টাকা ছাড়া মেলে না বিনামূল্যের বই!

বিনা মূল্যের সরকারি বই বিতরণে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। নির্ধারিত সময়ে বই না দেয়া ও বিভিন্ন হয়রানির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে দাবি শিক্ষকদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতি ও শুক্রবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ২৮৪ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৭৩টি, ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৫টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। কিন্তু বিনা মূল্যের সরকারি বই বিতরণে বিদ্যালয় প্রধান ও তাদের প্রতিনিধি শিক্ষকদের জিম্মি করে ঘুষ নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগে জানা যায়, সরকারি বই পেতে প্রত্যেক কিন্ডারগার্টেন স্কুলকে ১২০০ টাকা, মাধ্যমিক স্কুল ৫০০ টাকা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো থেকে ৩০০ টাকা করে আদায় করা হয়।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নিয়োগ করা আদায়কারীর নিকট নির্ধারিত ওই ঘুষের টাকা দিলেই কেবল তাদের বই দেয়া হয়। অন্যথায় কোন বই দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়। তোফাজ্জল ও নাজমুল ইসলাম নামের দুই শিক্ষককে টাকা আদায়ের দায়িত্ব দেয়া হয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে। ওই অফিসের কর্মকর্তা নজমুল ইসলামের নির্দেশে তারা টাকা আদায় করছিলেন বলে দাবি ভুক্তভোগী শিক্ষকদের। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুল ইসলাম এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এই অভিযোগটি সত্য নয়।

সোমবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২২ , ১৯ পৌষ ১৪২৮ ২৯ জমাদিউল আউয়াল

টাকা ছাড়া মেলে না বিনামূল্যের বই!

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

বিনা মূল্যের সরকারি বই বিতরণে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। নির্ধারিত সময়ে বই না দেয়া ও বিভিন্ন হয়রানির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে দাবি শিক্ষকদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতি ও শুক্রবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ২৮৪ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৭৩টি, ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৫টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। কিন্তু বিনা মূল্যের সরকারি বই বিতরণে বিদ্যালয় প্রধান ও তাদের প্রতিনিধি শিক্ষকদের জিম্মি করে ঘুষ নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগে জানা যায়, সরকারি বই পেতে প্রত্যেক কিন্ডারগার্টেন স্কুলকে ১২০০ টাকা, মাধ্যমিক স্কুল ৫০০ টাকা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো থেকে ৩০০ টাকা করে আদায় করা হয়।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নিয়োগ করা আদায়কারীর নিকট নির্ধারিত ওই ঘুষের টাকা দিলেই কেবল তাদের বই দেয়া হয়। অন্যথায় কোন বই দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়। তোফাজ্জল ও নাজমুল ইসলাম নামের দুই শিক্ষককে টাকা আদায়ের দায়িত্ব দেয়া হয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে। ওই অফিসের কর্মকর্তা নজমুল ইসলামের নির্দেশে তারা টাকা আদায় করছিলেন বলে দাবি ভুক্তভোগী শিক্ষকদের। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুল ইসলাম এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এই অভিযোগটি সত্য নয়।