প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের ধাপগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চলতি দায়িত্ব নিয়ে যোগদান করার পর থেকে অনিয়মের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছেন। তিনি যোগদানের পর হইতে অদ্যবধি ম্যানেজিং কমিটির কোন সভা করেনি । সভা না করেই স্বাক্ষর নেন রেজুলেশন।

সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপনে নতুন-পুরাতনসহ প্রায় তিন মণ বই বিক্রয় করেন।

বই বিক্রয়ের সময় স্থানীয় ফরিদুল ইসলাম বই বহনকারী গাড়ি আটকিয়ে দিলে সভাপতির মধ্যস্থতায় তা ছেড়ে দেন। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত একটি পুরাতন টয়লেট ভেঙ্গে তার ইট বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাত করেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। প্রায় ছয় মাস থেকে ওই বিদ্যালয়ে কোন টয়লেট না থাকায় শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছে। তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না। তার খেয়াল খুশি মতো বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘœ ঘটছে।

সম্প্রতি সময়ে একাধারে দুইদিন গিয়ে বিদ্যালয়টি বন্ধ পাওয়া যায়। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে না পেয়ে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলতাব হোসেন এর সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, আমরা কখন বিদ্যালয়ে যাব না যাব সেটা আমার কর্তৃপক্ষ বুঝবে। আপনার জানার কোন দরকার নাই।

একইভাবে ছাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৫ ফুট দৈর্ঘ্যরে পুরাতন একটি ভবন ও ৩২ হাতের একটি টিনের ঘর প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বিক্রি করে দেন। প্রধান শিক্ষক পুরাতন ভবনের জায়গায় একটি ফুলের বাগান তৈরি করেন।

ধাপগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী জানান, আমার মেয়ের পরীক্ষা থাকায় বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে পীরগাছা এসেছি। কমিটির সভাপতি টয়লেট বিক্রি করেছেন এছাড়া আর তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ম্যানেজিং কমটির সভাপতি মতিয়ার রহমান বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে টয়লেট ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতিকুর রহমান এর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের আগমন-প্রস্থানের বিষয়টি দেখতে চাইলেও টয়লেট ভাঙ্গা ও বই বিক্রয়ের বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২২ , ২২ পৌষ ১৪২৮ ২ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

ধাপগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রতিনিধি, পীরগাছা (রংপুর)

উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের ধাপগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চলতি দায়িত্ব নিয়ে যোগদান করার পর থেকে অনিয়মের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছেন। তিনি যোগদানের পর হইতে অদ্যবধি ম্যানেজিং কমিটির কোন সভা করেনি । সভা না করেই স্বাক্ষর নেন রেজুলেশন।

সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপনে নতুন-পুরাতনসহ প্রায় তিন মণ বই বিক্রয় করেন।

বই বিক্রয়ের সময় স্থানীয় ফরিদুল ইসলাম বই বহনকারী গাড়ি আটকিয়ে দিলে সভাপতির মধ্যস্থতায় তা ছেড়ে দেন। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত একটি পুরাতন টয়লেট ভেঙ্গে তার ইট বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাত করেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। প্রায় ছয় মাস থেকে ওই বিদ্যালয়ে কোন টয়লেট না থাকায় শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছে। তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না। তার খেয়াল খুশি মতো বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘœ ঘটছে।

সম্প্রতি সময়ে একাধারে দুইদিন গিয়ে বিদ্যালয়টি বন্ধ পাওয়া যায়। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে না পেয়ে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলতাব হোসেন এর সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, আমরা কখন বিদ্যালয়ে যাব না যাব সেটা আমার কর্তৃপক্ষ বুঝবে। আপনার জানার কোন দরকার নাই।

একইভাবে ছাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৫ ফুট দৈর্ঘ্যরে পুরাতন একটি ভবন ও ৩২ হাতের একটি টিনের ঘর প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বিক্রি করে দেন। প্রধান শিক্ষক পুরাতন ভবনের জায়গায় একটি ফুলের বাগান তৈরি করেন।

ধাপগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী জানান, আমার মেয়ের পরীক্ষা থাকায় বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে পীরগাছা এসেছি। কমিটির সভাপতি টয়লেট বিক্রি করেছেন এছাড়া আর তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ম্যানেজিং কমটির সভাপতি মতিয়ার রহমান বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে টয়লেট ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতিকুর রহমান এর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের আগমন-প্রস্থানের বিষয়টি দেখতে চাইলেও টয়লেট ভাঙ্গা ও বই বিক্রয়ের বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।