ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পকলার মহাপরিচালক পদে থেকে লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। লাকীর বিরুদ্ধে ৩ দফায় ডিজির পদে থেকে শিল্পকলায় বিভিন্ন সময়ে নিয়োগে ‘অনীয়ম’, ‘উৎকোচ’ নেয়া, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ না করে ‘অর্থ আত্মসাতসহ’ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পর কমিশনে বৈঠকে আরও গভীর অনুসন্ধানের জন্য গত রোববার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুসন্ধান টিমও গঠন করে। প্রাথমিক অভিযোগে ২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অনুসন্ধানে নামলেও দুদকের কাছে লাকীর বিরুদ্ধে আরও বড় দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এছাড়া লাকী সিন্ডিকেটের আরও ৮ কর্মকর্তার প্রায় ৬০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে।
লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান প্রসঙ্গে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান গতকাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক মো. লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এছাড়া দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করা অর্থের একটি বড় অংশ দেশের বাইরে বিভিন্ন সময়ে পাচারেরও তথ্য পেয়েছে দুদক। এসব কারণে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক জানান, গত রোববার কমিশনের বৈঠকে মো. লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য টিম গঠন করেছে দুদক। দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধান টিমের তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান শাখা-২ এর পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে। অনুসন্ধানকারী টিমকে দুদক বিধিমালা-২০০৭ মোতাবেক অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পকলার বিভিন্ন কর্মকা-ের নামে অনিয়ম ও দুর্নীতির একটি অভিযোগ দুদক কমিশনে জমা পড়ে। অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদক বিভিন্ন মহল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। এছাড়া কিছু নথিপত্রও সংগ্রহ করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে লিয়াকত আলীর লাকির বিরুদ্ধে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার, অনুষ্ঠান না করে টাকা তুলে নেয়া, উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্নভাবে দুর্নীতির বেশকিছু তথ্য পায়।
দুদকের অনুসন্ধান টিমের কাছে থাকা অভিযোগে বলা হয়, লিয়াকত আলী লাকী প্রায় এক যুগ ধরে শিল্পকলা একাডেমির ডিজির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তিনি গত বছরের ৩০ জুন বিভিন্ন ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরের ৩০ জুন একজন সচিবকে দায়িত্ব দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখিয়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তাকে এই কাজে সহায়তা করেন দু’জন কালচার অফিসার সহকারী পরিচালক (হিসাব) আল হেলাল ও উপ-পরিচালক (অর্থ) শফিকুল ইসলাম।
গত বছরের ৩০ জুন ৮ জন কালচার অফিসারকে জেলায় বদলি করে মন্ত্রণালয়। ডিজি প্রায় ৩ কোটি টাকা খরচ করে তাদের বদলির আদেশ বাতিল করান। এরপর এসব কর্মকর্তাদের নিয়ে মিটিং করে অনুষ্ঠান দেখিয়ে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
তিনি বিভিন্ন জেলার কালচার অফিসারদের ঢাকায় এনে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। একইসঙ্গে তার সিন্ডিকেটের ৮ জন জেলা কালচার অফিসার বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ। এসব অফিসারের মধ্যে চাকলাদার মাসুদ সুমন ১০ কোটি টাকা, এরশাদ হাসান ৫ কোটি টাকা, সুজন মাহবুব ৫ কোটি টাকা, মোস্তাক আহমেদ ১০ কোটি ও ও ৫টি মাইক্রোবাস, বাকিবিল বরী ৫ কোটি, রিফাত জাহান ৫ কোটি, আল-হেলাল ১০ কোটি ও শহিদুল ইসলাম ১০ কোটি টাকা অর্জন করেন।
অভিযোগে বলা হয়, করোনার কারণে এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়নি। কিন্তু ১২-১৫ কোটি বাজেট ‘লোপাটের‘ জন্য ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান করে কাগজপত্র তৈরি করেন। যারা চারুলার কাজ বুঝেন তাদের এর সঙ্গে যুক্ত রাখা হয়নি। তিনি অর্থ লোপাটের উদ্যেশে নিজের পছন্দের লোক দিয়ে চারুকলা প্রদর্শনীর আয়োজনের জোট বাধেন।
২০২০-২১ অর্থবছরের শিল্পকলা একাডেমির অব্যয়িত ৩৫ কোটি টাকা লোপাটের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অর্থ আত্মসাতের পথ সুগম করতে তিনি একাডেমি সচিবকে জুন মাসে সরিয়ে দিয়ে অন্য একজনকে সচিবের দায়িত্ব দিয়ে প্রতি বছর জুন মাসে ২৫-৩০ কোটি টাকা লোপাট করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ৩০ জুন শিল্পকলা একাডেমির আগের সচিব নওশাদ হোসেন বদলি হলে ওইদিনই নতুন আদেশ জারি করে একাডেমির চুক্তিভিত্তিক পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিমকে সচিবের দায়িত্ব দেন লাকী। এরপর ৩০ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে ২৬ কোটি টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সংগীত বিভাগের কক্ষে ব্যবহারের জন্য পর্দা, ক্রোকারিজ ও ফার্নিচার না কিনে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ, ‘ডান্স এগেইনস্ট করোনা’ কর্মসূচির আওতায় নৃত্যদলের সম্মানী, হার্ডডিস্ক ক্রয়, ডকুমেন্টেশন, প্রপস-কস্টিউম, প্রচার ও বিবিধ ব্যয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২২ , ২০ পৌষ ১৪২৮ ৩০ জমাদিউল আউয়াল
সাইফ বাবলু
ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পকলার মহাপরিচালক পদে থেকে লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। লাকীর বিরুদ্ধে ৩ দফায় ডিজির পদে থেকে শিল্পকলায় বিভিন্ন সময়ে নিয়োগে ‘অনীয়ম’, ‘উৎকোচ’ নেয়া, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ না করে ‘অর্থ আত্মসাতসহ’ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পর কমিশনে বৈঠকে আরও গভীর অনুসন্ধানের জন্য গত রোববার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুসন্ধান টিমও গঠন করে। প্রাথমিক অভিযোগে ২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অনুসন্ধানে নামলেও দুদকের কাছে লাকীর বিরুদ্ধে আরও বড় দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এছাড়া লাকী সিন্ডিকেটের আরও ৮ কর্মকর্তার প্রায় ৬০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুই সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে।
লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান প্রসঙ্গে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান গতকাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক মো. লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এছাড়া দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করা অর্থের একটি বড় অংশ দেশের বাইরে বিভিন্ন সময়ে পাচারেরও তথ্য পেয়েছে দুদক। এসব কারণে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক জানান, গত রোববার কমিশনের বৈঠকে মো. লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য টিম গঠন করেছে দুদক। দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধান টিমের তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান শাখা-২ এর পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে। অনুসন্ধানকারী টিমকে দুদক বিধিমালা-২০০৭ মোতাবেক অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পকলার বিভিন্ন কর্মকা-ের নামে অনিয়ম ও দুর্নীতির একটি অভিযোগ দুদক কমিশনে জমা পড়ে। অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদক বিভিন্ন মহল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। এছাড়া কিছু নথিপত্রও সংগ্রহ করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে লিয়াকত আলীর লাকির বিরুদ্ধে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার, অনুষ্ঠান না করে টাকা তুলে নেয়া, উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্নভাবে দুর্নীতির বেশকিছু তথ্য পায়।
দুদকের অনুসন্ধান টিমের কাছে থাকা অভিযোগে বলা হয়, লিয়াকত আলী লাকী প্রায় এক যুগ ধরে শিল্পকলা একাডেমির ডিজির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তিনি গত বছরের ৩০ জুন বিভিন্ন ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরের ৩০ জুন একজন সচিবকে দায়িত্ব দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখিয়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তাকে এই কাজে সহায়তা করেন দু’জন কালচার অফিসার সহকারী পরিচালক (হিসাব) আল হেলাল ও উপ-পরিচালক (অর্থ) শফিকুল ইসলাম।
গত বছরের ৩০ জুন ৮ জন কালচার অফিসারকে জেলায় বদলি করে মন্ত্রণালয়। ডিজি প্রায় ৩ কোটি টাকা খরচ করে তাদের বদলির আদেশ বাতিল করান। এরপর এসব কর্মকর্তাদের নিয়ে মিটিং করে অনুষ্ঠান দেখিয়ে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
তিনি বিভিন্ন জেলার কালচার অফিসারদের ঢাকায় এনে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। একইসঙ্গে তার সিন্ডিকেটের ৮ জন জেলা কালচার অফিসার বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ। এসব অফিসারের মধ্যে চাকলাদার মাসুদ সুমন ১০ কোটি টাকা, এরশাদ হাসান ৫ কোটি টাকা, সুজন মাহবুব ৫ কোটি টাকা, মোস্তাক আহমেদ ১০ কোটি ও ও ৫টি মাইক্রোবাস, বাকিবিল বরী ৫ কোটি, রিফাত জাহান ৫ কোটি, আল-হেলাল ১০ কোটি ও শহিদুল ইসলাম ১০ কোটি টাকা অর্জন করেন।
অভিযোগে বলা হয়, করোনার কারণে এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়নি। কিন্তু ১২-১৫ কোটি বাজেট ‘লোপাটের‘ জন্য ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান করে কাগজপত্র তৈরি করেন। যারা চারুলার কাজ বুঝেন তাদের এর সঙ্গে যুক্ত রাখা হয়নি। তিনি অর্থ লোপাটের উদ্যেশে নিজের পছন্দের লোক দিয়ে চারুকলা প্রদর্শনীর আয়োজনের জোট বাধেন।
২০২০-২১ অর্থবছরের শিল্পকলা একাডেমির অব্যয়িত ৩৫ কোটি টাকা লোপাটের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অর্থ আত্মসাতের পথ সুগম করতে তিনি একাডেমি সচিবকে জুন মাসে সরিয়ে দিয়ে অন্য একজনকে সচিবের দায়িত্ব দিয়ে প্রতি বছর জুন মাসে ২৫-৩০ কোটি টাকা লোপাট করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ৩০ জুন শিল্পকলা একাডেমির আগের সচিব নওশাদ হোসেন বদলি হলে ওইদিনই নতুন আদেশ জারি করে একাডেমির চুক্তিভিত্তিক পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিমকে সচিবের দায়িত্ব দেন লাকী। এরপর ৩০ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে ২৬ কোটি টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সংগীত বিভাগের কক্ষে ব্যবহারের জন্য পর্দা, ক্রোকারিজ ও ফার্নিচার না কিনে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ, ‘ডান্স এগেইনস্ট করোনা’ কর্মসূচির আওতায় নৃত্যদলের সম্মানী, হার্ডডিস্ক ক্রয়, ডকুমেন্টেশন, প্রপস-কস্টিউম, প্রচার ও বিবিধ ব্যয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে।