ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯২টি পরিবার ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের পাকা ঘর পাবে। আগে এ মূল্য নির্ধারিত ছিল ২ লাখ টাকা। এ জন্য সরকার আরও ৬ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা ব্যয় করবে। ফলে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পটির চতুর্থ সংশোধন করা হবে।
বাংলাদেশে ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন, আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে উপকারভোগীদের দারিদ্র্য বিমোচন এবং ঋণ প্রদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।
গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এটিসহ ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ১১ হাজার ২১১ কোটি টাকা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। মূল অনুমোদিত প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ১৬৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এরপর প্রথম সংশোধিত ব্যয় ২ হাজার ২০৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সংশোধিত ব্যয় ছিল ৪ হাজার ৮৪০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। তৃতীয় সংশোধিত ব্যয় ছিল ৪ হাজার ৮২৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
কাজের পরিধি বাড়ার ফলে চতুর্থ সংশোধিত প্রস্তাবে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১১ হাজার ১৪২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ফলে পাঁচ লাখ মানুষকে পাকা বাড়ি দিতে সরকার আরও ৬ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা ব্যয় করবে। প্রকল্পটি অনুমোদনের পর জুন ২০২৩ মেয়াদে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
নানা কারণে প্রকল্পটি সংশোধন করা হচ্ছে। মুজিববর্ষে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ‘গৃহ প্রদান নীতিমালা-২০২০’ বাস্তবায়ন এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রকল্পের কাজ-২০২৩ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার সানুগ্রহ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আংশিক সংশোধিত ডিজাইন মোতাবেক একক গৃহের নির্মাণ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার ১৪৯টি পাকা ব্যারাক, চরাঞ্চলে ৫ হাজার ৭৮টি সিআইসিট ব্যারাক, ৪ হাজার ৩৯৩টি সেমিপাকা ব্যারাক নির্মাণ এবং ৬০টি বহুতল ভবন নির্মাণ হবে। ১ হাজার ১২০টি কমিউনিটি সেন্টার, ৫৮০টি বিশেষ ডিজাইনের ঘর, ৫৬৫টি ঘাটলা, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, বক্স কালভার্ট, পাকা ড্রেন ও সøপ প্রোটেকশন নির্মাণ করা হবে। সব প্রকল্প গ্রামে অগভীর-গভীর নলকূপ ও অভ্যন্তরীণ রাস্তাও থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবাসন সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে বিবেচনায় এটি ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
এছাড়া ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়কসমূহ উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২৪ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে এয়ারপোর্ট রোড সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়নের মাধ্যমে যানজট নিরসন ও নগরবাসীর জীবন-যাত্রার মানোন্নয়ন, ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে পথচারীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারের সুযোগ বৃদ্ধিকরণ এবং নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন।
প্রকল্পের আওতায় ৭৬৯ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন, এয়ারপোর্ট রোডে ৬০০ মিটার ওভারপাস নির্মাণ, ৩৮টি ফুটওভার ব্রিজ, ১৪টি ব্রিজ, ২২টি কালভার্ট, ১০টি গোল চত্বর নির্মাণ করা হবে।
চট্টগ্রামের মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প প্লটের সংখ্যা ২৫০টি বাড়িয়ে ৫৩৯টি করবে সরকার। অর্থনৈতিক অঞ্চলে নতুন করে ফায়ার স্টেশনসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, দুটি কারখানা ভবন, ফুটপাত, গাড়ি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, তিনটি আবাসিক ভবন, একটি মসজিদ ও একটি মেডিকেল সেন্টার নির্মাণসহ কয়েকটি নতুন অঙ্গ সংযোজন করা হবে।
১৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য লজিস্টিকস ও ফ্লিট মেইনটেন্যান্স ফ্যাসিলিটিস গড়ে তোলা (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিজস্ব ফ্লিট মেইনটেন্যান্স ও লজিস্টিকস ক্যাপাবিলিটি গড়ে তোলা। প্রধান কার্যক্রমসমূহ হলো- ২টি সিøপওয়ে, ৫টি ওয়ার্কশপ, ১টি ওয়্যার হাউজ, ১টি ইয়ার্ড সার্ভিস ও ১টি বোট ইয়ার্ড নির্মাণ করা। এছাড়া ৩৪২ মিটার দীর্ঘ নদীরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, কজওয়ে, বেইলি ব্রিজ ও জেটি নির্মাণ ও ৪৬৮১টি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয় করা হবে। ৭২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ককে জাতীয় মহাসড়ক মানে ৪-লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটি ডিসেম্বর ২০২১ থেকে জুন ২০২৪ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে, সিলেটের কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট জেলা মহাসড়কটিকে ৪-লেনের জাতীয় মহাসড়ক মানে উন্নীত করার মাধ্যমে সিলেট শহরের যানজট নিরসন।
বুধবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২২ , ২১ পৌষ ১৪২৮ ১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯২টি পরিবার ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের পাকা ঘর পাবে। আগে এ মূল্য নির্ধারিত ছিল ২ লাখ টাকা। এ জন্য সরকার আরও ৬ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা ব্যয় করবে। ফলে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পটির চতুর্থ সংশোধন করা হবে।
বাংলাদেশে ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন, আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে উপকারভোগীদের দারিদ্র্য বিমোচন এবং ঋণ প্রদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।
গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এটিসহ ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ১১ হাজার ২১১ কোটি টাকা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। মূল অনুমোদিত প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ১৬৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এরপর প্রথম সংশোধিত ব্যয় ২ হাজার ২০৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সংশোধিত ব্যয় ছিল ৪ হাজার ৮৪০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। তৃতীয় সংশোধিত ব্যয় ছিল ৪ হাজার ৮২৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
কাজের পরিধি বাড়ার ফলে চতুর্থ সংশোধিত প্রস্তাবে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১১ হাজার ১৪২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ফলে পাঁচ লাখ মানুষকে পাকা বাড়ি দিতে সরকার আরও ৬ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা ব্যয় করবে। প্রকল্পটি অনুমোদনের পর জুন ২০২৩ মেয়াদে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
নানা কারণে প্রকল্পটি সংশোধন করা হচ্ছে। মুজিববর্ষে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ‘গৃহ প্রদান নীতিমালা-২০২০’ বাস্তবায়ন এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রকল্পের কাজ-২০২৩ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার সানুগ্রহ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আংশিক সংশোধিত ডিজাইন মোতাবেক একক গৃহের নির্মাণ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার ১৪৯টি পাকা ব্যারাক, চরাঞ্চলে ৫ হাজার ৭৮টি সিআইসিট ব্যারাক, ৪ হাজার ৩৯৩টি সেমিপাকা ব্যারাক নির্মাণ এবং ৬০টি বহুতল ভবন নির্মাণ হবে। ১ হাজার ১২০টি কমিউনিটি সেন্টার, ৫৮০টি বিশেষ ডিজাইনের ঘর, ৫৬৫টি ঘাটলা, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, বক্স কালভার্ট, পাকা ড্রেন ও সøপ প্রোটেকশন নির্মাণ করা হবে। সব প্রকল্প গ্রামে অগভীর-গভীর নলকূপ ও অভ্যন্তরীণ রাস্তাও থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবাসন সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে বিবেচনায় এটি ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
এছাড়া ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়কসমূহ উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
জুলাই ২০২১ থেকে জুন ২০২৪ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে এয়ারপোর্ট রোড সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়নের মাধ্যমে যানজট নিরসন ও নগরবাসীর জীবন-যাত্রার মানোন্নয়ন, ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে পথচারীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারের সুযোগ বৃদ্ধিকরণ এবং নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন।
প্রকল্পের আওতায় ৭৬৯ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন, এয়ারপোর্ট রোডে ৬০০ মিটার ওভারপাস নির্মাণ, ৩৮টি ফুটওভার ব্রিজ, ১৪টি ব্রিজ, ২২টি কালভার্ট, ১০টি গোল চত্বর নির্মাণ করা হবে।
চট্টগ্রামের মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প প্লটের সংখ্যা ২৫০টি বাড়িয়ে ৫৩৯টি করবে সরকার। অর্থনৈতিক অঞ্চলে নতুন করে ফায়ার স্টেশনসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, দুটি কারখানা ভবন, ফুটপাত, গাড়ি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, তিনটি আবাসিক ভবন, একটি মসজিদ ও একটি মেডিকেল সেন্টার নির্মাণসহ কয়েকটি নতুন অঙ্গ সংযোজন করা হবে।
১৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য লজিস্টিকস ও ফ্লিট মেইনটেন্যান্স ফ্যাসিলিটিস গড়ে তোলা (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিজস্ব ফ্লিট মেইনটেন্যান্স ও লজিস্টিকস ক্যাপাবিলিটি গড়ে তোলা। প্রধান কার্যক্রমসমূহ হলো- ২টি সিøপওয়ে, ৫টি ওয়ার্কশপ, ১টি ওয়্যার হাউজ, ১টি ইয়ার্ড সার্ভিস ও ১টি বোট ইয়ার্ড নির্মাণ করা। এছাড়া ৩৪২ মিটার দীর্ঘ নদীরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, কজওয়ে, বেইলি ব্রিজ ও জেটি নির্মাণ ও ৪৬৮১টি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয় করা হবে। ৭২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট সড়ককে জাতীয় মহাসড়ক মানে ৪-লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটি ডিসেম্বর ২০২১ থেকে জুন ২০২৪ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে, সিলেটের কুমারগাঁও-বাদাঘাট-এয়ারপোর্ট জেলা মহাসড়কটিকে ৪-লেনের জাতীয় মহাসড়ক মানে উন্নীত করার মাধ্যমে সিলেট শহরের যানজট নিরসন।