রংপুর অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তিন নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. এমএ হামিদ পলাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃতরা হলেন দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ির তারা মনি (৮৫), কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ির আশা রানী (৪৫) এবং রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের শামসুন্নাহার বেগম। দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন আরও ২১ জন।
হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান সহকারী অধ্যাপক বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ ডা. এমএ হামিদ পলাশ জানান, গ্রামাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটছে। সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র পরিবারগুলোর প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে আসাবধানতাবশত পরনের কাপড়ে আগুন ধরে যায়, মুহূর্তের মধ্যে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি জানান, যে তিনজন মারা গেছেন তারা দুজনের শরীরের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাদের শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তিনি আগুন পোহানোর সময় পরনের কাপড় সাবধানের সঙ্গে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
শুক্রবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২২ , ২৩ পৌষ ১৪২৮ ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, রংপুর
রংপুর অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তিন নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. এমএ হামিদ পলাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃতরা হলেন দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ির তারা মনি (৮৫), কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ির আশা রানী (৪৫) এবং রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের শামসুন্নাহার বেগম। দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন আরও ২১ জন।
হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান সহকারী অধ্যাপক বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ ডা. এমএ হামিদ পলাশ জানান, গ্রামাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটছে। সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র পরিবারগুলোর প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহাতে গিয়ে আসাবধানতাবশত পরনের কাপড়ে আগুন ধরে যায়, মুহূর্তের মধ্যে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি জানান, যে তিনজন মারা গেছেন তারা দুজনের শরীরের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাদের শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তিনি আগুন পোহানোর সময় পরনের কাপড় সাবধানের সঙ্গে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।