কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর তিন ইউনিয়নে ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএমে কিভাবে ভোট দিতে হয় তা জানেন না ওই তিন ইউনিয়নের বিপুলসংখ্যক ভোটার। ইভিএমে ভোটদান পদ্ধতি না জানায় ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সঠিকভাবে ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক ভোটার। অপরদিকে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হলে কতটুকু স্বচ্ছ হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবী, শিলখুড়ী ও ভূরুঙ্গামারী ইউপিতে ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচন ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে। এতে তিন ইউনিয়নের প্রায় ৭০ হাজার ৩৭৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভূরুঙ্গামারী নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৭৩৭ জন, শিলখুড়ী ইউনিয়নে ১৭ হাজার ৮৪৭ জন এবং ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নে ৩৩ হাজার ৭৯৩ জন ভোটার রয়েছেন। তিন ইউনিয়নের ৩৭টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটাররা এবারই প্রথম ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেবেন।
ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের গোলেনুর বেগম বলেন, লেখাপড়া জানিনা মেশিন দিয়া (দিয়ে) ক্যাদোন (কেমন) করি (করে) ভোট দেমো (দিবো)? আগোত (আগে) কোনদিন মেশিন দিয়া ভোট দেই নাই। অদোন (সেরকম) হইলে ভোট দিবারে (দিতেই) যাবার (যাবো) নই (না)।
পাথরডুবী ইউনিয়নের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হয় সেটা জানি না। ভোট দেয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে না দিলে কীভাবে ভোট দিবো!
ভূরুঙ্গামারীতে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে নিয়োজিত নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ একটি নির্ভুল পদ্ধতি। ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হলে কেউ জাল ভোট দিতে পারবে না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোট গণনা হবে। ইভিএমে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২২ , ২০ পৌষ ১৪২৮ ৩০ জমাদিউল আউয়াল
প্রতিনিধি, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর তিন ইউনিয়নে ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএমে কিভাবে ভোট দিতে হয় তা জানেন না ওই তিন ইউনিয়নের বিপুলসংখ্যক ভোটার। ইভিএমে ভোটদান পদ্ধতি না জানায় ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সঠিকভাবে ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক ভোটার। অপরদিকে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হলে কতটুকু স্বচ্ছ হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবী, শিলখুড়ী ও ভূরুঙ্গামারী ইউপিতে ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচন ইভিএমে অনুষ্ঠিত হবে। এতে তিন ইউনিয়নের প্রায় ৭০ হাজার ৩৭৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভূরুঙ্গামারী নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৭৩৭ জন, শিলখুড়ী ইউনিয়নে ১৭ হাজার ৮৪৭ জন এবং ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নে ৩৩ হাজার ৭৯৩ জন ভোটার রয়েছেন। তিন ইউনিয়নের ৩৭টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটাররা এবারই প্রথম ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেবেন।
ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের গোলেনুর বেগম বলেন, লেখাপড়া জানিনা মেশিন দিয়া (দিয়ে) ক্যাদোন (কেমন) করি (করে) ভোট দেমো (দিবো)? আগোত (আগে) কোনদিন মেশিন দিয়া ভোট দেই নাই। অদোন (সেরকম) হইলে ভোট দিবারে (দিতেই) যাবার (যাবো) নই (না)।
পাথরডুবী ইউনিয়নের মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হয় সেটা জানি না। ভোট দেয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে না দিলে কীভাবে ভোট দিবো!
ভূরুঙ্গামারীতে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে নিয়োজিত নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ একটি নির্ভুল পদ্ধতি। ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হলে কেউ জাল ভোট দিতে পারবে না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোট গণনা হবে। ইভিএমে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই।