এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ হারালেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। গতকাল দুপুরে দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়। এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে নেয়া হয় তাকে।
দলীয় প্যাডে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তৈমুর আলমকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পদ থেকে প্রত্যাহারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে ২ জানুয়ারি তারিখ উল্লেখ রয়েছে। চিঠির একটি অনুলিপি জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে মামুন মাহমুদকে তার মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির এক নেতা জানান, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ায় প্রথমে তাকে জেলা বিএনপি আহ্বায়ক পদ থেকে সরানো হয়। তার স্থলে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে মনিরুল ইসলাম রবিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে তাকে।
এদিকে জানা যায়, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে অংশ না নিলেও নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি শুরুতে জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও দল তার সঙ্গে আছে। পরবর্তীতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয় বিএনপি। এরপর বিএনপির হাইকমান্ড থেকে নির্দেশ আসে, তৈমুর আলমের পক্ষে কোন বিএনপি নেতাকর্মী যেন কাজ না করে। তাকে বহিষ্কার করাও হতে পারে এমন আলোচনা তখন থেকেই চলছিল।
শহরজুড়ে আরও আলোচনা রয়েছে, তৈমুর আলম খন্দকারকে এই নির্বাচনে সমর্থন দিচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে বিরোধের জেরেই নিজ দলের প্রার্থীর বিপরীতে গিয়ে বিএনপি নেতা তৈমুর আলমকে সমর্থন দিয়েছেন শামীম ওসমান।
মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২২ , ২০ পৌষ ১৪২৮ ৩০ জমাদিউল আউয়াল
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ হারালেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। গতকাল দুপুরে দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়। এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে নেয়া হয় তাকে।
দলীয় প্যাডে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তৈমুর আলমকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পদ থেকে প্রত্যাহারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে ২ জানুয়ারি তারিখ উল্লেখ রয়েছে। চিঠির একটি অনুলিপি জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে মামুন মাহমুদকে তার মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির এক নেতা জানান, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়ায় প্রথমে তাকে জেলা বিএনপি আহ্বায়ক পদ থেকে সরানো হয়। তার স্থলে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে মনিরুল ইসলাম রবিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে তাকে।
এদিকে জানা যায়, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে অংশ না নিলেও নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকার। তিনি শুরুতে জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও দল তার সঙ্গে আছে। পরবর্তীতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয় বিএনপি। এরপর বিএনপির হাইকমান্ড থেকে নির্দেশ আসে, তৈমুর আলমের পক্ষে কোন বিএনপি নেতাকর্মী যেন কাজ না করে। তাকে বহিষ্কার করাও হতে পারে এমন আলোচনা তখন থেকেই চলছিল।
শহরজুড়ে আরও আলোচনা রয়েছে, তৈমুর আলম খন্দকারকে এই নির্বাচনে সমর্থন দিচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে বিরোধের জেরেই নিজ দলের প্রার্থীর বিপরীতে গিয়ে বিএনপি নেতা তৈমুর আলমকে সমর্থন দিয়েছেন শামীম ওসমান।