প্রথম টেস্টের ৩য় দিন

নায়ক মোমিনুল-লিটন, বড় রানের পথে বাংলাদেশ

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে নায়ক মোমিনুল-লিটন, বড় রানের পথে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও তিন অঙ্কে পা দিতে পারলেন না মাহমুদুল হাসান জয়, অধিনায়ক মোমিনুল হক ও লিটন দাস। তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ৪০১ রান করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে অধিনায়ক মোমিনুল ও লিটন পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন ১৫৮ রান। আশির ঘরে পৌঁছে দু’জনেই ফিরেন বোল্টের বলে। তৃতীয় দিন আরও চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলে ২২৬ রান। টাইগাররা এখন এগিয়ে ৭৩ রনে। হাতে রয়েছে ৪ উইকেট।

প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রান করেছিলো নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ১৭৫ রান করেছিলো বাংলাদেশ। আগের দিন মাহমুদুল হাসান জয় ৭০ ও মোমিনুল ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। গতকাল তৃতীয় দিনের ১৮তম বলেই আউট হন জয়। গালিতে নিকোলসকে ক্যাচ দেয়ার আগে ২২৮ বলে ৭টি চারে ৭৮ রান করেন তিনি।

দলের স্কোর দুইশত পার হবার পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মুশফিকুর রহিম। ট্রেন্ট বোল্টের মিডল-স্টাম্পের বল স্কয়ার লেগে ফ্লিক করতে গিয়ে বোল্ড হন মুশফিক। ৫৩ বলে ১২ রান করেন তিনি। দলীয় ২০৩ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আউট হন মুশফিক। দিনের শুরুতে ১৯ রানের ব্যবধানে জয় ও মুশফিককে হারানোয় চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় চাপ থেকে দলকে মুক্ত করেন মোমিনুল ও লিটন। পরিস্তিতিতে ভালোভাবেই সামালে উঠেন তারা। ফলে দ্বিতীয় সেশনে অবিচ্ছিন্ন থেকে যান মোমিনুল ও লিটন। ঐ সেশনেই হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান তারা দু’জন। ১৪৭তম বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৫তম ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন মোমিনুল। চা-বিরতির আগের ওভারে ৯৩তম বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম ও নিউজিল্যান্ডের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান লিটন। তাই ৪ উইকেটে ৩০৭ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। এসময় মোমিনুল ৬১ ও লিটন ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন। এই সেশনে ২৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৮৭ রান তুলে লিড নেয়ার পথ তৈরি করেন মোমিনুল ও লিটন।

চা-বিরতির পর ৩১তম বলে লিড নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম লিড নিলো টাইগাররা। দলের লিড নিশ্চিত করার পরও নিজেদের ইনিংসগুলো স্বচ্ছন্দ্যে বড় করছিলেন মোমিনুল ও লিটন। দু’জনের ব্যাটিং দৃঢ়তায়, অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করার পথেই ছিলেন তারা। কিন্তু ২৪ বলের ব্যবধানে দু’জনইকে বিদায় দেন বোল্ট। ১৪১তম ওভারের শেষ বলে মোমিনুলকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন বোল্ট। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি মোমিনুল। ১২টি চারে ২৪৪ বলে ৮৮ রান করেন মোমিনুল। পঞ্চম উইকেটে লিটনের সঙ্গে ৩১৭ বলে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন মোমিনুল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেকোন উইকেটে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি। মোমিনুলকে শিকার করে দারুন এক ব্রেক-থ্রুর পর ১৪৫তম ওভারের পঞ্চম বলে লিটনের বিদায়ও নিশ্চিত করেন বোল্ট। অফ-স্টাম্পের বল খেলতে গিয়ে ভুল শটে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন লিটন। ১৭৭ বলে ৮৬ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ১০টি চার ছিলো। ক্রিজে ছিলেন ২৪৭ মিনিট। মোমিনুল ছিলেন ৩৭০ মিনিট। মোমিনুল-লিটনের বিদায়ের পর দিনের শেষ অংশ ভালোভাবে শেষ করেন ইয়াসির আলি ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ৬৭ বল খেলে অবিচ্ছিন্ন ৩১ রান যোগ করেন তারা। ইয়াসির ১১ ও মিরাজ ২০ রানে অপরাজিত। নিউজিল্যান্ডের বোল্ট ৬১ রানে ও ওয়াগনার ৯৮ রানে ৩টি করে উইকেট নেন।

মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২২ , ২০ পৌষ ১৪২৮ ৩০ জমাদিউল আউয়াল

