ফেডারেশন কাপ সেমিফাইনাল কাল

চলমান ফেডারেশন কাপ ফুটলের সেমি-ফাইনালে আগামীকাল (৬ জানুয়ারি) আবাহনী মুখোমুখি হবে সাইফ স্পোর্টিংয়ের। একই দিনে মোহামেডান খেলবে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে।

কমলাপুরের স্টেডিয়ামে সোমবার রাতে শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে আবাহনী ৬-০ গোলে শেখ জামালকে হারিয়ে উঠে সেমি-ফাইনালে। জোড়া গোল করেছেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার দোরিয়েন্তন ও নাবীব নেওয়াজ জীবন। কলিনদ্রেস ও রাফায়েল অগাস্তো একটি করে লক্ষ্যভেদ করে স্কোরশিটে নাম তুলেছেন।

পূর্ণশক্তির দল নিয়ে শুরু থেকে তেড়েফুঁড়ে খেলতে থাকে আবাহনী। যথারীতি রাফায়েল ছিলেন মধ্যমাঠের সেনানি। কলিনদ্রেসের সঙ্গে তার জুটি জমেছেও। নাম্বার নাইন হিসেবে দোরিয়েন্তন ছিলেন সুযোগসন্ধানী। বদলি নেমে নাবীব নেওয়াজ জীবনও নিজের জাত চিনিয়েছেন। সম্মিলিত মিশেলে শেখ জামাল কোনও পাত্তাই পায়নি। চিনেদু ম্যাথিউ, সলোমান কিং ও ওতাবেকদের নিয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে মাত্র!

প্রথমার্ধে এসেছে দুই গোল। ২২ মিনিটে কলিনদ্রেসের ফ্রি-কিকে ব্রাজিলিয়ান দোরিয়েন্তন বুটের তলার টোকায় জাল কাঁপান। ১০ মিনিট পর আবাহনীর ব্যবধান দ্বিগুণ হয় পেনাল্টি থেকে। ফাউল থেকে পাওয়া স্পটকিকে জাল কাঁপান রাফায়েল অগাস্তো। বিরতির পরও আবাহনীর আক্রমণে তেজ কমেনি। ৬২ মিনিটে কলিনদ্রেসের পাস থেকে দোরিয়েন্তন বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে আগুয়ান গোলকিপারের বাঁদিক দিয়ে সহজেই বল জড়ান জালে। ৭০ মিনিট পর প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নেয়া ফ্রি-কিকে কলিনদ্রেস জাল কাঁপালে আবাহনী আবারও এগিয়ে যায়। ৮১ মিনিটে দুই বদলি খেলোয়াড়ের সৌজন্যে গোল আসে। ওভারল্যাপ করে ওঠে ডান দিক দিয়ে মনির আলমের ক্রসে নাবীব নেওয়াজ জীবন আলতো টোকায় গোল করেন। যোগ করা সময়ে মিলাদ শেখের পাসে জীবন বুক দিয়ে বল নামিয়ে প্লেসিং করে দলকে বড় ব্যবধানে জয়ে সহায়তা করেন।

বুধবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২২ , ২১ পৌষ ১৪২৮ ১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

ফেডারেশন কাপ সেমিফাইনাল কাল

image

চলমান ফেডারেশন কাপ ফুটলের সেমি-ফাইনালে আগামীকাল (৬ জানুয়ারি) আবাহনী মুখোমুখি হবে সাইফ স্পোর্টিংয়ের। একই দিনে মোহামেডান খেলবে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে।

কমলাপুরের স্টেডিয়ামে সোমবার রাতে শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে আবাহনী ৬-০ গোলে শেখ জামালকে হারিয়ে উঠে সেমি-ফাইনালে। জোড়া গোল করেছেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার দোরিয়েন্তন ও নাবীব নেওয়াজ জীবন। কলিনদ্রেস ও রাফায়েল অগাস্তো একটি করে লক্ষ্যভেদ করে স্কোরশিটে নাম তুলেছেন।

পূর্ণশক্তির দল নিয়ে শুরু থেকে তেড়েফুঁড়ে খেলতে থাকে আবাহনী। যথারীতি রাফায়েল ছিলেন মধ্যমাঠের সেনানি। কলিনদ্রেসের সঙ্গে তার জুটি জমেছেও। নাম্বার নাইন হিসেবে দোরিয়েন্তন ছিলেন সুযোগসন্ধানী। বদলি নেমে নাবীব নেওয়াজ জীবনও নিজের জাত চিনিয়েছেন। সম্মিলিত মিশেলে শেখ জামাল কোনও পাত্তাই পায়নি। চিনেদু ম্যাথিউ, সলোমান কিং ও ওতাবেকদের নিয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে মাত্র!

প্রথমার্ধে এসেছে দুই গোল। ২২ মিনিটে কলিনদ্রেসের ফ্রি-কিকে ব্রাজিলিয়ান দোরিয়েন্তন বুটের তলার টোকায় জাল কাঁপান। ১০ মিনিট পর আবাহনীর ব্যবধান দ্বিগুণ হয় পেনাল্টি থেকে। ফাউল থেকে পাওয়া স্পটকিকে জাল কাঁপান রাফায়েল অগাস্তো। বিরতির পরও আবাহনীর আক্রমণে তেজ কমেনি। ৬২ মিনিটে কলিনদ্রেসের পাস থেকে দোরিয়েন্তন বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে আগুয়ান গোলকিপারের বাঁদিক দিয়ে সহজেই বল জড়ান জালে। ৭০ মিনিট পর প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নেয়া ফ্রি-কিকে কলিনদ্রেস জাল কাঁপালে আবাহনী আবারও এগিয়ে যায়। ৮১ মিনিটে দুই বদলি খেলোয়াড়ের সৌজন্যে গোল আসে। ওভারল্যাপ করে ওঠে ডান দিক দিয়ে মনির আলমের ক্রসে নাবীব নেওয়াজ জীবন আলতো টোকায় গোল করেন। যোগ করা সময়ে মিলাদ শেখের পাসে জীবন বুক দিয়ে বল নামিয়ে প্লেসিং করে দলকে বড় ব্যবধানে জয়ে সহায়তা করেন।