বঙ্গোপসাগরে গ্যাস হাইড্রেটের সন্ধান

বিপুল পরিমাণ মিথেন পাওয়ার সম্ভাবনা

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অনুসন্ধান চালিয়ে ১৭ থেকে ১০৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট (টিসিএফ) গ্যাস হাইড্রেটের সন্ধান পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২২০ প্রজাতির সি-উইড ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি, পাঁচ প্রজাতির লবস্টার, ছয় প্রজাতির কাঁকড়া ও ৬১ প্রজাতির সি-গ্রাস চিহ্নিত করা হয়েছে।

গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘গ্যাস হাইড্রেন্ট ও সামুদ্রিক জেনেটিক সম্পদের ওপর গবেষণার ফলাফল’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রতিনিধিসহ নেদারল্যান্ডসভিত্তিক গবেষকরা গত দুই বছরে বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় গবেষণা কার্যক্রমের ভিত্তিতে এ ফলাফল পেয়েছেন। যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডস এ গবেষণায় সহায়তা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্র সীমা অনুবিভাগ) রিয়াল এডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমরা পুরো এলাকায় এখনও সার্ভে করতে পারিনি। তবে যতটুকুতে করতে পেরেছি তাতে আমরা ধারণা করছি ১৭ থেকে ১০৩ টিসিএফ গ্যাস হাইড্রেট এখানে রয়েছে।’

খুরশীদ আলম বলেন, ‘২০১৮ সালে বাংলাদেশের অধিকৃত জলসীমায় বঙ্গোপসাগরের তলদেশে গ্যাস হাইড্রেটের উপস্থিতি ও মজুদের পরিমাণ নির্ণয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট একটি স্টাডি করেছিল। এটা মূলত সমুদ্রের জরিপ করা অঞ্চলের তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাথমিক ধারণা লাভ করা।

‘২০১১ সালে জাতিসংঘে মহিসোপানের সীমানা নির্ধারণ কমিশনে বাংলাদেশের দাবি সংবলিত প্রস্তাবের প্রাক্কালে আমরা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার লাইন কিলোমিটার সিসমিক সার্ভে করেছিলাম বঙ্গোপসাগরে। সেসব জরিপের ওপর ভিত্তি করেই এই স্টাডি পরিচালনা করা হয়। আমরা নতুন করে কোন সার্ভে করিনি। এখানে আমরা দু’বছরের বেশি সময় ব্যয় করে মোটামুটি একটি ধারণা পেয়েছি।’

এই সমুদ্র বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমাদের স্টাডির মাধ্যমে মিথেনের ভলিউম অনুমান করা হয়েছে। অনুমিত গ্যাসের পরিমাণ ১৭ থেকে ১০৩ টিসিএফ। ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ ধারণার মাঝে এতটা ব্যবধান হওয়ার কারণ, পুরো এলাকাটা আমরা সার্ভে করতে পারিনি। যে লাইন ধরে আমরা স্টাডি করেছি সেটুকু সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত। বাকি পুরো এলাকাটায় আমরা মনে করছি ১০৩ টিসিএফ পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া সম্ভব।’

খুরশীদ আলম বলেন, ‘মিথেন গ্যাস অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় পরিবেশবান্ধব। তবে এর প্রযুক্তি এখনও সব জায়গায় বিস্তার লাভ করেনি বলেই আমরা রেস্ট অব স্টাডি করেছি। এটা করে আমরা যে তথ্যটা পেলাম, তা জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। পরবর্তী সিসমিক সার্ভে ও এই গ্যাস উত্তোলনের বিষয়ে পদক্ষেপ তারা গ্রহণ করবে।’

গ্যাস হাইড্রেটের ব্যাখ্যা করে খুরশীদ আলম বলেন, ‘গ্যাস হাইড্রেট হলো জমাটবদ্ধ মিথেন গ্যাস। এই গ্যাস আমরা গাড়ি-বাড়ি সব জায়গায় ব্যবহার করি। মূলত উচ্চচাপ ও নি¤œ তাপমাত্রায় এটা বরফের আকার নেয়। সাগরতলে মাটির চাপে এটা আইস হয়ে যায়। সাধারণভাবে ৩০০ মিটারের বেশি গভীর সমুদ্র তলদেশে গ্যাস হাইড্রেট পানি ও মাটির চাপে মিথেন বা স্ফটিক আইস আকারে থাকতে দেখা যায়। এটা সমুদ্র তলদেশে প্রায় ১০ থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।

‘বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা দেখেছি যে, ভারত ইতোমধ্যে তাদের জলসীমায় এটি আবিষ্কার করেছে। তারা প্রায় তিনটি স্থানে কূপ খনন করেছে এবং ২৫ মিটার পুরু একটি স্তর তারা পেয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমুদ্রাঞ্চলে গ্যাস হাইড্রেট ও মেরিন জেনেটিক রিসোর্সের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ তার মূল ভূখ-ের ৮১ শতাংশ পরিমাণ রাষ্ট্রীয় জলসীমা অর্জন করে অর্থাৎ সমুদ্রে মোট এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার জলরাশির জলস্তম্ভ, সমুদ্রতল এবং অন্তমৃত্তিকায় বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এই অর্জন দেশের মেরিন ও উপকূলীয় অঞ্চলে সব ধধরনের সমুদ্র সম্পদ আহরণ, বাণিজ্যিক জাহাজ, জ্বালানি, পর্যটন ইত্যাদি ঘিরে কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধির নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।’

গবেষণায় দেখা যায়, মহীসোপানের প্রান্তসীমায় ৩০০ মিটারের বেশি গভীর সমুদ্রের তলদেশে গ্যাস হাইড্রেট পানি ও মাটির চাপে মিথেন বা স্টম্ফটিক রূপে পাওয়া যায়। সাধারণত এই গ্যাস হাইড্রেট ৫০০ মিটার গভীরতায় স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে। স্থিতিশীল গ্যাস হাইড্রেট সমৃদ্ধ এ অঞ্চল সমুদ্রের তলদেশে প্রায় ১০ থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) ওয়েবসাইটে বলা হয়, সমুদ্রের তলদেশে গ্যাস ও পানির সংমিশ্রণে তৈর হওয়া স্ফটিককে গ্যাস হাইড্রেট বলা হয়। মিথেন হাইড্রেট হচ্ছে চার অনু মিথেন এবং ২৩ অনু পানির সংমিশ্রণ, যা সাধারণত স্বচ্ছ বরফ আকারে থাকে। সাগরের পানির নিচে নির্দিষ্ট গভীরতা এবং চাপে জমাট আকারে এটি অবস্থান করে। সাগরের অগভীর ও গভীর উভয় অঞ্চলের পাওয়া যেতে পারে। মরু অঞ্চলের বরফের নিচে বড় আকারের মিথেন হাইড্রেটের মজুদ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২২ , ২২ পৌষ ১৪২৮ ২ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

বঙ্গোপসাগরে গ্যাস হাইড্রেটের সন্ধান

বিপুল পরিমাণ মিথেন পাওয়ার সম্ভাবনা

কূটনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অনুসন্ধান চালিয়ে ১৭ থেকে ১০৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট (টিসিএফ) গ্যাস হাইড্রেটের সন্ধান পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২২০ প্রজাতির সি-উইড ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি, পাঁচ প্রজাতির লবস্টার, ছয় প্রজাতির কাঁকড়া ও ৬১ প্রজাতির সি-গ্রাস চিহ্নিত করা হয়েছে।

গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘গ্যাস হাইড্রেন্ট ও সামুদ্রিক জেনেটিক সম্পদের ওপর গবেষণার ফলাফল’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রতিনিধিসহ নেদারল্যান্ডসভিত্তিক গবেষকরা গত দুই বছরে বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় গবেষণা কার্যক্রমের ভিত্তিতে এ ফলাফল পেয়েছেন। যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডস এ গবেষণায় সহায়তা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্র সীমা অনুবিভাগ) রিয়াল এডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমরা পুরো এলাকায় এখনও সার্ভে করতে পারিনি। তবে যতটুকুতে করতে পেরেছি তাতে আমরা ধারণা করছি ১৭ থেকে ১০৩ টিসিএফ গ্যাস হাইড্রেট এখানে রয়েছে।’

খুরশীদ আলম বলেন, ‘২০১৮ সালে বাংলাদেশের অধিকৃত জলসীমায় বঙ্গোপসাগরের তলদেশে গ্যাস হাইড্রেটের উপস্থিতি ও মজুদের পরিমাণ নির্ণয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট একটি স্টাডি করেছিল। এটা মূলত সমুদ্রের জরিপ করা অঞ্চলের তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রাথমিক ধারণা লাভ করা।

‘২০১১ সালে জাতিসংঘে মহিসোপানের সীমানা নির্ধারণ কমিশনে বাংলাদেশের দাবি সংবলিত প্রস্তাবের প্রাক্কালে আমরা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার লাইন কিলোমিটার সিসমিক সার্ভে করেছিলাম বঙ্গোপসাগরে। সেসব জরিপের ওপর ভিত্তি করেই এই স্টাডি পরিচালনা করা হয়। আমরা নতুন করে কোন সার্ভে করিনি। এখানে আমরা দু’বছরের বেশি সময় ব্যয় করে মোটামুটি একটি ধারণা পেয়েছি।’

