বছরের প্রথম সপ্তাহে ফিরেছে পৌনে ১৬ হাজার কোটি টাকা

চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহের সব কার্যদিবসই ইতিবাচক ছিল শেয়ারবাজারের লেনদেন। সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসই সূচক বেড়েছে। সূচকের সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। সপ্তাহটিতে সূচকের সঙ্গে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা পৌনে ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৪২ হাজার ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫৪ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩১ কোটি ৯৪ লাখ ২৫ হাজার ৪৫৯ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১৫ হাজার ৮৩৫ কোটি ৫৪ লাখ ৬১ হাজার ০০৫ টাকা ফিরে পেয়েছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ছয় হাজার ৪৮৮ কোটি ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৬৮৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল চার হাজার ১৬০ কোটি ৫০ লাখ ৯৪ হাজার ৮১৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন দুই হাজার ৩২৭ কোটি ৬৪ লাখ ১১ হাজার ৮৭৪ টাকা বা ৫৬ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩০.৭৯ পয়েন্ট বা ৩.৪২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৯৮৭.৪৫ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪১.০৩ পয়েন্ট বা ২.৮৭ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭০.৫০ পয়েন্ট বা ২.৭৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৭২.১৫ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৬০৩.০৯ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮২টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৮৬টির বা ৭৪.৮৭ শতাংশের, কমেছে ৮৬টির বা ২২.৫১ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির বা ২.৬২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৭৬ কোটি ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪০১ টাকার। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮২৯.১৪ পয়েন্ট বা ৪.২১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৪৯৫.২১ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৪৯৭ পয়েন্ট বা ৪.২০ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৩১৮.৯২ পয়েন্ট বা ২.২৯ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৫০.৮০ পয়েন্ট বা ৩.৪৫ শতাংশ এবং সিএসআই ৫৩.৮৪ পয়েন্ট বা ৪.৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৩১০.৪৫ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ২৩২.০৫ পয়েন্টে, এক হাজার ৫২২.৩০ পয়েন্টে এবং এক হাজার ২৬৫.২৮ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৮২টির বা ৮০.৮০ শতাংশের দর বেড়েছে, ৬২টির বা ১৭.৭৭ শতাংশের কমেছে এবং ৫টির বা ১.৪৩ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) চার শতাংশের বেশি কমেছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৭.৫৮ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৬.৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৭৭ পয়েন্ট বা ৪.৩৮ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১১.৫২ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২৭.৬৫ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৩৫.৫৩ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৭.৭৪ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৫.১০ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২৩.৫৬ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ১২.৪২ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৬৭.৪১ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.৮২ শতাংশ, চামড়া খাতের ৪৬.১২ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৫৯.৫৭ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১৪৬.৪৭ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৩২১.২৪ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৫২.৮৯ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১২.৭৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২৩.১৮ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ১০৮.৩৮ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৫.০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২ , ২৪ পৌষ ১৪২৮ ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

বছরের প্রথম সপ্তাহে ফিরেছে পৌনে ১৬ হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহের সব কার্যদিবসই ইতিবাচক ছিল শেয়ারবাজারের লেনদেন। সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসই সূচক বেড়েছে। সূচকের সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। সপ্তাহটিতে সূচকের সঙ্গে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা পৌনে ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৪২ হাজার ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫৪ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩১ কোটি ৯৪ লাখ ২৫ হাজার ৪৫৯ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ১৫ হাজার ৮৩৫ কোটি ৫৪ লাখ ৬১ হাজার ০০৫ টাকা ফিরে পেয়েছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ছয় হাজার ৪৮৮ কোটি ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৬৮৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল চার হাজার ১৬০ কোটি ৫০ লাখ ৯৪ হাজার ৮১৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন দুই হাজার ৩২৭ কোটি ৬৪ লাখ ১১ হাজার ৮৭৪ টাকা বা ৫৬ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩০.৭৯ পয়েন্ট বা ৩.৪২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৯৮৭.৪৫ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪১.০৩ পয়েন্ট বা ২.৮৭ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭০.৫০ পয়েন্ট বা ২.৭৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৭২.১৫ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৬০৩.০৯ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮২টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৮৬টির বা ৭৪.৮৭ শতাংশের, কমেছে ৮৬টির বা ২২.৫১ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির বা ২.৬২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৭৬ কোটি ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪০১ টাকার। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮২৯.১৪ পয়েন্ট বা ৪.২১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৪৯৫.২১ পয়েন্টে। সিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৪৯৭ পয়েন্ট বা ৪.২০ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৩১৮.৯২ পয়েন্ট বা ২.২৯ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৫০.৮০ পয়েন্ট বা ৩.৪৫ শতাংশ এবং সিএসআই ৫৩.৮৪ পয়েন্ট বা ৪.৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ৩১০.৪৫ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ২৩২.০৫ পয়েন্টে, এক হাজার ৫২২.৩০ পয়েন্টে এবং এক হাজার ২৬৫.২৮ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৮২টির বা ৮০.৮০ শতাংশের দর বেড়েছে, ৬২টির বা ১৭.৭৭ শতাংশের কমেছে এবং ৫টির বা ১.৪৩ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) চার শতাংশের বেশি কমেছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৭.৫৮ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৬.৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৭৭ পয়েন্ট বা ৪.৩৮ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১১.৫২ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২৭.৬৫ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৩৫.৫৩ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৭.৭৪ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৫.১০ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২৩.৫৬ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ১২.৪২ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৬৭.৪১ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.৮২ শতাংশ, চামড়া খাতের ৪৬.১২ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৫৯.৫৭ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১৪৬.৪৭ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৩২১.২৪ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৫২.৮৯ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১২.৭৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২৩.১৮ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ১০৮.৩৮ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩৫.০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।