রিটার্ন দাখিল ২৩ লাখ, কর আদায় ৩২৮১ কোটি টাকা

আয়কর রিটার্ন দাখিলের নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে। বিশেষ বিবেচনায় ব্যক্তি শ্রেণীর আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষদিন ছিল ২ জানুয়ারি। এ সময় পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল করেছেন ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৬২৫ করদাতা। যার বিপরীতে আয়কর এসেছে তিন হাজার ২৮১ কোটি টাকা। রিটার্ন দাখিল প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এছাড়া সময় বৃদ্ধির আবেদন জমা পড়েছে তিন লাখ ৬২ হাজার ২৮২টি। এরমধ্যে ই-রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৬১ হাজার ২০৩টি। যদিও দেশে বর্তমানে ৭০ লাখের বেশি কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) ব্যক্তি রয়েছেন।

২০২০-২১ করবর্ষে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ ৪২ হাজার করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। রিটার্ন দাখিলের জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন জমা পড়েছিল এক লাখ ৫০ হাজার। সবমিলিয়ে গত অর্থবছরে ২৪ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।

এনবিআর জানায়, এবার আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষদিন ছিল ৩০ নভেম্বর। তবে ব্যবসায়ী ও করদাতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় ৩০ নভেম্বর থেকে এক মাস বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি সরকারি ছুটি হওয়ায় ২ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন দাখিলের সময় পান করদাতারা।

করোনা মহামারী বিবেচনায় আয়কর মেলা না হলেও এবার এনবিআরের আওতাধীন সারাদেশের ৩১টি কর অঞ্চলে মেলার মতো সেবা দেয়া হয়। প্রতিটি কর অঞ্চলে জোনভিত্তিক বুথ, ই-টিআইএন ও তথ্যসেবা বুথ রাখা হয়। ২০১৬ সালে আয়কর অধ্যাদেশে পরিবর্তন এনে ৩০ নভেম্বর জাতীয় কর দিবসের পর রিটার্ন জমা না নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই সময় বাড়ানোর পথটি বন্ধ হয়ে যায়। যদিও গত বছর করোনা মহামারীর কারণে সময় এক মাস বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এবারও সেই পথে হেঁটেছে এনবিআর।

বুধবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২২ , ২১ পৌষ ১৪২৮ ১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

রিটার্ন দাখিল ২৩ লাখ, কর আদায় ৩২৮১ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

আয়কর রিটার্ন দাখিলের নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে। বিশেষ বিবেচনায় ব্যক্তি শ্রেণীর আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষদিন ছিল ২ জানুয়ারি। এ সময় পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল করেছেন ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৬২৫ করদাতা। যার বিপরীতে আয়কর এসেছে তিন হাজার ২৮১ কোটি টাকা। রিটার্ন দাখিল প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এছাড়া সময় বৃদ্ধির আবেদন জমা পড়েছে তিন লাখ ৬২ হাজার ২৮২টি। এরমধ্যে ই-রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৬১ হাজার ২০৩টি। যদিও দেশে বর্তমানে ৭০ লাখের বেশি কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) ব্যক্তি রয়েছেন।

২০২০-২১ করবর্ষে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ ৪২ হাজার করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। রিটার্ন দাখিলের জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে আবেদন জমা পড়েছিল এক লাখ ৫০ হাজার। সবমিলিয়ে গত অর্থবছরে ২৪ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছিলেন।

এনবিআর জানায়, এবার আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষদিন ছিল ৩০ নভেম্বর। তবে ব্যবসায়ী ও করদাতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় ৩০ নভেম্বর থেকে এক মাস বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি সরকারি ছুটি হওয়ায় ২ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন দাখিলের সময় পান করদাতারা।

করোনা মহামারী বিবেচনায় আয়কর মেলা না হলেও এবার এনবিআরের আওতাধীন সারাদেশের ৩১টি কর অঞ্চলে মেলার মতো সেবা দেয়া হয়। প্রতিটি কর অঞ্চলে জোনভিত্তিক বুথ, ই-টিআইএন ও তথ্যসেবা বুথ রাখা হয়। ২০১৬ সালে আয়কর অধ্যাদেশে পরিবর্তন এনে ৩০ নভেম্বর জাতীয় কর দিবসের পর রিটার্ন জমা না নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই সময় বাড়ানোর পথটি বন্ধ হয়ে যায়। যদিও গত বছর করোনা মহামারীর কারণে সময় এক মাস বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এবারও সেই পথে হেঁটেছে এনবিআর।