য সুবিধা আর বাড়বে না। তবে সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তারা ১৫ শতাংশ পরিশোধ করলে আর খেলাপি হবে না। এসব বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা চলছে।

তবে এই বৈঠকে বসার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা ব্যবসায়ী নেতাদের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য আসেনি।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ হলে সাধারণ ছুটিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে অচলাবস্থা দেখা দেয়। সে সময় ঋণ নিয়ে ব্যবসায়ী উদ্যোগ শুরু করা মানুষদের জন্য নীতি সহায়তা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সিদ্ধান্ত হয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি কমা না দিলেও কেউ খেলাপির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না।

পরে এই মেয়াদ বাড়ানো হয় ধাপে ধাপে। তবে ঢালাও সুবিধা ধীরে ধীরে কমায় বাংলাদেশ ব্যাংক। ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তির কোনো অংশ জমা না দিয়েও খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ থাকলেও পরে তা কমানো হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনার কারণে চলতি বছর একজন ঋণগ্রহীতার যে পরিমাণ পরিশোধ করার কথা ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে কেউ ২৫ শতাংশ পরিশোধ করলে আর খেলাপি হবেন না।

ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো এ সুবিধা আরও বাড়ানোর দাবিতে চিঠি দিয়েছিল। তাদের যুক্তি হলো, বিশ্বে করোনা আবার বাড়ছে। ইউরোপ আমেরিকায় ভাইরাসটি আবার ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভালো হলেও রপ্তানির প্রধান কেন্দ্রে আবার নানা বিধিনিষেধ আসছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব তৈরি হবে। আর এটা হলে ব্যবসায়ীদের জন্য ঋণের কিস্তি জমা দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।