পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

অনিয়ম-দুর্নীতি-উৎকোচ বাণিজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন-ঝাড়ু মিছিল

চিকিৎসাধীন নারীকে মারধর ও কর্তৃপক্ষের অনিয়ম, দুর্নীতি এবং উৎকোচ বাণিজ্যের অভিযোগে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আউট সোসিংয়ের কর্মরত নারী-পুরুষ কর্মচারীরা। ওই কর্মসূচিতে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মতিন, তত্ত্বাবধায়কের অলিখিত পিএস অফিস সহকারী জাফর চৌধুরী এবং হিসাবরক্ষক হাসানুজ্জামানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি পালন করেন এসব নারী ও পুরুষ কর্মচারীরা। এ সময় তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

মানববন্ধনে অভিযোগকারীরা বলেন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আউট সোসিংয়ের কর্মরত ২৯ জন নারী-পুরুষকে দীর্ঘ ৮ মাস ধরে বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে না। এছাড়াও হিসাবরক্ষক হাসানুজ্জামান তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। উৎকোচ বাণিজ্যে হিসাবরক্ষক হাসানের সহযোগী হয়ে কাজ করেছে অফিস সহকারী জাফর। এছাড়াও হাসপাতালের সকল অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে হাসান ও জাফরের প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন দাবি তাদের। এছাড়াও করোনাকালে প্রণোদনা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা দেয়া হয়নি। এদিকে বুধবারের ওই কর্মসূচিতে মোসা. আসমা বেগম নামের এক নারী অংশ নিয়ে অফিস সহকারী জাফরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, গত ২৮ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসমাকে ব্যাপক মারধর করে জাফর ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দিলেও কোন আইনগত সহায়তা পায়নি ওই নারী। এ মানববন্ধনে ভুক্তভোগী কর্মচারীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষ অংশ নিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনিয়ম, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মতিন বলেন, যে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু ঠিকাদার তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলে আমি কি করব, সেজন্য তাদের কাজ ছেড়ে চলে যেতে বলেছি। আর হিসাবরক্ষক হাসানের বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।

শুক্রবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২২ , ২৩ পৌষ ১৪২৮ ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

অনিয়ম-দুর্নীতি-উৎকোচ বাণিজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন-ঝাড়ু মিছিল

প্রতিনিধি, পটুয়াখালী

image

পটুয়াখালী : নানা অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধনে কর্মীরা -সংবাদ

চিকিৎসাধীন নারীকে মারধর ও কর্তৃপক্ষের অনিয়ম, দুর্নীতি এবং উৎকোচ বাণিজ্যের অভিযোগে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আউট সোসিংয়ের কর্মরত নারী-পুরুষ কর্মচারীরা। ওই কর্মসূচিতে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মতিন, তত্ত্বাবধায়কের অলিখিত পিএস অফিস সহকারী জাফর চৌধুরী এবং হিসাবরক্ষক হাসানুজ্জামানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি পালন করেন এসব নারী ও পুরুষ কর্মচারীরা। এ সময় তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

মানববন্ধনে অভিযোগকারীরা বলেন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আউট সোসিংয়ের কর্মরত ২৯ জন নারী-পুরুষকে দীর্ঘ ৮ মাস ধরে বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে না। এছাড়াও হিসাবরক্ষক হাসানুজ্জামান তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। উৎকোচ বাণিজ্যে হিসাবরক্ষক হাসানের সহযোগী হয়ে কাজ করেছে অফিস সহকারী জাফর। এছাড়াও হাসপাতালের সকল অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে হাসান ও জাফরের প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন দাবি তাদের। এছাড়াও করোনাকালে প্রণোদনা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা দেয়া হয়নি। এদিকে বুধবারের ওই কর্মসূচিতে মোসা. আসমা বেগম নামের এক নারী অংশ নিয়ে অফিস সহকারী জাফরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, গত ২৮ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসমাকে ব্যাপক মারধর করে জাফর ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দিলেও কোন আইনগত সহায়তা পায়নি ওই নারী। এ মানববন্ধনে ভুক্তভোগী কর্মচারীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষ অংশ নিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনিয়ম, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মতিন বলেন, যে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু ঠিকাদার তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলে আমি কি করব, সেজন্য তাদের কাজ ছেড়ে চলে যেতে বলেছি। আর হিসাবরক্ষক হাসানের বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।