দুর্নীতি একটি ক্যান্সার, দুর্নীতির ব্যাপারে কোন কম্প্রোমাইজ নয় : প্রধান বিচারপতি

বিচার বিভাগে কোন দুষ্ট ক্ষতকে ন্যূনতম প্রশ্রয় দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। গতকাল আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচারকক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের পক্ষ দেয়া সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রথা অনুসারে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষে সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা জানিয়ে বক্তব্য দেন।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বিচার কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই অভিপ্রায় জানাতে চাই যে, বিচার বিভাগে কোন দুষ্ট ক্ষতকে আমরা ন্যূনতম প্রশ্রয় দেব না। দুর্নীতি একটি ক্যান্সার। কোন আঙুলে যদি ক্যানসার হয়, সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে, আঙুলটি কেটে ফেলা। দুর্নীতির ব্যাপারে আমি কোন কম্প্রোমাইজ করব না। চিহ্নিত হলে সঙ্গে সঙ্গে স্টাফ বা অফিসার যে-ই হোক না কেন, সাসপেন্ড করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সব শাখার অস্বচ্ছতা, অনিয়ম ও অযোগ্যতাকে নির্মূল করতে সবাইকে পাশে পাবো, এই আশা ব্যক্ত করছি।

মামলাজট নিরসন, বিচারপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা-গতিশীলতা আনা ও অনিয়ম অনুসন্ধানে পৃথক কমিটি গঠন করার কথাও বলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, দেশের সব অধস্তন আদালতে মামলাজট নিরসন ও বিচারপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা-গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে আটটি বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতিকে প্রধান করে একটি করে মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। প্রতি মাসে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রতিবেদন গ্রহণ করা হবে। পুরোনো মামলাগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নিষ্পত্তির বিষয়ে সুপারভাইজ ও মনিটরিং করা হবে।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, সুপ্রিম কোর্টে, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-সংক্রান্ত অভিযোগগুলো সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য একটি প্রিলিমিনারি ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করা হবে।

বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, সীমিত সম্পদ ও সামর্থ্যরে সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে, বিচারিক সময় ও দক্ষতার পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিতে প্রত্যেক বিচারককে মামলা নিষ্পত্তিতে অভূতপূর্ব অভিযাত্রায় অগ্রসেনানী হওয়ার এক ইতিবাচক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, আইন কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২২ , ১৯ পৌষ ১৪২৮ ২৯ জমাদিউল আউয়াল

দুর্নীতি একটি ক্যান্সার, দুর্নীতির ব্যাপারে কোন কম্প্রোমাইজ নয় : প্রধান বিচারপতি

আদালত বার্তা পরিবেশক

বিচার বিভাগে কোন দুষ্ট ক্ষতকে ন্যূনতম প্রশ্রয় দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। গতকাল আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচারকক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের পক্ষ দেয়া সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রথা অনুসারে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষে সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা জানিয়ে বক্তব্য দেন।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বিচার কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই অভিপ্রায় জানাতে চাই যে, বিচার বিভাগে কোন দুষ্ট ক্ষতকে আমরা ন্যূনতম প্রশ্রয় দেব না। দুর্নীতি একটি ক্যান্সার। কোন আঙুলে যদি ক্যানসার হয়, সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে, আঙুলটি কেটে ফেলা। দুর্নীতির ব্যাপারে আমি কোন কম্প্রোমাইজ করব না। চিহ্নিত হলে সঙ্গে সঙ্গে স্টাফ বা অফিসার যে-ই হোক না কেন, সাসপেন্ড করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সব শাখার অস্বচ্ছতা, অনিয়ম ও অযোগ্যতাকে নির্মূল করতে সবাইকে পাশে পাবো, এই আশা ব্যক্ত করছি।

মামলাজট নিরসন, বিচারপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা-গতিশীলতা আনা ও অনিয়ম অনুসন্ধানে পৃথক কমিটি গঠন করার কথাও বলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, দেশের সব অধস্তন আদালতে মামলাজট নিরসন ও বিচারপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা-গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে আটটি বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতিকে প্রধান করে একটি করে মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। প্রতি মাসে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রতিবেদন গ্রহণ করা হবে। পুরোনো মামলাগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নিষ্পত্তির বিষয়ে সুপারভাইজ ও মনিটরিং করা হবে।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, সুপ্রিম কোর্টে, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-সংক্রান্ত অভিযোগগুলো সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য একটি প্রিলিমিনারি ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করা হবে।

বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, সীমিত সম্পদ ও সামর্থ্যরে সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে, বিচারিক সময় ও দক্ষতার পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিতে প্রত্যেক বিচারককে মামলা নিষ্পত্তিতে অভূতপূর্ব অভিযাত্রায় অগ্রসেনানী হওয়ার এক ইতিবাচক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, আইন কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।