বিসিসি মেয়রকে সাত কাউন্সিলরে লিগ্যাল নোটিস

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীল পদে অবস্থান করেও বিভিন্ন বেআইনি ও অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বসিকের সচিবকে সম্মিলিতভাবে আইনি নোটিস দিয়েছেন ৭ জন কাউন্সিলর। যৌথভাবে দেয়া এই আইনী নোটিসে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে লিখিত জবাব প্রেরণের অনুরোধ জানিয়ে তা রেজিস্ট্রি ডাকযোগে তিনজনের কাছেই পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। নোটিস প্রেরণকারী সকল কাউন্সিলরই আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য। কাউন্সিলরদের পক্ষে বরিশাল জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান এই নোটিস প্রদান করেছেন।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সকল কাউন্সিলরদের গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে সম্মানি ভাতা ও অন্যান্য ভাতা ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু নোটিস দাতাদের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে পূর্বের ন্যায় ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়। যা পরবর্তীতে একই হারে প্রদান করার কার্যক্রম অব্যহত আছে। নোটিস গ্রহীতাগণ একই আইনের অধীনে দায়িত্বে থাকলেও নোটিস দাতাদের সহিত এ রকম আচরণ করছেন এবং অন্যান্য কাউন্সিলরদের সঙ্গে ভিন্নরূপ আচরণ করছেন। যা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। নোটিস গ্রহীতাগণ সকল কাউন্সিলের ন্যায় নোটিসদাতা কাউন্সিলদের অক্টোবর ও নভেম্বর থেকে সম্মানি ও অন্যান্য ভাতাদি ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু কর্পোরেশনের ১ম সভায় নোটিসদাতা কাউন্সিলরদেরকে অজ্ঞাত কারণে সিটি কর্পোরেশনে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ জনগণের স্বার্থে নোটিস দাতাদের বিভিন্ন কাজে সিটি কর্পোরেশনে যাওয়া এবং সেখানে জনগণের জন্য কাজ করা একান্তভাবে আবশ্যকীয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতিরেকে এবং নোটিস দাতাদের রেজুলেশনে স্বাক্ষর ব্যতিরেকে জনস্বার্থ উপেক্ষা করে হোল্ডিং ট্যাক্স কোন কোন ক্ষেত্রে ১০০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে নোটিস দাতাদের ওয়ার্ডের জনসাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে নোটিস দাতাদের বিভিন্ন সময় জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে।

শুক্রবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২২ , ২৩ পৌষ ১৪২৮ ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

বিসিসি মেয়রকে সাত কাউন্সিলরে লিগ্যাল নোটিস

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীল পদে অবস্থান করেও বিভিন্ন বেআইনি ও অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বসিকের সচিবকে সম্মিলিতভাবে আইনি নোটিস দিয়েছেন ৭ জন কাউন্সিলর। যৌথভাবে দেয়া এই আইনী নোটিসে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে লিখিত জবাব প্রেরণের অনুরোধ জানিয়ে তা রেজিস্ট্রি ডাকযোগে তিনজনের কাছেই পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। নোটিস প্রেরণকারী সকল কাউন্সিলরই আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য। কাউন্সিলরদের পক্ষে বরিশাল জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান এই নোটিস প্রদান করেছেন।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সকল কাউন্সিলরদের গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে সম্মানি ভাতা ও অন্যান্য ভাতা ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু নোটিস দাতাদের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে পূর্বের ন্যায় ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়। যা পরবর্তীতে একই হারে প্রদান করার কার্যক্রম অব্যহত আছে। নোটিস গ্রহীতাগণ একই আইনের অধীনে দায়িত্বে থাকলেও নোটিস দাতাদের সহিত এ রকম আচরণ করছেন এবং অন্যান্য কাউন্সিলরদের সঙ্গে ভিন্নরূপ আচরণ করছেন। যা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। নোটিস গ্রহীতাগণ সকল কাউন্সিলের ন্যায় নোটিসদাতা কাউন্সিলদের অক্টোবর ও নভেম্বর থেকে সম্মানি ও অন্যান্য ভাতাদি ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু কর্পোরেশনের ১ম সভায় নোটিসদাতা কাউন্সিলরদেরকে অজ্ঞাত কারণে সিটি কর্পোরেশনে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ জনগণের স্বার্থে নোটিস দাতাদের বিভিন্ন কাজে সিটি কর্পোরেশনে যাওয়া এবং সেখানে জনগণের জন্য কাজ করা একান্তভাবে আবশ্যকীয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতিরেকে এবং নোটিস দাতাদের রেজুলেশনে স্বাক্ষর ব্যতিরেকে জনস্বার্থ উপেক্ষা করে হোল্ডিং ট্যাক্স কোন কোন ক্ষেত্রে ১০০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে নোটিস দাতাদের ওয়ার্ডের জনসাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে নোটিস দাতাদের বিভিন্ন সময় জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে।