সেই সুমিতা রানী এখন..

‘অনেক দিন থেকে পায়ের ইনজুরিতে আছি, একবার খোঁজও নিলেন না ভাই’, মঙ্গলবার আর্মি স্টেডিয়ামে জ্যাভলিন (বর্ষা) হাতে হাসিমাখা মুখে কথাগুলো বলেন এক সময়ে দেশের অ্যাথলেটিকসে ‘হার্ডলসের রানী’ খ্যাত সুমিতা রানী। প্রায় দুই দশক হার্ডলসের রানী খেতাবটি ধরে রেখেছিলেন সুমিতা রানী। মাঝে সাঝে দুয়েকবার কারো কাছে হারলেও ফের পুনরুদ্ধার করতে ১১০ মিটার হার্ডলসে সেরার খেতাব। পায়ের ইনজুরিতে খেলছেন না এবারও। তবে অ্যাথলেটিকস ছেড়ে দেননি বাংলাদেশ জেলের এই ক্রীড়াবিদ। নিজ দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে এসেছেন। তাদের উৎসাহ দিচ্ছেন। 

দেশের অ্যাথলেটিকস যে ক’জন অ্যাথলেটের নাম আসবে, তাদের সাঁরিতে রাখতে হবে প্রায় ৩০ বছরে ছুঁই ছুঁই সুমিতাকে। ২০০৩ সালে জুনিয়র থেকে সিনিয়রে নাম লিখিয়েই স্বর্ণ জিতে প্রচারের আলোয় এসেছিলেন সুমিতা। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও সামার মিট মিলিয়ে ৯টি স্বর্ণ জিতে হার্ডলসে অনন্য নজির স্থাপন করেন সুমিতা। মাঝে ২০০৬ সালে কলম্বো সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস ও ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমসে (পাকিস্তানের কাছে ফটোফিনিশিংয়ে হারেন) দু’টি রুপা জিতেছেন সুমিতা। একবার কমনওয়েলথ অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপেও খেলেছেন সুমিতা। তারপর আর আন্তর্জাতিক আসরে ডাক পাননি।

নারীদের হার্ডলসে জাতীয় ও সামার মিলিয়ে ৯ বার স্বর্ণ জিতে নিজেকে করেছিলেন অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু ইনজুরির কারণে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় সিনিয়র মিটে খেলতে পারেননি তিনি। এবারও তাই। এই সুযোগে তামান্নাই জিতেছেন হার্ডলসে সেরার খেতাব। তবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে না নামলেও অ্যাথলেটিকসকে ভুলতে পারেননি। তার কথায়, ‘অ্যাথলেটিকস আমার রন্ধ্রে মিশে গেছে। কিভাবে ছেড়ে দেই বলুনতো। তাই খেলতে না পারলেও আমার দল বাংলাদেশ জেলের সঙ্গে এসেছি। ওদেরকে উৎসাহ দিচ্ছি। আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে পা ভালো আবার ট্র্র্যাকে নামতে পারি।’

বুধবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২২ , ২১ পৌষ ১৪২৮ ১ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

সেই সুমিতা রানী এখন..

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

image

‘অনেক দিন থেকে পায়ের ইনজুরিতে আছি, একবার খোঁজও নিলেন না ভাই’, মঙ্গলবার আর্মি স্টেডিয়ামে জ্যাভলিন (বর্ষা) হাতে হাসিমাখা মুখে কথাগুলো বলেন এক সময়ে দেশের অ্যাথলেটিকসে ‘হার্ডলসের রানী’ খ্যাত সুমিতা রানী। প্রায় দুই দশক হার্ডলসের রানী খেতাবটি ধরে রেখেছিলেন সুমিতা রানী। মাঝে সাঝে দুয়েকবার কারো কাছে হারলেও ফের পুনরুদ্ধার করতে ১১০ মিটার হার্ডলসে সেরার খেতাব। পায়ের ইনজুরিতে খেলছেন না এবারও। তবে অ্যাথলেটিকস ছেড়ে দেননি বাংলাদেশ জেলের এই ক্রীড়াবিদ। নিজ দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে এসেছেন। তাদের উৎসাহ দিচ্ছেন। 

দেশের অ্যাথলেটিকস যে ক’জন অ্যাথলেটের নাম আসবে, তাদের সাঁরিতে রাখতে হবে প্রায় ৩০ বছরে ছুঁই ছুঁই সুমিতাকে। ২০০৩ সালে জুনিয়র থেকে সিনিয়রে নাম লিখিয়েই স্বর্ণ জিতে প্রচারের আলোয় এসেছিলেন সুমিতা। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও সামার মিট মিলিয়ে ৯টি স্বর্ণ জিতে হার্ডলসে অনন্য নজির স্থাপন করেন সুমিতা। মাঝে ২০০৬ সালে কলম্বো সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস ও ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমসে (পাকিস্তানের কাছে ফটোফিনিশিংয়ে হারেন) দু’টি রুপা জিতেছেন সুমিতা। একবার কমনওয়েলথ অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপেও খেলেছেন সুমিতা। তারপর আর আন্তর্জাতিক আসরে ডাক পাননি।

নারীদের হার্ডলসে জাতীয় ও সামার মিলিয়ে ৯ বার স্বর্ণ জিতে নিজেকে করেছিলেন অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু ইনজুরির কারণে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় সিনিয়র মিটে খেলতে পারেননি তিনি। এবারও তাই। এই সুযোগে তামান্নাই জিতেছেন হার্ডলসে সেরার খেতাব। তবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে না নামলেও অ্যাথলেটিকসকে ভুলতে পারেননি। তার কথায়, ‘অ্যাথলেটিকস আমার রন্ধ্রে মিশে গেছে। কিভাবে ছেড়ে দেই বলুনতো। তাই খেলতে না পারলেও আমার দল বাংলাদেশ জেলের সঙ্গে এসেছি। ওদেরকে উৎসাহ দিচ্ছি। আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে পা ভালো আবার ট্র্র্যাকে নামতে পারি।’