শর্টসার্কিট থেকে এই আগুন লাগে
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় বাংলামোটরের বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন যমুনা টিভির ব্যুরো অফিস ও তুরাগের একটি ইজিবাইক তৈরির কারখানায় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাহাত টাওয়ারের ১১ তলায় অবিস্থত যমুনা টিভির স্টুডিও ও বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তুরাগের বাউনিয়া এলাকার সাইদুর রহমানের ইজিবাইক তৈরির কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ফায়ার সার্ভিস জানায়, ইজিবাইক কারখানায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। আর যমুনা টেলিভিশনের কর্মীরা জানিয়েছেন, স্টুডিও রুমের এসিতে শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে, ঘটনা দুটিতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী যমুনা টিভির সিনিয়র ভিডিও এডিটর আবু মনছুর আল মামুন বলেন, কর্মরত অবস্থায় স্টুডিও রুম থেকে তিনি শো শো শব্দ শুনতে পান। সে সময় স্টুডিও রুমটিতে কেউ ছিল না, দরজাও বন্ধ অবস্থায় ছিল। ৫ মিনিট ধরে চলতে থাকা শো শো শব্দ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। এতে তাদের সন্দেহ হয়। পরে স্টুডিও রুমের দরজা খুলতেই প্রচুর ধোঁয়া বের হতে দেখেন। প্রথমে অফিসটির সমন্বয়ক তামিম আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখি। পরে ফায়ার এলার্ম বাজিয়ে তারা সবাই বাইরে বেরিয়ে ফায়ার সার্ভিসে ফোন করেন।
যমনা টিভির ভিডিও এডিটর জাকির হোসেন বলেন, অগ্নিকা-ের সময় নিউজরুম, ভিডিও এডিটিং প্যানেলসহ বিভিন্ন রুমে তারা ১৫ জনের মতো কর্মী কাজ করছিলেন। কাজের মধ্যেই অন্যদের আগুন আগুন বলে চিৎকার করতে শোনেন। পরে তারা সবাই নিরাপদে নিচে নেমে আসেন। আবু মনছুর আল মামুন বলেন, তাদের ধারণা স্টুডিও রুমের এসি থেকে শর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার রাব্বি সিদ্দিকী বলেন, আগুনের কারণে যমুনা টিভির স্টুডিও, ভিডিও এডিটিং প্যানেল, ক্যামেরার স্টোররুম ও নিউজরুমে লাইভের বিভিন্ন সরঞ্জাম পুড়ে গেছে। এতে আনুমানিক ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে আমাদের কোন সহকর্মী হতাহত হয়নি।
গতকাল সরজমিনে দেখা যায়, রাহাত টাওয়ারের ১১ তলায় যমুনা টিভি ও অষ্টম তলায় বিজয় টিভিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অগ্নিকা-ের পরে রাহাত টাওয়ারের সামনের সড়ক আটকে লেদারের মাধ্যমে অগ্নিনির্বাপণের কাজ করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ভবনটিতে থাকা বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা ওই সড়কটিতে অবস্থান নেন। এ সময় উৎসুক জনতার ভিড়ও লক্ষ্য করা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান, আমরা ১১টি ইউনিট দেড় ঘণ্টা ধরে কাজ করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। এসি বা ইলেট্রনিক সরঞ্জাম থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে এটি তদন্ত ছাড়া সঠিকভাবে বলা যাবে না। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে যমুনার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তারা এসি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেছেন। আমরা বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছি।
এদিকে, রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকার বাউনিয়ায় ইজিবাইক তৈরির একটি কারখানায় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাউনিয়ার ৬তলা এলাকায় সাইদুর রহমানের কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট দুপুর দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২২ , ২৩ পৌষ ১৪২৮ ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
শর্টসার্কিট থেকে এই আগুন লাগে
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় বাংলামোটরের বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন যমুনা টিভির ব্যুরো অফিস ও তুরাগের একটি ইজিবাইক তৈরির কারখানায় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাহাত টাওয়ারের ১১ তলায় অবিস্থত যমুনা টিভির স্টুডিও ও বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তুরাগের বাউনিয়া এলাকার সাইদুর রহমানের ইজিবাইক তৈরির কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ফায়ার সার্ভিস জানায়, ইজিবাইক কারখানায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। আর যমুনা টেলিভিশনের কর্মীরা জানিয়েছেন, স্টুডিও রুমের এসিতে শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে, ঘটনা দুটিতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী যমুনা টিভির সিনিয়র ভিডিও এডিটর আবু মনছুর আল মামুন বলেন, কর্মরত অবস্থায় স্টুডিও রুম থেকে তিনি শো শো শব্দ শুনতে পান। সে সময় স্টুডিও রুমটিতে কেউ ছিল না, দরজাও বন্ধ অবস্থায় ছিল। ৫ মিনিট ধরে চলতে থাকা শো শো শব্দ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। এতে তাদের সন্দেহ হয়। পরে স্টুডিও রুমের দরজা খুলতেই প্রচুর ধোঁয়া বের হতে দেখেন। প্রথমে অফিসটির সমন্বয়ক তামিম আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখি। পরে ফায়ার এলার্ম বাজিয়ে তারা সবাই বাইরে বেরিয়ে ফায়ার সার্ভিসে ফোন করেন।
যমনা টিভির ভিডিও এডিটর জাকির হোসেন বলেন, অগ্নিকা-ের সময় নিউজরুম, ভিডিও এডিটিং প্যানেলসহ বিভিন্ন রুমে তারা ১৫ জনের মতো কর্মী কাজ করছিলেন। কাজের মধ্যেই অন্যদের আগুন আগুন বলে চিৎকার করতে শোনেন। পরে তারা সবাই নিরাপদে নিচে নেমে আসেন। আবু মনছুর আল মামুন বলেন, তাদের ধারণা স্টুডিও রুমের এসি থেকে শর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার রাব্বি সিদ্দিকী বলেন, আগুনের কারণে যমুনা টিভির স্টুডিও, ভিডিও এডিটিং প্যানেল, ক্যামেরার স্টোররুম ও নিউজরুমে লাইভের বিভিন্ন সরঞ্জাম পুড়ে গেছে। এতে আনুমানিক ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে আমাদের কোন সহকর্মী হতাহত হয়নি।
গতকাল সরজমিনে দেখা যায়, রাহাত টাওয়ারের ১১ তলায় যমুনা টিভি ও অষ্টম তলায় বিজয় টিভিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অগ্নিকা-ের পরে রাহাত টাওয়ারের সামনের সড়ক আটকে লেদারের মাধ্যমে অগ্নিনির্বাপণের কাজ করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ভবনটিতে থাকা বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা ওই সড়কটিতে অবস্থান নেন। এ সময় উৎসুক জনতার ভিড়ও লক্ষ্য করা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান, আমরা ১১টি ইউনিট দেড় ঘণ্টা ধরে কাজ করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। এসি বা ইলেট্রনিক সরঞ্জাম থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে এটি তদন্ত ছাড়া সঠিকভাবে বলা যাবে না। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে যমুনার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তারা এসি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেছেন। আমরা বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছি।
এদিকে, রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকার বাউনিয়ায় ইজিবাইক তৈরির একটি কারখানায় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাউনিয়ার ৬তলা এলাকায় সাইদুর রহমানের কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট দুপুর দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।