নিখোঁজ যুবকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

নিখোঁজের দুই দিন পর রাজধানীর মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নরুল আমিন তপু (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালের দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় দারুস সালাম থানা পুলিশ। নিহত তপু গত ২ তারিখ রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

এ ঘটনায় তার চাচা শফিউদ্দিন সোমবার রাতে দারুসসালাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ডিবির সহায়তায় সে মামলার তদন্তে নেমে তপুর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত আরিফ, ইয়ামিন ও ইমরান নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার ও করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃতরা নিহতের পরিচিত। মূলত মুক্তিপণের জন্যই তপুকে আটক করেছিল তারা।

নিহতের চাচা শফিউদ্দিন জানান, তপুর গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ায়। ছোট বেলা থেকে তপু তার কাছেই বড় হয়েছেন। তিনিই তপুকে লেখাপড়া করিয়েছেন, মানুষ করেছেন। মাঝে মধ্যে তার মাজার রোডের স্টিল থাই এলুমিনিয়ামের দোকানেও বসত তপু। রোববার রাতে হঠাৎ করে তপুকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজা-খুঁজির পরও তাকে না পেয়ে পরের দিন সোমবার থানায় মামলা করেন শফিউদ্দিন। এরইমধ্যে মুক্তিপণ চেয়ে তার কাছে কে বা কারা কল করে। বিষয়টি পুলিশকে জানান তিনি। পরে মঙ্গলবার বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে পুলিশ তপুর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর শফিউদ্দিন জানতে পারেন, গ্রেপ্তারকৃতরা তপুর পরিচিতি।

দারুস সালাম থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আসাদুজ্জামান বলেন, রোববার রাতে তপুকে ফোনে ডেকে নিয়ে যায় গ্রেপ্তারকৃত তিনজন।

বুধবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২২ , ২১ পৌষ ১৪২৮ ১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

নিখোঁজ যুবকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

নিখোঁজের দুই দিন পর রাজধানীর মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নরুল আমিন তপু (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালের দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় দারুস সালাম থানা পুলিশ। নিহত তপু গত ২ তারিখ রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

এ ঘটনায় তার চাচা শফিউদ্দিন সোমবার রাতে দারুসসালাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ডিবির সহায়তায় সে মামলার তদন্তে নেমে তপুর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত আরিফ, ইয়ামিন ও ইমরান নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার ও করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃতরা নিহতের পরিচিত। মূলত মুক্তিপণের জন্যই তপুকে আটক করেছিল তারা।

নিহতের চাচা শফিউদ্দিন জানান, তপুর গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ায়। ছোট বেলা থেকে তপু তার কাছেই বড় হয়েছেন। তিনিই তপুকে লেখাপড়া করিয়েছেন, মানুষ করেছেন। মাঝে মধ্যে তার মাজার রোডের স্টিল থাই এলুমিনিয়ামের দোকানেও বসত তপু। রোববার রাতে হঠাৎ করে তপুকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজা-খুঁজির পরও তাকে না পেয়ে পরের দিন সোমবার থানায় মামলা করেন শফিউদ্দিন। এরইমধ্যে মুক্তিপণ চেয়ে তার কাছে কে বা কারা কল করে। বিষয়টি পুলিশকে জানান তিনি। পরে মঙ্গলবার বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে পুলিশ তপুর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর শফিউদ্দিন জানতে পারেন, গ্রেপ্তারকৃতরা তপুর পরিচিতি।

দারুস সালাম থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আসাদুজ্জামান বলেন, রোববার রাতে তপুকে ফোনে ডেকে নিয়ে যায় গ্রেপ্তারকৃত তিনজন।