গত বছর লকডাউনের সময় লজিস্টিকস কোম্পানি রেডএক্সের যাত্রা শুরু। মহামারীর কঠিন সময়েও সেবা প্রদান অব্যাহত রেখে উদ্যোক্তাদের ব্যবসাকে সচল রাখতে সাহায্য করে কোম্পানিটি। ৬ সপ্তাহে দেশজুড়ে ডেলিভারি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে তারা। বর্তমানে, দেশের ৬৪ জেলার ৪৯৩টি উপজেলা, ২৫০+ ডেলিভারি পয়েন্ট নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। মহামারী চলাকালীন সময়ে সারাদেশে তৃতীয় পাক্ষিক যত ডেলিভারি সম্পন্ন হয় তার অর্ধেকেরও বেশি হয়েছে রেডএক্স নেটওয়ার্কে। এরই ফলশ্রুতিতে, সম্প্রতি করোনাকালীন সময়ে সেরা সেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল কতৃর্ক সেরা লজিস্টিকস কোম্পানির স্বীকৃতি অর্জন করে তারা। কয়েকমাস আগে কার্গো সেবা শুরু করেছে রেডএক্স। দেশজুড়ে লাল ট্রাক ছড়িয়ে দিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় ট্রান্সপোর্ট প্রোভাইডারে পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
তাদের সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে রেডএক্সের ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা- তাদের রাইডাররা। তাদের সম্মান জানাতে সম্প্রতি ‘রেডএক্স রিওয়ার্ড’ নামে দেশব্যাপী ফ্রন্টলাইনার স্বীকৃতি উদ্যোগের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। এই উদ্যোগে সারাদেশের সব হাবের অধীনস্ত রাইডাররা অংশগ্রহণ করে এবং সেরা পারফর্মারদের সুজুকি জিক্সার এসএফ, টিভিএসসহ চারটি বাইক দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া হাব ম্যানেজার এবং জোনাল লিডদের স্মার্টফোন, অ্যাপেল ওয়াচসহ ক্যাশ পুরস্কার দেয়া হয়। ২ জানুয়ারি ২০২২ এ ধানমন্ডির নিউ সেলিব্রেটি কনভেনশন সেন্টারে জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ৫ জন রাইডার এবং ৩৮ জন হাব কর্মকর্তাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
বাইক জেতার অনুভূতি জানাতে গিয়ে রেডএক্স ঝিনাইদহ হাবের ফ্রন্টলাইনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কোভিডে হঠাৎই চাকরি চলে যাওয়ায় রেডএক্সে রাইডার হিসেবে জয়েন করি আমি। করোনায় চাকরি হারিয়ে যখন দিশেহারা তখন রেডএক্সে চাকরির কারণে আমি পরিবারসহ মহামারীর দুঃসময় পার করতে পেরেছি। সবসময় চেষ্টা করি যত দ্রুত সম্ভব গ্রাহকের পার্সেল পৌঁছে দিতে। এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে আমাদের আরো ভালো সেবা দিতে উদ্বুদ্ধ করবে। ’
উল্লেখ্য, রেডএক্স দেশীয় স্টার্টআপ শপআপের একটি প্রতিষ্ঠান। শপআপের মোট বিনিয়োগ ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্প্রতি, শপআপ ৭৫ মিলিয়ন ডলারের ‘সিরিজ বি’ বিনিয়োগ পায় যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রযুক্তিভিত্তিক বিটুবি কমার্স প্ল্যাটফর্মের জন্য সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। শপআপের ফাউন্ডার ও সিইও আফিফ জামান বলেন, ‘ফ্রন্টলাইনারদের স্বীকৃতি প্রদানের এমন একটি উদ্যোগ শুরু করতে পেরে আমরা গর্বিত। সাধারণত আমরা সারা বছরই ফ্রন্টলাইনারদের উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করি। বড় পরিসরে রাইডারদের কার্যক্রমের স্বীকৃতি প্রদানের এই আয়োজন আমরা আগামী বছরগুলোতেও অব্যাহত রাখবো। ’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
শুক্রবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২২ , ২৩ পৌষ ১৪২৮ ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
গত বছর লকডাউনের সময় লজিস্টিকস কোম্পানি রেডএক্সের যাত্রা শুরু। মহামারীর কঠিন সময়েও সেবা প্রদান অব্যাহত রেখে উদ্যোক্তাদের ব্যবসাকে সচল রাখতে সাহায্য করে কোম্পানিটি। ৬ সপ্তাহে দেশজুড়ে ডেলিভারি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে তারা। বর্তমানে, দেশের ৬৪ জেলার ৪৯৩টি উপজেলা, ২৫০+ ডেলিভারি পয়েন্ট নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। মহামারী চলাকালীন সময়ে সারাদেশে তৃতীয় পাক্ষিক যত ডেলিভারি সম্পন্ন হয় তার অর্ধেকেরও বেশি হয়েছে রেডএক্স নেটওয়ার্কে। এরই ফলশ্রুতিতে, সম্প্রতি করোনাকালীন সময়ে সেরা সেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল কতৃর্ক সেরা লজিস্টিকস কোম্পানির স্বীকৃতি অর্জন করে তারা। কয়েকমাস আগে কার্গো সেবা শুরু করেছে রেডএক্স। দেশজুড়ে লাল ট্রাক ছড়িয়ে দিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় ট্রান্সপোর্ট প্রোভাইডারে পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
তাদের সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে রেডএক্সের ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা- তাদের রাইডাররা। তাদের সম্মান জানাতে সম্প্রতি ‘রেডএক্স রিওয়ার্ড’ নামে দেশব্যাপী ফ্রন্টলাইনার স্বীকৃতি উদ্যোগের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। এই উদ্যোগে সারাদেশের সব হাবের অধীনস্ত রাইডাররা অংশগ্রহণ করে এবং সেরা পারফর্মারদের সুজুকি জিক্সার এসএফ, টিভিএসসহ চারটি বাইক দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া হাব ম্যানেজার এবং জোনাল লিডদের স্মার্টফোন, অ্যাপেল ওয়াচসহ ক্যাশ পুরস্কার দেয়া হয়। ২ জানুয়ারি ২০২২ এ ধানমন্ডির নিউ সেলিব্রেটি কনভেনশন সেন্টারে জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ৫ জন রাইডার এবং ৩৮ জন হাব কর্মকর্তাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
বাইক জেতার অনুভূতি জানাতে গিয়ে রেডএক্স ঝিনাইদহ হাবের ফ্রন্টলাইনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কোভিডে হঠাৎই চাকরি চলে যাওয়ায় রেডএক্সে রাইডার হিসেবে জয়েন করি আমি। করোনায় চাকরি হারিয়ে যখন দিশেহারা তখন রেডএক্সে চাকরির কারণে আমি পরিবারসহ মহামারীর দুঃসময় পার করতে পেরেছি। সবসময় চেষ্টা করি যত দ্রুত সম্ভব গ্রাহকের পার্সেল পৌঁছে দিতে। এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে আমাদের আরো ভালো সেবা দিতে উদ্বুদ্ধ করবে। ’
উল্লেখ্য, রেডএক্স দেশীয় স্টার্টআপ শপআপের একটি প্রতিষ্ঠান। শপআপের মোট বিনিয়োগ ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্প্রতি, শপআপ ৭৫ মিলিয়ন ডলারের ‘সিরিজ বি’ বিনিয়োগ পায় যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রযুক্তিভিত্তিক বিটুবি কমার্স প্ল্যাটফর্মের জন্য সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। শপআপের ফাউন্ডার ও সিইও আফিফ জামান বলেন, ‘ফ্রন্টলাইনারদের স্বীকৃতি প্রদানের এমন একটি উদ্যোগ শুরু করতে পেরে আমরা গর্বিত। সাধারণত আমরা সারা বছরই ফ্রন্টলাইনারদের উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করি। বড় পরিসরে রাইডারদের কার্যক্রমের স্বীকৃতি প্রদানের এই আয়োজন আমরা আগামী বছরগুলোতেও অব্যাহত রাখবো। ’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।