নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরিষা আবাদকে কেন্দ্র করে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌ চাষিরা। সিংড়া উপজেলায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মৌ চাষিরা সরিষা ক্ষেতে মৌ বাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছে। এ অঞ্চলে সংগ্রহ করা উন্নতমানের মধু দেশের বিভিন্ন যায়গায় খুচরা পাইকারিভাবে বাজারজাত করা হচ্ছে। এই উন্নতমানের মধু কেজি প্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিংড়া উপজেলার ভাগনাগরকান্দী, নিংগইন, শেরকোল ও চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় মাঠে মাঠে এখন সরিষা। যে দিকে চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। অন্যদিকে সিংড়া উপজেলায় দূর দূরান্ত থেকে আসা মৌ চাষিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সরিষা ক্ষেত। মাঠের পাশে মৌ বাক্স স্থাপন করে সংগ্রহ করা হচ্ছে মধু। হাজার হাজার মৌমাছি প্রতিনিয়ত ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে বাক্সে জমা করছে। আর মৌ চাষিরা কয়েক দিন পর পর সেই বাক্সগুলো থেকে ধোঁয়ার মাধ্যমে মৌমাছি সরিয়ে দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ করছেন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য রনজু মৃধা জানান, মৌ বাক্স স্থাপনে সরিষার ফলন ভালো হচ্ছে। মৌ চাষিদের খেতে মৌ বাক্স স্থাপনে কোন বাধা দেয়া হচ্ছে না। মৌ বাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করার ফলে সরিষার ফলন বিঘা প্রতি দুই থেকে তিন মণ হারে বেড়েছে।
স্থানীয় যুবক আরিফ ও সামাউন আলী জানান, গত কয়েক বছর থেকে আমাদের মাঠে মৌ চাষিরা ফসলের খেতের পাশে মৌ বাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ শুরু করে। খেতে মৌমাছির বিচরণ হওয়ায় পরাগায়ন হয়। তেমন কীটনাশক স্প্রে করতে হয়নি। রোগবালাই তেমন নাই। ফলে সরিষার আবাদও ভালো হয়েছে।
মৌ চাষি মোত্তালেব হোসেন জানান, আমি দীর্ঘ বারো বছর যাবত এই পেশার কাজ করছি, আমি উপজেলার কৃষি অফিস থেকে মোটামুটিভাবে সহযোগিতা পেয়েছি। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে আমাদের আবেদন সিংড়া উপজেলায় তথা চলনবিল অঞ্চলে একটা মধু প্রসেসিং প্লান্ট স্থাপনের দাবি জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২২ , ২২ পৌষ ১৪২৮ ২ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
প্রতিনিধি, সিংড়া (নাটোর)
নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরিষা আবাদকে কেন্দ্র করে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌ চাষিরা। সিংড়া উপজেলায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা মৌ চাষিরা সরিষা ক্ষেতে মৌ বাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছে। এ অঞ্চলে সংগ্রহ করা উন্নতমানের মধু দেশের বিভিন্ন যায়গায় খুচরা পাইকারিভাবে বাজারজাত করা হচ্ছে। এই উন্নতমানের মধু কেজি প্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিংড়া উপজেলার ভাগনাগরকান্দী, নিংগইন, শেরকোল ও চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় মাঠে মাঠে এখন সরিষা। যে দিকে চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। অন্যদিকে সিংড়া উপজেলায় দূর দূরান্ত থেকে আসা মৌ চাষিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সরিষা ক্ষেত। মাঠের পাশে মৌ বাক্স স্থাপন করে সংগ্রহ করা হচ্ছে মধু। হাজার হাজার মৌমাছি প্রতিনিয়ত ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে বাক্সে জমা করছে। আর মৌ চাষিরা কয়েক দিন পর পর সেই বাক্সগুলো থেকে ধোঁয়ার মাধ্যমে মৌমাছি সরিয়ে দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ করছেন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য রনজু মৃধা জানান, মৌ বাক্স স্থাপনে সরিষার ফলন ভালো হচ্ছে। মৌ চাষিদের খেতে মৌ বাক্স স্থাপনে কোন বাধা দেয়া হচ্ছে না। মৌ বাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করার ফলে সরিষার ফলন বিঘা প্রতি দুই থেকে তিন মণ হারে বেড়েছে।
স্থানীয় যুবক আরিফ ও সামাউন আলী জানান, গত কয়েক বছর থেকে আমাদের মাঠে মৌ চাষিরা ফসলের খেতের পাশে মৌ বাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ শুরু করে। খেতে মৌমাছির বিচরণ হওয়ায় পরাগায়ন হয়। তেমন কীটনাশক স্প্রে করতে হয়নি। রোগবালাই তেমন নাই। ফলে সরিষার আবাদও ভালো হয়েছে।
মৌ চাষি মোত্তালেব হোসেন জানান, আমি দীর্ঘ বারো বছর যাবত এই পেশার কাজ করছি, আমি উপজেলার কৃষি অফিস থেকে মোটামুটিভাবে সহযোগিতা পেয়েছি। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে আমাদের আবেদন সিংড়া উপজেলায় তথা চলনবিল অঞ্চলে একটা মধু প্রসেসিং প্লান্ট স্থাপনের দাবি জানান তিনি।