হংকংয়ে সাংবাদিক হয়রানি, বন্ধ হলো আরও একটি সংবাদমাধ্যম

হংকংয়ে অনেক দিন ধরেই সাংবাদিকদের ওপর ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। চালানো হচ্ছে তল্লাশি অভিযান। সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্ট্যান্ড নিউজের সাবেক ও বর্তমান ৭ সাংবাদিকে। এমনকি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এমন পরিস্থিতিতে হংকংয়ের সাংবাদিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বন্ধ হলো সিটিজেন নিউজ নামের আরও একটি সংবাদমাধ্যম। এ নিয়ে মোট তিনটি সংবাদমাধ্যম বন্ধ হলো চীনের এই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিতে। গতকাল সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

কয়েকদিন আগে হংকংয়ের অনলাইন খবরের পোর্টাল স্ট্যান্ড নিউজের অফিসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশি চালানো হয় সাংবাদিকদের বাড়িতেও। পরে ছয় সাংবাদিককে গেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ। তবে বিবৃতিতে সাংবাদিকদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশের অভিযোগ, খবরের নামে দেশবিরোধী লেখা প্রকাশ করা হচ্ছিল। ওয়ারেন্ট নিয়েই তাদের দপ্তরে যাওয়া হয়েছিল। ছয় সাংবাদিকের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং তিনজন নারী। কয়েকজন ওই পোর্টালের সাবেক সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সাংবাদিক গ্রেপ্তার হওয়ার পর হংকংজুড়ে নতুন করে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। চীন যে নতুন আইন তৈরি করেছে, তা নিয়ে ফের সরব হয়েছেন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিরা। এর আগেও সাংবাদিক এবং খবরের কাগজের সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হংকংয়ে। চীনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

॥সাংবাদিকতার পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে সিটিজেন নিউজ জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে তারা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করবে। কর্মীদের কথা চিন্তা করেই কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিটিজেন নিউজ হংকংয়ের বৃহত্তম স্বাধীন সংবাদমাধ্যম। ২০২১ সালের জুন মাসে বন্ধ হয় অ্যাপল ডেইলি ও সম্প্রতি বন্ধ হয় স্ট্যান্ড নিউজ।

সিটিজেন নিউজ এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, সবার নিরাপত্তার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কারণ গত দুই বছরে হংকংয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। একই সঙ্গে মিডিয়ার ওপর চাপও বেড়েছে। সুতরাং এমন পরিস্থিতিতে কাজ করা সম্ভব নয় বলেও জানায় নিউজ কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রদ্রোহী সংবাদ প্রকাশের ষড়যন্ত্রের অজুহাতে স্ট্যান্ড নিউজের কিছু সাবেক ও বর্তমান কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় দুই শতাধিক পুলিশ পত্রিকা অফিসটিতে তল্লাশি চালায়। তাদের মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনেছে পুলিশ। তারা দুজনেই গণতন্ত্রপন্থি সংবাদমাধ্যমটির সাবেক সিনিয়র সম্পাদক।

মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২২ , ২০ পৌষ ১৪২৮ ৩০ জমাদিউল আউয়াল

হংকংয়ে সাংবাদিক হয়রানি, বন্ধ হলো আরও একটি সংবাদমাধ্যম

হংকংয়ে অনেক দিন ধরেই সাংবাদিকদের ওপর ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। চালানো হচ্ছে তল্লাশি অভিযান। সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্ট্যান্ড নিউজের সাবেক ও বর্তমান ৭ সাংবাদিকে। এমনকি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এমন পরিস্থিতিতে হংকংয়ের সাংবাদিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বন্ধ হলো সিটিজেন নিউজ নামের আরও একটি সংবাদমাধ্যম। এ নিয়ে মোট তিনটি সংবাদমাধ্যম বন্ধ হলো চীনের এই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিতে। গতকাল সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

কয়েকদিন আগে হংকংয়ের অনলাইন খবরের পোর্টাল স্ট্যান্ড নিউজের অফিসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশি চালানো হয় সাংবাদিকদের বাড়িতেও। পরে ছয় সাংবাদিককে গেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ। তবে বিবৃতিতে সাংবাদিকদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশের অভিযোগ, খবরের নামে দেশবিরোধী লেখা প্রকাশ করা হচ্ছিল। ওয়ারেন্ট নিয়েই তাদের দপ্তরে যাওয়া হয়েছিল। ছয় সাংবাদিকের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং তিনজন নারী। কয়েকজন ওই পোর্টালের সাবেক সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সাংবাদিক গ্রেপ্তার হওয়ার পর হংকংজুড়ে নতুন করে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। চীন যে নতুন আইন তৈরি করেছে, তা নিয়ে ফের সরব হয়েছেন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিরা। এর আগেও সাংবাদিক এবং খবরের কাগজের সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হংকংয়ে। চীনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

॥সাংবাদিকতার পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে সিটিজেন নিউজ জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে তারা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করবে। কর্মীদের কথা চিন্তা করেই কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিটিজেন নিউজ হংকংয়ের বৃহত্তম স্বাধীন সংবাদমাধ্যম। ২০২১ সালের জুন মাসে বন্ধ হয় অ্যাপল ডেইলি ও সম্প্রতি বন্ধ হয় স্ট্যান্ড নিউজ।

সিটিজেন নিউজ এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, সবার নিরাপত্তার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কারণ গত দুই বছরে হংকংয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। একই সঙ্গে মিডিয়ার ওপর চাপও বেড়েছে। সুতরাং এমন পরিস্থিতিতে কাজ করা সম্ভব নয় বলেও জানায় নিউজ কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রদ্রোহী সংবাদ প্রকাশের ষড়যন্ত্রের অজুহাতে স্ট্যান্ড নিউজের কিছু সাবেক ও বর্তমান কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় দুই শতাধিক পুলিশ পত্রিকা অফিসটিতে তল্লাশি চালায়। তাদের মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনেছে পুলিশ। তারা দুজনেই গণতন্ত্রপন্থি সংবাদমাধ্যমটির সাবেক সিনিয়র সম্পাদক।