চতুর্থ দিন শেষে আঁটসাঁট নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে দেড়শর মধ্যে আটকে রেখেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেট হারিয়ে লিড নিয়েছে মাত্র ১৭ রানের। বুধবার শেষ দিন কিউইদের দ্রুত অলআউট করতে পারলে ম্যাচের নাটাই শক্তভাবে হাতে নিবে বাংলাদেশ। মোমিনুল হকের দলের লক্ষ্য, শেষ দিনে নিজেদের প্রক্রিয়া ঠিক রেখে এগিয়ে যাওয়া। বিগত কয়েদিন যেভাবে বল-ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করে নিউজিল্যান্ডকে লাগামছাড়া হতে দেয়নি, সেভাবেই শেষ দিনে খেলতে চায় বাংলাদেশ। একই প্রক্রিয়ায় এগোনোর কথা জানিয়েছেন দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন দাস। বলেছেন, ‘আমরা অনেক শান্ত আছি। আমাদের জিততেই হবে এমন কথা নেই। আমরা একটা প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। এতক্ষণ সেই প্রক্রিয়া ধরে রেখে সফল হয়েছি, সামনেও হবো বলে আশা করছি।’
তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উইকেটের আচরণ পরিবর্তন হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন লিটন। গতকাল দিনে তিন সেশনে উইকেট পড়েছে ৯টি। প্রথম সেশনে ৪টি, দ্বিতীয় সেশনে ২টি ও তৃতীয় সেশনে পড়েছে ৩ উইকেট। যত সময় গড়াবে উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। বাংলাদেশের লক্ষ্য নিউজিল্যান্ডকে দ্রুত অলআউট করে ঠান্ডা মেজাজে ব্যাটিং করা। লিটন বলেন, ‘দেখুন এটা খুবই সহজ বিষয়। আজকে নতুন দিন। আজ উইকেট অতটা সহজ হবে বলে আমার মনে হচ্ছে না। কারণ যত দিন যাচ্ছে, উইকেটে কিছু না কিছু কাজ করছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে যত কমে তাদের অল আউট করে দেয়া যায় এবং সেই রানটা তাড়া করা যায়। কারণ যত কম রান দিব, ওই রানটা আমাদের তাড়া করা সহজ হবে।’ দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বলে লিটনের ধারণা, ‘আমাদের ইনিংস খুব একটা সহজ হবে, তা কিন্তু না। আমাদের অনেক পরিশ্রম করে ব্যাটিং করতে হবে।’
এদিকে এই ম্যাচে বাংলাদেশের রিভিউ নেয়ার ভুল সিদ্বান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ রিভিউ নিয়েছে ৪ বার তারমধ্যে ৩ বারই ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। ফলে খেলার ৩৭ ওভারের মধ্যেই ৩টি রিভিউ হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এরমধ্যে বাংলাদেশের হারানো তৃতীয় রিভিউটি বেশি হতাশাজনক ছিল। তাসকিন আহমেদের বল সরাসরি রস টেলরের মাঝ ব্যাটে লাগে। বাংলাদেশ এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করে। আম্পায়ার নাকচ করে দেয়ার পর বোলার অধিনায়ককে অভয় দেন বল পায়ে লেগেছে বলে। মুমিনুল আবারও রিভিউ নেন। রিভিউতে দেখা যায়, পায়ের কোথাও সেই বলই লাগেইনি। প্যাডের যথেষ্ট দূর দিয়েই গেছে বল। পরিষ্কার দেখা যায়, ব্যাট দিয়েই বল রুখে দিয়েছেন টেলর। বল ও প্যাডের এতটাই দূরে ছিল যে খালি চোখেই রিভিউ বাতিল হয়ে যায়। যেটা ছিল বাংলাদেশের শেষ রিভিউ। ধারাভাষ্যকক্ষের পাশাপাশি জায়ান্ট স্ক্রিনে তা দেখে হাসির রোল ওঠে গ্যালারিতেও।
