পরীক্ষায় পাস করেও চাকরি হয় না, প্রশ্নপত্র ফাঁস, নিয়োগ বৈষম্য দূর করার দাবি
দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে অর্থনীতিতে মাস্টার্স পাস করে শতাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করে লিখিত ও ভাইভায় উত্তীর্ণ হলেও তার ভাগ্যে চাকরি জোটেনি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বেকার যুবক রেদওয়ান রনি চাকরির দাবিতে এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নিয়োগ বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে মুখে ও মাথায় কালো কালি মেখে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল দিনভর একাকি হাতে লেখা ব্যানার নিয়ে অবস্থান করে।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মাদারগঞ্জ গ্রামের আবদুল লতিফ ম-লের ছেলে রেদওয়ান রনি জানান, তার বাবা স্থানীয় মাদ্রাসায় চাকরি করতেন। ২০১২ সালে অবসর নেয়ার পর থেকে তিনিও বেকার। বৃদ্ধ বাবা মা ও তিন বোনকে নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর দিন কাটছে তার।
তিনি জানান, ২০০৯ সালে এসএসসি ২০১১ সালে এইচএসসির পর রংপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০১৬ সালে অর্থনীতিতে অনার্স ও ২০১৭ সালে রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে একই বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন। এরপর চাকরির জন্য এ পর্যন্ত শতাধিক সরকারি ও বেসরকারি অফিসে চাকরির আবেদন করেও কাক্সিক্ষত চাকরি মেলেনি।
তিনি জানান, বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তার ভাগ্যে চাকরি জোটেনি। তিনি বলেন, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে টাকানির্ভর, যাদের কাড়ি কাড়ি টাকা আছে আগাম টাকা দিতে পারে তারা আগাম প্রশ্ন পেয়ে যায়, তাদের চাকরিও হয়ে যায়। কিন্তু আমার মতো দুর্ভাগা যার এক হাজার টাকা দেয়ার সামর্থ্য নেই সে কারণে বোধ হয় চাকরি মিলছে না। সে কারণে অন্ধকার সমাজের প্রতিচ্ছবি হিসেবে মুখে কালি লাগিয়ে মানববন্ধনে একাকি দাঁড়িয়েছি।
রনি জানান, পীরগঞ্জ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন এখানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। তারও সুপারিশ নিয়ে জমা দিয়েছি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি হয়নি আমার।
প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বে¡ও চাকরি হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন চাই, সে জন্যই মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। মা-বাবা,ত বোনদের বাঁচাতে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি চাই, এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বুধবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২২ , ২১ পৌষ ১৪২৮ ১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
পরীক্ষায় পাস করেও চাকরি হয় না, প্রশ্নপত্র ফাঁস, নিয়োগ বৈষম্য দূর করার দাবি
লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর
দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে অর্থনীতিতে মাস্টার্স পাস করে শতাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করে লিখিত ও ভাইভায় উত্তীর্ণ হলেও তার ভাগ্যে চাকরি জোটেনি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বেকার যুবক রেদওয়ান রনি চাকরির দাবিতে এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নিয়োগ বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে মুখে ও মাথায় কালো কালি মেখে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল দিনভর একাকি হাতে লেখা ব্যানার নিয়ে অবস্থান করে।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মাদারগঞ্জ গ্রামের আবদুল লতিফ ম-লের ছেলে রেদওয়ান রনি জানান, তার বাবা স্থানীয় মাদ্রাসায় চাকরি করতেন। ২০১২ সালে অবসর নেয়ার পর থেকে তিনিও বেকার। বৃদ্ধ বাবা মা ও তিন বোনকে নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর দিন কাটছে তার।
তিনি জানান, ২০০৯ সালে এসএসসি ২০১১ সালে এইচএসসির পর রংপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০১৬ সালে অর্থনীতিতে অনার্স ও ২০১৭ সালে রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে একই বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন। এরপর চাকরির জন্য এ পর্যন্ত শতাধিক সরকারি ও বেসরকারি অফিসে চাকরির আবেদন করেও কাক্সিক্ষত চাকরি মেলেনি।
তিনি জানান, বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তার ভাগ্যে চাকরি জোটেনি। তিনি বলেন, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে টাকানির্ভর, যাদের কাড়ি কাড়ি টাকা আছে আগাম টাকা দিতে পারে তারা আগাম প্রশ্ন পেয়ে যায়, তাদের চাকরিও হয়ে যায়। কিন্তু আমার মতো দুর্ভাগা যার এক হাজার টাকা দেয়ার সামর্থ্য নেই সে কারণে বোধ হয় চাকরি মিলছে না। সে কারণে অন্ধকার সমাজের প্রতিচ্ছবি হিসেবে মুখে কালি লাগিয়ে মানববন্ধনে একাকি দাঁড়িয়েছি।
রনি জানান, পীরগঞ্জ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন এখানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। তারও সুপারিশ নিয়ে জমা দিয়েছি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি হয়নি আমার।
প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বে¡ও চাকরি হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন চাই, সে জন্যই মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। মা-বাবা,ত বোনদের বাঁচাতে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি চাই, এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।