সৈয়দপুর রেলওয়ের জলাশয়ে অবৈধ স্থাপনা

বর্ষা মওসুমে সৈয়দপুরে রেলওয়ে কলোনী ও রেল কারখানার বৃষ্টির নিষ্কাশনে তৈরি করা ১৫টি জলাশয়ের মধ্যে ১৩টিই বেদখল হয়েছে। এসব জলাশয় দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে পাকা, আধা-পাকা ও বহুতল ভবন। স্থানীয়দের অভিযোগ, রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জলাশয়গুলো দখল করা হয়েছে। এতে করে বর্ষা মওসুমে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিভাগ কর্তৃপক্ষ বলছে, দখলদারেরা এতটাই প্রভাবশালী যে, কর্তৃপক্ষ তাদের উচ্ছেদে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না।

জানা যায়, সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি রয়েছে মোট ৭৯৮ দশমিক ৯ একর। এরমধ্যে ১১০ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে কারখানা। অবশিষ্ট জায়গায় কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য তৈরি করা হয় বাংলো, সাব-বাংলো ও রেলওয়ে কলোনি অবস্থতি।

রেল স্থাপনার অগ্নিনিরাপত্তাসহ বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের উদ্দেশে শহরের ইসলামবাগ, রসুলপুর, মিস্ত্রিপাড়া, সাহেবপাড়া, গোলাহাট, বাঁশবাড়ী ও পুরাতন বাবুপাড়া এলাকাসহ রেলওয়ের প্রতিটি কলোনিতে মোট ১৫টি জলাশয় খনন করা হয়। এখন জলাশয়ের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। জলাশয়গুলো দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে স্থাপনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, জলাশয় ভরাট করে কেউ বাড়ি কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। শহরের পুরাতন বাবুপাড়ায় রেলওয়ে কলোনিতে যে জলাশয়টি ছিল, সেটা ভরাট করে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।

ওই কলোনির বাসিন্দা ফয়সাল ইসলাম বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মদদে এখানকার জলাশয়টি দখল করে বাড়িঘর তৈরি করা হয়েছে। অবশিষ্ট জায়গাও দিনে দিনে বেদখল হয়ে যাচ্ছে।

জানতে চাইলে, সৈয়দপুরে রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিভাগে দায়িত্বে থাকা পার্বতীপুর রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী (কানুনগো) রেজাউল হক বলেন, সৈয়দপুরে রেলওয়ের ১৫টি জলাধার রয়েছে যার মধ্যে ১৩টি বেদখলে।

প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নানামুখী প্রভাবে বেদখল জলাশয় উদ্ধার জটিল হয়ে পড়েছে। তবে এসব অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সেগুলো উদ্ধারের জন্য আইনী প্রক্রিয়া চলছে। প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

বুধবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২২ , ২১ পৌষ ১৪২৮ ১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

সৈয়দপুর রেলওয়ের জলাশয়ে অবৈধ স্থাপনা

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) : এভাবেই রেলওয়ের জলাশয় দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে বাড়িঘর -সংবাদ

বর্ষা মওসুমে সৈয়দপুরে রেলওয়ে কলোনী ও রেল কারখানার বৃষ্টির নিষ্কাশনে তৈরি করা ১৫টি জলাশয়ের মধ্যে ১৩টিই বেদখল হয়েছে। এসব জলাশয় দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে পাকা, আধা-পাকা ও বহুতল ভবন। স্থানীয়দের অভিযোগ, রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জলাশয়গুলো দখল করা হয়েছে। এতে করে বর্ষা মওসুমে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিভাগ কর্তৃপক্ষ বলছে, দখলদারেরা এতটাই প্রভাবশালী যে, কর্তৃপক্ষ তাদের উচ্ছেদে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না।

জানা যায়, সৈয়দপুর শহরে রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি রয়েছে মোট ৭৯৮ দশমিক ৯ একর। এরমধ্যে ১১০ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে কারখানা। অবশিষ্ট জায়গায় কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য তৈরি করা হয় বাংলো, সাব-বাংলো ও রেলওয়ে কলোনি অবস্থতি।

রেল স্থাপনার অগ্নিনিরাপত্তাসহ বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের উদ্দেশে শহরের ইসলামবাগ, রসুলপুর, মিস্ত্রিপাড়া, সাহেবপাড়া, গোলাহাট, বাঁশবাড়ী ও পুরাতন বাবুপাড়া এলাকাসহ রেলওয়ের প্রতিটি কলোনিতে মোট ১৫টি জলাশয় খনন করা হয়। এখন জলাশয়ের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। জলাশয়গুলো দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে স্থাপনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, জলাশয় ভরাট করে কেউ বাড়ি কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। শহরের পুরাতন বাবুপাড়ায় রেলওয়ে কলোনিতে যে জলাশয়টি ছিল, সেটা ভরাট করে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।

ওই কলোনির বাসিন্দা ফয়সাল ইসলাম বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মদদে এখানকার জলাশয়টি দখল করে বাড়িঘর তৈরি করা হয়েছে। অবশিষ্ট জায়গাও দিনে দিনে বেদখল হয়ে যাচ্ছে।

জানতে চাইলে, সৈয়দপুরে রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিভাগে দায়িত্বে থাকা পার্বতীপুর রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী (কানুনগো) রেজাউল হক বলেন, সৈয়দপুরে রেলওয়ের ১৫টি জলাধার রয়েছে যার মধ্যে ১৩টি বেদখলে।

প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নানামুখী প্রভাবে বেদখল জলাশয় উদ্ধার জটিল হয়ে পড়েছে। তবে এসব অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সেগুলো উদ্ধারের জন্য আইনী প্রক্রিয়া চলছে। প্রক্রিয়া শেষ হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।