টঙ্গীবাড়ীতে ৩০ পরিবারের ভরসা বাঁশের সাঁকো

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে ৩০ পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো। উপজেলার যশলং ইউনিয়নে সরকারি খালের উপর অস্থায়ীভাবে নির্মিত ওজাবাড়ী বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধসহ ছোট ছোট শিশুরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. তফিকুল ইসলাম, মো. আফি, মো. হানু, মো. সেলিম, ফারুক হোসেন, আশরাফুর জামান (বাবু), শিক্ষক আরিফ হোসেন ও কবি আতাউর রহমানসহ আরো অনেকে জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকোটি কারো চোখের নজরে পড়ে না। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ এখনও এ অঞ্চলের বাসিন্দারদেরকে এনালগই করে রাখা হয়েছে। এই এলাকার কেউ মারা গেলেও ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই জরুরি ভিত্তিতে কোথাও যাওয়ার একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকোই। শীতকালে খালে পানি কম থাকলে পানি মাড়িয়ে আর বর্ষাকাল নৌকায় লাশ পারাপার করতে হয়। এতে এপরিবারগুলোর দুর্ভোগের শেষ থাকে না। গর্ভবতী নারী বা অসুস্থ ব্যক্তিকে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয়।

এবিষয়ে যশলং ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমাস চোকদার জানান, সেতুর প্রস্তাব পাঠানো হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার ভুতু জানান, সরজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শাহ্ মোয়াজ্জেম জানান, ইউপি চেয়ারম্যান থেকে ব্রিজ নির্মাণের জন্য কোনো আবেদন পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বুধবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২২ , ২১ পৌষ ১৪২৮ ১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

টঙ্গীবাড়ীতে ৩০ পরিবারের ভরসা বাঁশের সাঁকো

সংবাদদাতা, মুন্সীগঞ্জের

image

মুন্সীগঞ্জ : টঙ্গীবাড়ী যশলং সরকারি খালের উপর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো -সংবাদ

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে ৩০ পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো। উপজেলার যশলং ইউনিয়নে সরকারি খালের উপর অস্থায়ীভাবে নির্মিত ওজাবাড়ী বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধসহ ছোট ছোট শিশুরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. তফিকুল ইসলাম, মো. আফি, মো. হানু, মো. সেলিম, ফারুক হোসেন, আশরাফুর জামান (বাবু), শিক্ষক আরিফ হোসেন ও কবি আতাউর রহমানসহ আরো অনেকে জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁশের সাঁকোটি কারো চোখের নজরে পড়ে না। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ এখনও এ অঞ্চলের বাসিন্দারদেরকে এনালগই করে রাখা হয়েছে। এই এলাকার কেউ মারা গেলেও ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই জরুরি ভিত্তিতে কোথাও যাওয়ার একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকোই। শীতকালে খালে পানি কম থাকলে পানি মাড়িয়ে আর বর্ষাকাল নৌকায় লাশ পারাপার করতে হয়। এতে এপরিবারগুলোর দুর্ভোগের শেষ থাকে না। গর্ভবতী নারী বা অসুস্থ ব্যক্তিকে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয়।

এবিষয়ে যশলং ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমাস চোকদার জানান, সেতুর প্রস্তাব পাঠানো হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার ভুতু জানান, সরজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শাহ্ মোয়াজ্জেম জানান, ইউপি চেয়ারম্যান থেকে ব্রিজ নির্মাণের জন্য কোনো আবেদন পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।