রিভিউ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে লিটন কুমার দাস বলেন, ‘আসলে ওভার এক্সাইটেড না, প্রথমটার কথাই বলি, আমি যখন রিভিউ নিলাম, আমি পেছনে ছিলাম, আমার মনে হয়েছে কনফার্ম আউট। কিন্তু নেয়ার পর সেটি লস হল। দ্বিতীয়টা আমরা নেয়ার পর সফল হয়েছিলাম। কনওয়ের উইকেট। ওটাতে কিন্তু সাদমান, মিরাজ, শান্ত, রাব্বি, যতগুলা প্লেয়ার সামনে ছিল, তাদের কল ছিল। আমি পেছনে থাকায় বুঝতে পারিনি ইনার এজ হয়েছিল। এটা হয় অনেক সময়, আপনি রিভিউতে সফল হবেন, কখনো হবেন না। পরেরটায় মিরাজ কনফিডেন্ট ছিল বিষয়টা নিয়ে। আমরা তাকে ব্যাক করেছি। কারণ প্রতিটা খেলোয়াড়ের দায়িত্ব ফিডব্যাক নেয়া। আমরা সেগুলো নেই। অনেক কিছু আমি পেছন থেকে বুঝতে পারিনা। লাস্ট কল যেটা ছিল, তাসকিনের ও অনেকটা নিশ্চিত ছিল যে প্যাডে লেগেছে। আমি পেছন থেকে বুঝতে পারছিলাম না। আমারা তো চাচ্ছিলাম একটা উইকেট পড়–ক। এই জন্যই আমরা চান্স নিয়েছি।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে আবু জায়েদ রাহীকে বসিয়ে এবাদতকে কেন সুযোগ দেয়া, এই বিষয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। এক ইনিংস পরেই এবাদত বুঝিয়ে দিলেন, কেন তাকে নেয়া হয়েছে।
এমন প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেন, ‘আমি যখন প্রথম ক্রিকেট শুরু করেছিলাম, আমার পারফরম্যান্স কিন্তু ততটা ভালো ছিল না। বাংলাদেশে এখন যে দলটা খেলছে, সবারই যে পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো তা কিন্তু না। তাই প্লেয়ারদেরকে সুযোগ দিতে হবে। একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে সে (এবাদত) একটা ফরম্যাটেই খেলে। এই জিনিসগুলো মাথায় রাখতে হবে যে একটা পেস বোলারের জন্য সবসময় সবকিছু অনুকূলে থাকে না। হ্যাঁ, তার হয়তো এভারেজটা একটু বেশি, ইকোনোমি একটু বেশি ছিল, কিন্তু তার যে যোগ্যতা আছে, সে যে ভালো বোলার, সেটি সে আজ প্রমাণ করেছে।’ লিটন মনে করেন, এবাদতকে কিছুটা সময় দিলে তিনি দারুণ কিছু দেখাবেন, ‘সামনেও সে (এবাদত) প্রমাণ করবে, এই বিষয়ে আমি বেশ আশাবাদী। আমার মনে হয়, তাকে একটু সময় দেয়া উচিত। একটা টেস্ট খেলোয়াড়ের ১৫-১৭ ম্যাচ লাগে তার অভিজ্ঞতা আনতে, ক্রিকেটটাকে বুঝতে। তাই আমার মনে হয়, ওই সময়টা তাকে দেয়া উচিত।’
শেষ ঘণ্টায় এবাদতের ৬ ওভারের স্পেলটি ছিল অসাধারণ। ওই ৬ ওভারে ২ মেডেন দিয়ে ১৪ রান খরচায় তুলে নেন ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ১৭ ওভারে ৪ মেডেন দিয়ে ৩৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এমন বোলিংয়ের পর স্বভাবতই তিনি প্রশংসা কুড়াচ্ছেন লিটনের, ‘আমাদের যত বোলার বল করেছে, সবাই একই লেন্থে, আমাদের যেই পরিকল্পনা ছিল সে অনুযায়ী বল করেছে। এবাদত আজকে দুর্দান্ত ছিল। ওর দুটো স্পেলই চমৎকার ছিল। সে একই জায়গায় বল করার কারণে অনেক হেল্প পেয়েছে। তার ব্রেক থ্রু আমাদের দলকে অনেক বুস্টআপ করেছে।’
বুধবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২২ , ২১ পৌষ ১৪২৮ ১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক
চতুর্থ দিন শেষে আঁটসাঁট নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে দেড়শর মধ্যে আটকে রেখেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেট হারিয়ে লিড নিয়েছে মাত্র ১৭ রানের। বুধবার শেষ দিন কিউইদের দ্রুত অলআউট করতে পারলে ম্যাচের নাটাই শক্তভাবে হাতে নিবে বাংলাদেশ। মোমিনুল হকের দলের লক্ষ্য, শেষ দিনে নিজেদের প্রক্রিয়া ঠিক রেখে এগিয়ে যাওয়া। বিগত কয়েদিন যেভাবে বল-ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করে নিউজিল্যান্ডকে লাগামছাড়া হতে দেয়নি, সেভাবেই শেষ দিনে খেলতে চায় বাংলাদেশ। একই প্রক্রিয়ায় এগোনোর কথা জানিয়েছেন দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন দাস। বলেছেন, ‘আমরা অনেক শান্ত আছি। আমাদের জিততেই হবে এমন কথা নেই। আমরা একটা প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। এতক্ষণ সেই প্রক্রিয়া ধরে রেখে সফল হয়েছি, সামনেও হবো বলে আশা করছি।’
তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উইকেটের আচরণ পরিবর্তন হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন লিটন। গতকাল দিনে তিন সেশনে উইকেট পড়েছে ৯টি। প্রথম সেশনে ৪টি, দ্বিতীয় সেশনে ২টি ও তৃতীয় সেশনে পড়েছে ৩ উইকেট। যত সময় গড়াবে উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। বাংলাদেশের লক্ষ্য নিউজিল্যান্ডকে দ্রুত অলআউট করে ঠান্ডা মেজাজে ব্যাটিং করা। লিটন বলেন, ‘দেখুন এটা খুবই সহজ বিষয়। আজকে নতুন দিন। আজ উইকেট অতটা সহজ হবে বলে আমার মনে হচ্ছে না। কারণ যত দিন যাচ্ছে, উইকেটে কিছু না কিছু কাজ করছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে যত কমে তাদের অল আউট করে দেয়া যায় এবং সেই রানটা তাড়া করা যায়। কারণ যত কম রান দিব, ওই রানটা আমাদের তাড়া করা সহজ হবে।’ দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বলে লিটনের ধারণা, ‘আমাদের ইনিংস খুব একটা সহজ হবে, তা কিন্তু না। আমাদের অনেক পরিশ্রম করে ব্যাটিং করতে হবে।’
এদিকে এই ম্যাচে বাংলাদেশের রিভিউ নেয়ার ভুল সিদ্বান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ রিভিউ নিয়েছে ৪ বার তারমধ্যে ৩ বারই ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। ফলে খেলার ৩৭ ওভারের মধ্যেই ৩টি রিভিউ হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এরমধ্যে বাংলাদেশের হারানো তৃতীয় রিভিউটি বেশি হতাশাজনক ছিল। তাসকিন আহমেদের বল সরাসরি রস টেলরের মাঝ ব্যাটে লাগে। বাংলাদেশ এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করে। আম্পায়ার নাকচ করে দেয়ার পর বোলার অধিনায়ককে অভয় দেন বল পায়ে লেগেছে বলে। মুমিনুল আবারও রিভিউ নেন। রিভিউতে দেখা যায়, পায়ের কোথাও সেই বলই লাগেইনি। প্যাডের যথেষ্ট দূর দিয়েই গেছে বল। পরিষ্কার দেখা যায়, ব্যাট দিয়েই বল রুখে দিয়েছেন টেলর। বল ও প্যাডের এতটাই দূরে ছিল যে খালি চোখেই রিভিউ বাতিল হয়ে যায়। যেটা ছিল বাংলাদেশের শেষ রিভিউ। ধারাভাষ্যকক্ষের পাশাপাশি জায়ান্ট স্ক্রিনে তা দেখে হাসির রোল ওঠে গ্যালারিতেও।
