মঙ্গানুই থেকেই অ্যাওয়ে ম্যাচ জয় শুরু করতে চান এবাদত

পেসার এবাদত হোসেনের বোলিং নৈপুন্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে সফরকারী বাংলাদেশ। গতকাল শেষ বিকেলে বল হাতে জ্বলে উঠেন এবাদত। মাত্র ৭ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। এতেই ১৩৬ রানে নিউজিল্যান্ডের পঞ্চম উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন শেষে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে মাত্র ১৭ রানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে নিউজিল্যান্ডের বাকী ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ছোট টার্গেট রেখে জয়ের পেছনে ছোটাই এখন লক্ষ্য বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এই টেস্ট দিয়ে বিদেশের মাটিতে জেতার অভ্যাস করতে চায় বাংলাদেশ, এমনটাই জানালেন এ ম্যাচের চতুর্থ দিনের হিরো এবাদত।

গতকাল দিনের খেলা শেষে এবাদত বলেন, ‘আমরা সবাই চেষ্টা করছি। আমাদের টিমমেটরা, সাপোর্ট স্টাফরা সবাই খুব সাপোর্ট দিয়েছে। প্রথমত নিউজিল্যান্ডে আমাদের যে আগের ম্যাচগুলো খেলেছি, অতো ভালো করতে পারিনি। কিন্তু এই যে এই দলটা আছে, আমরা এই দলটাই চাচ্ছি নতুন কিছু করে দেশটাকে রিপ্রেজেন্ট করতে, দেশের জন্য ভালো কিছু করতে। আগের ম্যাচগুলোয় আমরা এতো ভালো করতে পারিনি। কিন্তু কেউ না কেউ তো আমাদের দেশের জন্য ভালো করে শুরু করতে হবে। তো আমরা এই দলটাই চেষ্টা করছি, যাতে আমরা অ্যাওয়ে ম্যাচগুলো জিততে শুরু করতে পারি।’

বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৫ ম্যাচ। ২টি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের মাটিতে, ১টি শ্রীলংকার মাটিতে।  দেশের হয়ে ১১তম টেস্ট খেলছেন এবাদত। আর বিদেশের মাটিতে অস্টম টেস্ট তার। দেশের মাটিতে ৩ ও বিদেশের মাটিতে ১৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এই টেস্টে নিজের পারফরমেন্স নিয়ে এবাদত বলেন, ‘আসলে দেশে ও দেশের বাইরে- দুই কন্ডিশনেই আমি খেলেছি। যে জিনিসটা হয়েছে, দেশে আমাদের উইকেটটা একটু ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি থাকে, ফ্ল্যাট থাকে। ওখানেও আমরা চেষ্টা করছি পেস বোলাররা কিভাবে উইকেট বের করা লাগে। অ্যাওয়ে কন্ডিশনে প্রথম দিনটা, প্রথম দুই ঘণ্টা পেসারদের জন্য একটু সাহায্য থাকে। এরপর উইকেটটা ফ্ল্যাট হয়ে যায়। তো এখন পর্যন্ত স্টিল আমরা শিখতেছি যে হোম কন্ডিশন ও অ্যাওয়ে কন্ডিশনে কিভাবে বোলিং করা লাগে। বল পুরোনো হয়ে গেলে কিভাবে রিভার্স করা লাগে, রিভার্স করানোর টিম প্ল্যান যেটা থাকে, সেটাও আমরা চেষ্টা করছি। আমরা এখনও শিখতেছি। আমরা বলতেছি না আমরা পেস বোলাররা আমরা চেষ্টা করতেছি সবাই যে আমাদের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টকে উন্নত করতে। আমরা শিখতেছি নতুন বল এবং পুরাতন বলে দেশের বাইরে কিভাবে বোলিং করা লাগে। ইনশাআল্লাহ্? আমরা চেষ্টা করবো বুধবার যেন দেশকে জিতিয়ে বের হতে পারি।’

বুধবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২২ , ২১ পৌষ ১৪২৮ ১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

