রাষ্ট্রপতিকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকার পরামর্শ বিকল্পধারার

আইন ছাড়া ইসি হয় সরকারের আজ্ঞাবহ গণফোরাম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পঞ্চাশ বছরেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সংবিধান অনুযায়ী আইন হয়নি। ফলে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। বিকল্পধারা বলছে, ‘জাতি চায় রাষ্ট্রপতির পদটি সবসময় বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকুক।’ তাই ইসি গঠনে আইন প্রণয়নে জরুরি পদক্ষেপ নিতে রাষ্ট্রপতির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ।

একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ইসি গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে কাছে ৩ দফা সুপারিশ পেশ করে সার্চ কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য দেশের তিনজন বরেণ্য ব্যক্তির নামও প্রস্তাব করেছে দলটি।

ইসি গঠন নিয়ে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিকল্পধারার নেতারা। দলের মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বিকল্পধারার লিখিত প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।

সুপারিশগুলো হলোÑ (১) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো সার্চ কমিটির কাছে নির্বাচন কমিশনের জন্য একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও একজন কমিশনারের নাম প্রস্তাব করবেন। (২) প্রস্তাবিত নাম থেকে সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য নাম (প্রয়োজনীয় সংখ্যক) রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবেন। (৩) সার্চ কমিটি গঠনের জন্য বিকল্পধারা বাংলাদেশ দেশের তিনজন বিশিষ্ট নাগরিক বা ঊর্ধ্বতন পদাধিকারীর নাম সুপারিশ করছে, এরা হলেনÑ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

সংলাপে মহাসচিবের নেতৃত্বে¡ বিকল্পধারার সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে, দলের মুখপাত্র ও সংসদ সদস্য মাহী বি. চৌধুরী, মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ও সাহিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব এনায়েত কবির।

লিখিত প্রস্তাবনায় বলা হয়, ‘সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানাবলীর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ৫০ বছরেও নির্বাচন কমিশন গঠনে বিধানাবলী তথা আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এর ফলে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে জনমনে প্রশ্ন থেকেই যায়। যা গণতন্ত্রের জন্য অনেক সময় শুভ হয় না ।’

প্রস্তাবনায় রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে বলা হয়, ‘আপনি সংবিধানে বর্ণিত নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। জাতি চায় রাষ্ট্রপতির পদটি সবসময় বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকুক।’ তবে সময় স্বল্পতার কারণে হয়ত আইন প্রণয়ন সম্ভব নয়, এমন মন্তব্য করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানায় বিকল্পধারা।

আইন ছাড়া ইসি হয় সরকারের আজ্ঞাবহ : গণফোরাম

অতীতে যেভাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়েছে, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। আইনি প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে ইসি গঠন হলে তা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়। তারা (কমিশনাররা) সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে যায়।

গতকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষ করে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে গণফোরামের নেতা সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের (গণফেরামের) দাবি লিখিতভাবে করেছি। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, তিনি সরকারের কাছে আমাদের দাবি পৌঁছে দেবেন।’ সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন জনগণের কাছে ‘গ্রহণযোগ্য হয়নি’ বলে মনে করেন মোকব্বির।

সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন হলে তার অধীনে গণফোরাম নির্বাচনে অংশ নেবে কি নাÑ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা গণফোরাম বসে সিদ্ধান্ত নেব। এককভাবে বলতে পারি না।’

গণফোরামের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি বলেছেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেয়াই এই আলোচনার লক্ষ্য। তিনি বলেছেন, রাজনীতিবিদদের অনুকরণীয় এমন কিছু করা দরকার যা থেকে নতুন প্রজন্ম শিক্ষা নিয়ে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে। প্রেস সচিব জানান, গণফোরামের প্রতিনিধি দল নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নসহ কয়েকটি প্রস্তাব দেয়।

গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন সংলাপে যাননি। সংলাপে কামাল হোসেনকে না যেতে গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে আহ্বান জানিয়েছিলেন। অবশ্য গত ২৯ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে গণফোরাম তাদের আট সদস্যের প্রতিনিধি দলের যে তালিকা পাঠায় তাতে কামাল হোসেনের নাম ছিল না।

দলের সভাপতি কামাল হোসেন কেন আসেননি- জানতে চাইলে মোকাব্বির সাংবাদিকদের বলেন, ‘জানেন তো উনি অসুস্থ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেই উনি যান না।’ কামাল হোসেনের সম্মতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে তারা যোগ দিয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কামাল হোসেন স্যার কখনোই এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন না। উনি বলেছেন, আপনারা গণফোরাম সিদ্ধান্ত নেন। এরপর বর্ধিত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েই আমরা সংলাপে এসেছি।’

সংলাপে মোকাব্বির খানের নেতৃত্বে গণফোরামের প্রতিনিধি দলে ছিলেন, আ ও ম শফিক উল্লাহ, মোস্তাক আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার হারুন আর রশীদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগম, অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর ও শাহ নুরুজ্জামান।

সোমবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২২ , ১৯ পৌষ ১৪২৮ ২৯ জমাদিউল আউয়াল

রাষ্ট্রপতিকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকার পরামর্শ বিকল্পধারার

আইন ছাড়া ইসি হয় সরকারের আজ্ঞাবহ গণফোরাম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

পঞ্চাশ বছরেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সংবিধান অনুযায়ী আইন হয়নি। ফলে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। বিকল্পধারা বলছে, ‘জাতি চায় রাষ্ট্রপতির পদটি সবসময় বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকুক।’ তাই ইসি গঠনে আইন প্রণয়নে জরুরি পদক্ষেপ নিতে রাষ্ট্রপতির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ।

একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ইসি গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে কাছে ৩ দফা সুপারিশ পেশ করে সার্চ কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য দেশের তিনজন বরেণ্য ব্যক্তির নামও প্রস্তাব করেছে দলটি।

ইসি গঠন নিয়ে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিকল্পধারার নেতারা। দলের মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বিকল্পধারার লিখিত প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।

সুপারিশগুলো হলোÑ (১) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো সার্চ কমিটির কাছে নির্বাচন কমিশনের জন্য একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও একজন কমিশনারের নাম প্রস্তাব করবেন। (২) প্রস্তাবিত নাম থেকে সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য নাম (প্রয়োজনীয় সংখ্যক) রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবেন। (৩) সার্চ কমিটি গঠনের জন্য বিকল্পধারা বাংলাদেশ দেশের তিনজন বিশিষ্ট নাগরিক বা ঊর্ধ্বতন পদাধিকারীর নাম সুপারিশ করছে, এরা হলেনÑ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

সংলাপে মহাসচিবের নেতৃত্বে¡ বিকল্পধারার সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে, দলের মুখপাত্র ও সংসদ সদস্য মাহী বি. চৌধুরী, মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ও সাহিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব এনায়েত কবির।

লিখিত প্রস্তাবনায় বলা হয়, ‘সংবিধানে নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানাবলীর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ৫০ বছরেও নির্বাচন কমিশন গঠনে বিধানাবলী তথা আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এর ফলে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে জনমনে প্রশ্ন থেকেই যায়। যা গণতন্ত্রের জন্য অনেক সময় শুভ হয় না ।’

প্রস্তাবনায় রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে বলা হয়, ‘আপনি সংবিধানে বর্ণিত নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। জাতি চায় রাষ্ট্রপতির পদটি সবসময় বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকুক।’ তবে সময় স্বল্পতার কারণে হয়ত আইন প্রণয়ন সম্ভব নয়, এমন মন্তব্য করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানায় বিকল্পধারা।

আইন ছাড়া ইসি হয় সরকারের আজ্ঞাবহ : গণফোরাম

অতীতে যেভাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়েছে, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। আইনি প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে ইসি গঠন হলে তা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়। তারা (কমিশনাররা) সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে যায়।

গতকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষ করে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে গণফোরামের নেতা সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের (গণফেরামের) দাবি লিখিতভাবে করেছি। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, তিনি সরকারের কাছে আমাদের দাবি পৌঁছে দেবেন।’ সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন জনগণের কাছে ‘গ্রহণযোগ্য হয়নি’ বলে মনে করেন মোকব্বির।

সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন হলে তার অধীনে গণফোরাম নির্বাচনে অংশ নেবে কি নাÑ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা গণফোরাম বসে সিদ্ধান্ত নেব। এককভাবে বলতে পারি না।’

গণফোরামের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি বলেছেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেয়াই এই আলোচনার লক্ষ্য। তিনি বলেছেন, রাজনীতিবিদদের অনুকরণীয় এমন কিছু করা দরকার যা থেকে নতুন প্রজন্ম শিক্ষা নিয়ে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে। প্রেস সচিব জানান, গণফোরামের প্রতিনিধি দল নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নসহ কয়েকটি প্রস্তাব দেয়।

গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন সংলাপে যাননি। সংলাপে কামাল হোসেনকে না যেতে গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে আহ্বান জানিয়েছিলেন। অবশ্য গত ২৯ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে গণফোরাম তাদের আট সদস্যের প্রতিনিধি দলের যে তালিকা পাঠায় তাতে কামাল হোসেনের নাম ছিল না।

দলের সভাপতি কামাল হোসেন কেন আসেননি- জানতে চাইলে মোকাব্বির সাংবাদিকদের বলেন, ‘জানেন তো উনি অসুস্থ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেই উনি যান না।’ কামাল হোসেনের সম্মতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে তারা যোগ দিয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কামাল হোসেন স্যার কখনোই এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন না। উনি বলেছেন, আপনারা গণফোরাম সিদ্ধান্ত নেন। এরপর বর্ধিত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েই আমরা সংলাপে এসেছি।’

সংলাপে মোকাব্বির খানের নেতৃত্বে গণফোরামের প্রতিনিধি দলে ছিলেন, আ ও ম শফিক উল্লাহ, মোস্তাক আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার হারুন আর রশীদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগম, অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর ও শাহ নুরুজ্জামান।