রিভিউ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে লিটন কুমার দাস বলেন, ‘আসলে ওভার এক্সাইটেড না, প্রথমটার কথাই বলি, আমি যখন রিভিউ নিলাম, আমি পেছনে ছিলাম, আমার মনে হয়েছে কনফার্ম আউট। কিন্তু নেয়ার পর সেটি লস হল। দ্বিতীয়টা আমরা নেয়ার পর সফল হয়েছিলাম। কনওয়ের উইকেট। ওটাতে কিন্তু সাদমান, মিরাজ, শান্ত, রাব্বি, যতগুলা প্লেয়ার সামনে ছিল, তাদের কল ছিল। আমি পেছনে থাকায় বুঝতে পারিনি ইনার এজ হয়েছিল। এটা হয় অনেক সময়, আপনি রিভিউতে সফল হবেন, কখনো হবেন না। পরেরটায় মিরাজ কনফিডেন্ট ছিল বিষয়টা নিয়ে। আমরা তাকে ব্যাক করেছি। কারণ প্রতিটা খেলোয়াড়ের দায়িত্ব ফিডব্যাক নেয়া। আমরা সেগুলো নেই। অনেক কিছু আমি পেছন থেকে বুঝতে পারিনা। লাস্ট কল যেটা ছিল, তাসকিনের ও অনেকটা নিশ্চিত ছিল যে প্যাডে লেগেছে। আমি পেছন থেকে বুঝতে পারছিলাম না। আমারা তো চাচ্ছিলাম একটা উইকেট পড়–ক। এই জন্যই আমরা চান্স নিয়েছি।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে আবু জায়েদ রাহীকে বসিয়ে এবাদতকে কেন সুযোগ দেয়া, এই বিষয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। এক ইনিংস পরেই এবাদত বুঝিয়ে দিলেন, কেন তাকে নেয়া হয়েছে।
এমন প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেন, ‘আমি যখন প্রথম ক্রিকেট শুরু করেছিলাম, আমার পারফরম্যান্স কিন্তু ততটা ভালো ছিল না। বাংলাদেশে এখন যে দলটা খেলছে, সবারই যে পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো তা কিন্তু না। তাই প্লেয়ারদেরকে সুযোগ দিতে হবে। একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে সে (এবাদত) একটা ফরম্যাটেই খেলে। এই জিনিসগুলো মাথায় রাখতে হবে যে একটা পেস বোলারের জন্য সবসময় সবকিছু অনুকূলে থাকে না। হ্যাঁ, তার হয়তো এভারেজটা একটু বেশি, ইকোনোমি একটু বেশি ছিল, কিন্তু তার যে যোগ্যতা আছে, সে যে ভালো বোলার, সেটি সে আজ প্রমাণ করেছে।’ লিটন মনে করেন, এবাদতকে কিছুটা সময় দিলে তিনি দারুণ কিছু দেখাবেন, ‘সামনেও সে (এবাদত) প্রমাণ করবে, এই বিষয়ে আমি বেশ আশাবাদী। আমার মনে হয়, তাকে একটু সময় দেয়া উচিত। একটা টেস্ট খেলোয়াড়ের ১৫-১৭ ম্যাচ লাগে তার অভিজ্ঞতা আনতে, ক্রিকেটটাকে বুঝতে। তাই আমার মনে হয়, ওই সময়টা তাকে দেয়া উচিত।’
শেষ ঘণ্টায় এবাদতের ৬ ওভারের স্পেলটি ছিল অসাধারণ। ওই ৬ ওভারে ২ মেডেন দিয়ে ১৪ রান খরচায় তুলে নেন ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ১৭ ওভারে ৪ মেডেন দিয়ে ৩৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এমন বোলিংয়ের পর স্বভাবতই তিনি প্রশংসা কুড়াচ্ছেন লিটনের, ‘আমাদের যত বোলার বল করেছে, সবাই একই লেন্থে, আমাদের যেই পরিকল্পনা ছিল সে অনুযায়ী বল করেছে। এবাদত আজকে দুর্দান্ত ছিল। ওর দুটো স্পেলই চমৎকার ছিল। সে একই জায়গায় বল করার কারণে অনেক হেল্প পেয়েছে। তার ব্রেক থ্রু আমাদের দলকে অনেক বুস্টআপ করেছে।’