প্রথম টেস্টের ৩য় দিন

নায়ক মোমিনুল-লিটন, বড় রানের পথে বাংলাদেশ

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১৫৮ রান যোগ করেন লিটন দাস ও মোমিনুল হক-বিসিবি

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে নায়ক মোমিনুল-লিটন, বড় রানের পথে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও তিন অঙ্কে পা দিতে পারলেন না মাহমুদুল হাসান জয়, অধিনায়ক মোমিনুল হক ও লিটন দাস। তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ৪০১ রান করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে অধিনায়ক মোমিনুল ও লিটন পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন ১৫৮ রান। আশির ঘরে পৌঁছে দু’জনেই ফিরেন বোল্টের বলে। তৃতীয় দিন আরও চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলে ২২৬ রান। টাইগাররা এখন এগিয়ে ৭৩ রনে। হাতে রয়েছে ৪ উইকেট।

প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রান করেছিলো নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ১৭৫ রান করেছিলো বাংলাদেশ। আগের দিন মাহমুদুল হাসান জয় ৭০ ও মোমিনুল ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। গতকাল তৃতীয় দিনের ১৮তম বলেই আউট হন জয়। গালিতে নিকোলসকে ক্যাচ দেয়ার আগে ২২৮ বলে ৭টি চারে ৭৮ রান করেন তিনি।

দলের স্কোর দুইশত পার হবার পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মুশফিকুর রহিম। ট্রেন্ট বোল্টের মিডল-স্টাম্পের বল স্কয়ার লেগে ফ্লিক করতে গিয়ে বোল্ড হন মুশফিক। ৫৩ বলে ১২ রান করেন তিনি। দলীয় ২০৩ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আউট হন মুশফিক। দিনের শুরুতে ১৯ রানের ব্যবধানে জয় ও মুশফিককে হারানোয় চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় চাপ থেকে দলকে মুক্ত করেন মোমিনুল ও লিটন। পরিস্তিতিতে ভালোভাবেই সামালে উঠেন তারা। ফলে দ্বিতীয় সেশনে অবিচ্ছিন্ন থেকে যান মোমিনুল ও লিটন। ঐ সেশনেই হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান তারা দু’জন। ১৪৭তম বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৫তম ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন মোমিনুল। চা-বিরতির আগের ওভারে ৯৩তম বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম ও নিউজিল্যান্ডের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান লিটন। তাই ৪ উইকেটে ৩০৭ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। এসময় মোমিনুল ৬১ ও লিটন ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন। এই সেশনে ২৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৮৭ রান তুলে লিড নেয়ার পথ তৈরি করেন মোমিনুল ও লিটন।

চা-বিরতির পর ৩১তম বলে লিড নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম লিড নিলো টাইগাররা। দলের লিড নিশ্চিত করার পরও নিজেদের ইনিংসগুলো স্বচ্ছন্দ্যে বড় করছিলেন মোমিনুল ও লিটন। দু’জনের ব্যাটিং দৃঢ়তায়, অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করার পথেই ছিলেন তারা। কিন্তু ২৪ বলের ব্যবধানে দু’জনইকে বিদায় দেন বোল্ট। ১৪১তম ওভারের শেষ বলে মোমিনুলকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন বোল্ট। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি মোমিনুল। ১২টি চারে ২৪৪ বলে ৮৮ রান করেন মোমিনুল। পঞ্চম উইকেটে লিটনের সঙ্গে ৩১৭ বলে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন মোমিনুল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেকোন উইকেটে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি। মোমিনুলকে শিকার করে দারুন এক ব্রেক-থ্রুর পর ১৪৫তম ওভারের পঞ্চম বলে লিটনের বিদায়ও নিশ্চিত করেন বোল্ট। অফ-স্টাম্পের বল খেলতে গিয়ে ভুল শটে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন লিটন। ১৭৭ বলে ৮৬ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ১০টি চার ছিলো। ক্রিজে ছিলেন ২৪৭ মিনিট। মোমিনুল ছিলেন ৩৭০ মিনিট। মোমিনুল-লিটনের বিদায়ের পর দিনের শেষ অংশ ভালোভাবে শেষ করেন ইয়াসির আলি ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ৬৭ বল খেলে অবিচ্ছিন্ন ৩১ রান যোগ করেন তারা। ইয়াসির ১১ ও মিরাজ ২০ রানে অপরাজিত। নিউজিল্যান্ডের বোল্ট ৬১ রানে ও ওয়াগনার ৯৮ রানে ৩টি করে উইকেট নেন।