সাংবিধানিক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে একটি কাউন্সিল গঠন করে তাদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল। বর্তমান বাস্তবতায় আগামী নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কথাও বলেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক এই দলটি।
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ডাকা সংলাপে অংশ নিয়ে দলের নেতারা এসব প্রস্তাব দেন।
বিকেল সাড়ে ৫টায় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। সংলাপ শেষে বেরিয়ে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, আইনের অনুপস্থিতিতে সার্চ কমিটি গঠন করতে হলে সাংবিধানিক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে কাউন্সিল গঠনের পক্ষে মত দিয়েছি আমরা। পাশপাশি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। এছাড়া সংসদে ব্যবসায়ী-প্রাধান্য ঠেকাতে আইন প্রণয়ন, নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার, টাকা-অস্ত্র-পেশিশক্তির ব্যবহারকারীদের তাৎক্ষণিক শাস্তি নিশ্চিতসহ ৫ দফা দাবি জানানো হয়।
গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জন্য সংলাপের সময় নির্ধারিত ছিল। সেই বৈঠকে অংশ নেয়নি দলটি। তবে তারা আগেই সংবাদ সম্মেলন ডেকে রাষ্ট্রপতির সংলাপে যোগ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এদিকে বঙ্গভবনে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক দায়িত্ব। রাজনৈতিক দলগুলোর সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সংলাপে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও রাজনীতিতে সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, আর এ কাজটি রাজনৈতিক দলগুলোকেই করতে হবে।
বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
এই লক্ষ্যে মতবিনিময়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর প্রথম দিন সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করেন রাষ্ট্রপতি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২৫টি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বঙ্গভবন। মোট ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনটি দল রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি।
আজ সন্ধ্যা সাতটায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ হবে। ৬ জানুয়ারি গণফ্রন্টের সঙ্গে সন্ধ্যা ছয়টায় এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পাটির্র (এলডিপি) সঙ্গে সন্ধ্যা সাতটায় সংলাপের কথা রয়েছে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টায় এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) এর সঙ্গে ওই দিন সন্ধ্যা সাতটায় আলোচনা হবে। ১০ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির (জেপি) সঙ্গে সন্ধ্যা ছয়টায় এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সঙ্গে সন্ধ্যা সাতটায় সংলাপ হবে। মঙ্গলবার ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টায় ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে এবং সন্ধ্যা সাতটায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) সঙ্গে সংলাপ হবে।
অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি।
বুধবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২২ , ২১ পৌষ ১৪২৮ ১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
সাংবিধানিক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে একটি কাউন্সিল গঠন করে তাদের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল। বর্তমান বাস্তবতায় আগামী নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কথাও বলেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক এই দলটি।
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ডাকা সংলাপে অংশ নিয়ে দলের নেতারা এসব প্রস্তাব দেন।
বিকেল সাড়ে ৫টায় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। সংলাপ শেষে বেরিয়ে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, আইনের অনুপস্থিতিতে সার্চ কমিটি গঠন করতে হলে সাংবিধানিক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে কাউন্সিল গঠনের পক্ষে মত দিয়েছি আমরা। পাশপাশি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। এছাড়া সংসদে ব্যবসায়ী-প্রাধান্য ঠেকাতে আইন প্রণয়ন, নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার, টাকা-অস্ত্র-পেশিশক্তির ব্যবহারকারীদের তাৎক্ষণিক শাস্তি নিশ্চিতসহ ৫ দফা দাবি জানানো হয়।
গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জন্য সংলাপের সময় নির্ধারিত ছিল। সেই বৈঠকে অংশ নেয়নি দলটি। তবে তারা আগেই সংবাদ সম্মেলন ডেকে রাষ্ট্রপতির সংলাপে যোগ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এদিকে বঙ্গভবনে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক দায়িত্ব। রাজনৈতিক দলগুলোর সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সংলাপে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও রাজনীতিতে সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, আর এ কাজটি রাজনৈতিক দলগুলোকেই করতে হবে।
বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
এই লক্ষ্যে মতবিনিময়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর প্রথম দিন সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করেন রাষ্ট্রপতি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২৫টি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বঙ্গভবন। মোট ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনটি দল রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি।
আজ সন্ধ্যা সাতটায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ হবে। ৬ জানুয়ারি গণফ্রন্টের সঙ্গে সন্ধ্যা ছয়টায় এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পাটির্র (এলডিপি) সঙ্গে সন্ধ্যা সাতটায় সংলাপের কথা রয়েছে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টায় এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) এর সঙ্গে ওই দিন সন্ধ্যা সাতটায় আলোচনা হবে। ১০ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির (জেপি) সঙ্গে সন্ধ্যা ছয়টায় এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সঙ্গে সন্ধ্যা সাতটায় সংলাপ হবে। মঙ্গলবার ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টায় ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে এবং সন্ধ্যা সাতটায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) সঙ্গে সংলাপ হবে।
অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি।