সোলেইমানি হত্যা

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান

ইরানের সাবেক শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইরান। দুই বছর আগে ইরানের এই জেনারেলকে বাগদাদের একটি বন্দরের কাছে ড্রোন হামলার মাধ্যমে হত্যা করা হয়।

ইরান জানিয়েছে, কাসেম সোলেইমানি ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস বা আইআরজিসির কুদস ফোর্সের তৎকালীন কমান্ডার ছিলেন। ইরাকের রাজধানী বাগদাদে কূটনৈতিক মিশনে থাকাকালীন তাকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হত্যা করা হয়। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের আইন বিভাগ। চিঠিতে কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার জন্য একটি রেজ্যুলেশন জারি করে যুক্তরাষ্ট্রকে নিন্দা ও ভবিষ্যতে অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণে নিরুৎসাহিত করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। চিঠিতে আরও বলা হয়, মার্কিন সরকারগুলো বছরের পর বছর একতরফাভাবে তাদের আগ্রাসী কর্মকা- পরিচালনা করে আসছে। যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি লঙ্ঘন করছে তারা। ৩ জানুয়ারি জেনারেল সোলেইমানির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীকে সামনে রেখে এমন পদক্ষেপ নিলো ইরান।

তাছাড়া গত বছর ইন্টারপোলের কাছে ট্রাম্পসহ কয়েক ডজন মার্কিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করারও অনুরোধ করেছিল ইরান। তাদের বিরুদ্ধে ইরাকি আদালতও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। সোলেইমানিকে হত্যার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। জানা গেছে, ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। সর্বোচ্চ নেতা খামেনির পরেই ছিল তার স্থান। এমনকি প্রেসিডেন্ট আর সরকারের চেয়েও ইরানে তার কথার মূল্য ছিল বেশি। সোলেইমানিকে অনেকে দুনিয়ার এক নম্বর জেনারেল বলতেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বুশ আর ওবামা তাকে হত্যা পরিকল্পনা করে পিছিয়ে আসলেও ট্রাম্প তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সোমবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২২ , ১৯ পৌষ ১৪২৮ ২৯ জমাদিউল আউয়াল

সোলেইমানি হত্যা

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান

image

ইরানের সাবেক শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইরান। দুই বছর আগে ইরানের এই জেনারেলকে বাগদাদের একটি বন্দরের কাছে ড্রোন হামলার মাধ্যমে হত্যা করা হয়।

ইরান জানিয়েছে, কাসেম সোলেইমানি ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস বা আইআরজিসির কুদস ফোর্সের তৎকালীন কমান্ডার ছিলেন। ইরাকের রাজধানী বাগদাদে কূটনৈতিক মিশনে থাকাকালীন তাকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হত্যা করা হয়। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের আইন বিভাগ। চিঠিতে কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার জন্য একটি রেজ্যুলেশন জারি করে যুক্তরাষ্ট্রকে নিন্দা ও ভবিষ্যতে অনুরূপ পদক্ষেপ গ্রহণে নিরুৎসাহিত করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। চিঠিতে আরও বলা হয়, মার্কিন সরকারগুলো বছরের পর বছর একতরফাভাবে তাদের আগ্রাসী কর্মকা- পরিচালনা করে আসছে। যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি লঙ্ঘন করছে তারা। ৩ জানুয়ারি জেনারেল সোলেইমানির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীকে সামনে রেখে এমন পদক্ষেপ নিলো ইরান।

তাছাড়া গত বছর ইন্টারপোলের কাছে ট্রাম্পসহ কয়েক ডজন মার্কিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করারও অনুরোধ করেছিল ইরান। তাদের বিরুদ্ধে ইরাকি আদালতও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। সোলেইমানিকে হত্যার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। জানা গেছে, ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। সর্বোচ্চ নেতা খামেনির পরেই ছিল তার স্থান। এমনকি প্রেসিডেন্ট আর সরকারের চেয়েও ইরানে তার কথার মূল্য ছিল বেশি। সোলেইমানিকে অনেকে দুনিয়ার এক নম্বর জেনারেল বলতেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বুশ আর ওবামা তাকে হত্যা পরিকল্পনা করে পিছিয়ে আসলেও ট্রাম্প তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।