মঙ্গানুই থেকেই অ্যাওয়ে ম্যাচ জয় শুরু করতে চান এবাদত

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

পেসার এবাদত হোসেনের বোলিং নৈপুন্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে সফরকারী বাংলাদেশ। গতকাল শেষ বিকেলে বল হাতে জ্বলে উঠেন এবাদত। মাত্র ৭ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। এতেই ১৩৬ রানে নিউজিল্যান্ডের পঞ্চম উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন শেষে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে মাত্র ১৭ রানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে নিউজিল্যান্ডের বাকী ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ছোট টার্গেট রেখে জয়ের পেছনে ছোটাই এখন লক্ষ্য বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এই টেস্ট দিয়ে বিদেশের মাটিতে জেতার অভ্যাস করতে চায় বাংলাদেশ, এমনটাই জানালেন এ ম্যাচের চতুর্থ দিনের হিরো এবাদত।

গতকাল দিনের খেলা শেষে এবাদত বলেন, ‘আমরা সবাই চেষ্টা করছি। আমাদের টিমমেটরা, সাপোর্ট স্টাফরা সবাই খুব সাপোর্ট দিয়েছে। প্রথমত নিউজিল্যান্ডে আমাদের যে আগের ম্যাচগুলো খেলেছি, অতো ভালো করতে পারিনি। কিন্তু এই যে এই দলটা আছে, আমরা এই দলটাই চাচ্ছি নতুন কিছু করে দেশটাকে রিপ্রেজেন্ট করতে, দেশের জন্য ভালো কিছু করতে। আগের ম্যাচগুলোয় আমরা এতো ভালো করতে পারিনি। কিন্তু কেউ না কেউ তো আমাদের দেশের জন্য ভালো করে শুরু করতে হবে। তো আমরা এই দলটাই চেষ্টা করছি, যাতে আমরা অ্যাওয়ে ম্যাচগুলো জিততে শুরু করতে পারি।’

বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৫ ম্যাচ। ২টি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের মাটিতে, ১টি শ্রীলংকার মাটিতে।  দেশের হয়ে ১১তম টেস্ট খেলছেন এবাদত। আর বিদেশের মাটিতে অস্টম টেস্ট তার। দেশের মাটিতে ৩ ও বিদেশের মাটিতে ১৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এই টেস্টে নিজের পারফরমেন্স নিয়ে এবাদত বলেন, ‘আসলে দেশে ও দেশের বাইরে- দুই কন্ডিশনেই আমি খেলেছি। যে জিনিসটা হয়েছে, দেশে আমাদের উইকেটটা একটু ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি থাকে, ফ্ল্যাট থাকে। ওখানেও আমরা চেষ্টা করছি পেস বোলাররা কিভাবে উইকেট বের করা লাগে। অ্যাওয়ে কন্ডিশনে প্রথম দিনটা, প্রথম দুই ঘণ্টা পেসারদের জন্য একটু সাহায্য থাকে। এরপর উইকেটটা ফ্ল্যাট হয়ে যায়। তো এখন পর্যন্ত স্টিল আমরা শিখতেছি যে হোম কন্ডিশন ও অ্যাওয়ে কন্ডিশনে কিভাবে বোলিং করা লাগে। বল পুরোনো হয়ে গেলে কিভাবে রিভার্স করা লাগে, রিভার্স করানোর টিম প্ল্যান যেটা থাকে, সেটাও আমরা চেষ্টা করছি। আমরা এখনও শিখতেছি। আমরা বলতেছি না আমরা পেস বোলাররা আমরা চেষ্টা করতেছি সবাই যে আমাদের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টকে উন্নত করতে। আমরা শিখতেছি নতুন বল এবং পুরাতন বলে দেশের বাইরে কিভাবে বোলিং করা লাগে। ইনশাআল্লাহ্? আমরা চেষ্টা করবো বুধবার যেন দেশকে জিতিয়ে বের হতে পারি।’