এই সমুদ্র বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমাদের স্টাডির মাধ্যমে মিথেনের ভলিউম অনুমান করা হয়েছে। অনুমিত গ্যাসের পরিমাণ ১৭ থেকে ১০৩ টিসিএফ। ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ ধারণার মাঝে এতটা ব্যবধান হওয়ার কারণ, পুরো এলাকাটা আমরা সার্ভে করতে পারিনি। যে লাইন ধরে আমরা স্টাডি করেছি সেটুকু সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত। বাকি পুরো এলাকাটায় আমরা মনে করছি ১০৩ টিসিএফ পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া সম্ভব।’

খুরশীদ আলম বলেন, ‘মিথেন গ্যাস অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় পরিবেশবান্ধব। তবে এর প্রযুক্তি এখনও সব জায়গায় বিস্তার লাভ করেনি বলেই আমরা রেস্ট অব স্টাডি করেছি। এটা করে আমরা যে তথ্যটা পেলাম, তা জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। পরবর্তী সিসমিক সার্ভে ও এই গ্যাস উত্তোলনের বিষয়ে পদক্ষেপ তারা গ্রহণ করবে।’

গ্যাস হাইড্রেটের ব্যাখ্যা করে খুরশীদ আলম বলেন, ‘গ্যাস হাইড্রেট হলো জমাটবদ্ধ মিথেন গ্যাস। এই গ্যাস আমরা গাড়ি-বাড়ি সব জায়গায় ব্যবহার করি। মূলত উচ্চচাপ ও নি¤œ তাপমাত্রায় এটা বরফের আকার নেয়। সাগরতলে মাটির চাপে এটা আইস হয়ে যায়। সাধারণভাবে ৩০০ মিটারের বেশি গভীর সমুদ্র তলদেশে গ্যাস হাইড্রেট পানি ও মাটির চাপে মিথেন বা স্ফটিক আইস আকারে থাকতে দেখা যায়। এটা সমুদ্র তলদেশে প্রায় ১০ থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।

‘বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা দেখেছি যে, ভারত ইতোমধ্যে তাদের জলসীমায় এটি আবিষ্কার করেছে। তারা প্রায় তিনটি স্থানে কূপ খনন করেছে এবং ২৫ মিটার পুরু একটি স্তর তারা পেয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমুদ্রাঞ্চলে গ্যাস হাইড্রেট ও মেরিন জেনেটিক রিসোর্সের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ তার মূল ভূখ-ের ৮১ শতাংশ পরিমাণ রাষ্ট্রীয় জলসীমা অর্জন করে অর্থাৎ সমুদ্রে মোট এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার জলরাশির জলস্তম্ভ, সমুদ্রতল এবং অন্তমৃত্তিকায় বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এই অর্জন দেশের মেরিন ও উপকূলীয় অঞ্চলে সব ধধরনের সমুদ্র সম্পদ আহরণ, বাণিজ্যিক জাহাজ, জ্বালানি, পর্যটন ইত্যাদি ঘিরে কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধির নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।’

গবেষণায় দেখা যায়, মহীসোপানের প্রান্তসীমায় ৩০০ মিটারের বেশি গভীর সমুদ্রের তলদেশে গ্যাস হাইড্রেট পানি ও মাটির চাপে মিথেন বা স্টম্ফটিক রূপে পাওয়া যায়। সাধারণত এই গ্যাস হাইড্রেট ৫০০ মিটার গভীরতায় স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে। স্থিতিশীল গ্যাস হাইড্রেট সমৃদ্ধ এ অঞ্চল সমুদ্রের তলদেশে প্রায় ১০ থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) ওয়েবসাইটে বলা হয়, সমুদ্রের তলদেশে গ্যাস ও পানির সংমিশ্রণে তৈর হওয়া স্ফটিককে গ্যাস হাইড্রেট বলা হয়। মিথেন হাইড্রেট হচ্ছে চার অনু মিথেন এবং ২৩ অনু পানির সংমিশ্রণ, যা সাধারণত স্বচ্ছ বরফ আকারে থাকে। সাগরের পানির নিচে নির্দিষ্ট গভীরতা এবং চাপে জমাট আকারে এটি অবস্থান করে। সাগরের অগভীর ও গভীর উভয় অঞ্চলের পাওয়া যেতে পারে। মরু অঞ্চলের বরফের নিচে বড় আকারের মিথেন হাইড্রেটের মজুদ রয়েছে।