ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ছে আশংকাজনক হারে। দিন দিন বাংলাদেশেও করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এর সঙ্গে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ দেশে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। অথচ স্বাস্থ্যবিধির ৯ দফা সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে না সৈয়দপুরের অধিকাংশ স্কুল-কলেজে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে কিনা তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনিটরিং করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা।
উপজেলার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারীদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ক্লাস চলাকালে দূরত্ববিধি মানছে না শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন শ্রেণীকক্ষে প্রতি বেঞ্চে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছেন। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের মুখে নেই মাস্ক। নির্দেশনায় থাকলেও হাতের নাগালে নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার আলাদা ব্যবস্থা। এমনকি শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার কার্যক্রম শিথিল হয়ে পড়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে মাপা হচ্ছে না শরীরের তাপমাত্রা। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে এমনভাবে পাঠদান পরিচালনা করতে হবে যাতে এক শ্রেণীর শিক্ষার্থীর সঙ্গে অন্য শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের দেখা সাক্ষাত না হয়। কিন্তু করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সমবেত হচ্ছে। বিরতিহীন পাঠদানের কথা বলা হলেও অনেক স্কুলে দেয়া হচ্ছে টিফিন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাস্ক ছাড়া জটলা করে মাঠে ও ক্লাসরুমে আড্ডা দিতেও দেখা গেছে। এমনকি ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে ফুটপাতের দোকান থেকে মুখরোচক খাবার কিনে খাচ্ছে।
একইভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই অভিভাবকদের মাঝেও। শহরের প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়ের সামনেই অভিভাবকদের ভিড়। সেখানে পাশে বসে একে অপরের সঙ্গে গল্পে মত্ত থাকছেন তারা।
সৈয়দপুর রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ রানা মাস্ক ছাড়া কোনো শিক্ষার্থীকে স্কুলে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না দাবি করে বলেন, যেসব শিক্ষার্থী মাস্ক ছাড়া স্কুলে এসেছে তাদের জন্য আমরা স্কুল থেকেই মাস্কের ব্যবস্থা করেছি। তবে সমস্যা হচ্ছে মাস্ক পরার বিষয়ে অভিভাবকরা সচেতন নয়। তারা মাস্ক ছাড়া সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। বর্তমানে স্কুলে ভর্তি কার্যক্রম চলছে তাই শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার কাজ নিয়মিত করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেহেনা ইয়াসমিন বলেন, এখন শিক্ষার্থীদের টিকা নিয়ে ব্যস্ত। স্বাস্থ্যবিধির ব্যতিক্রম হলে সুনির্দিষ্টভাবে জানালে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের জটলা করে চলা বা স্কুলের বাইরে খাবারের দোকানে ভিড় করা মূলত প্রতিষ্ঠানের আওতার মধ্যে পড়ে না। তারপরও আমরা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করব। আগামী মাসিক মিটিংয়ে এনিয়ে তাগাদা দেয়া হবে।
শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২ , ২৪ পৌষ ১৪২৮ ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ছে আশংকাজনক হারে। দিন দিন বাংলাদেশেও করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এর সঙ্গে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ দেশে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। অথচ স্বাস্থ্যবিধির ৯ দফা সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে না সৈয়দপুরের অধিকাংশ স্কুল-কলেজে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে কিনা তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনিটরিং করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা।
উপজেলার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারীদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ক্লাস চলাকালে দূরত্ববিধি মানছে না শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন শ্রেণীকক্ষে প্রতি বেঞ্চে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছেন। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের মুখে নেই মাস্ক। নির্দেশনায় থাকলেও হাতের নাগালে নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার আলাদা ব্যবস্থা। এমনকি শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার কার্যক্রম শিথিল হয়ে পড়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে মাপা হচ্ছে না শরীরের তাপমাত্রা। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে এমনভাবে পাঠদান পরিচালনা করতে হবে যাতে এক শ্রেণীর শিক্ষার্থীর সঙ্গে অন্য শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের দেখা সাক্ষাত না হয়। কিন্তু করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সমবেত হচ্ছে। বিরতিহীন পাঠদানের কথা বলা হলেও অনেক স্কুলে দেয়া হচ্ছে টিফিন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাস্ক ছাড়া জটলা করে মাঠে ও ক্লাসরুমে আড্ডা দিতেও দেখা গেছে। এমনকি ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে ফুটপাতের দোকান থেকে মুখরোচক খাবার কিনে খাচ্ছে।
একইভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই অভিভাবকদের মাঝেও। শহরের প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়ের সামনেই অভিভাবকদের ভিড়। সেখানে পাশে বসে একে অপরের সঙ্গে গল্পে মত্ত থাকছেন তারা।
সৈয়দপুর রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ রানা মাস্ক ছাড়া কোনো শিক্ষার্থীকে স্কুলে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না দাবি করে বলেন, যেসব শিক্ষার্থী মাস্ক ছাড়া স্কুলে এসেছে তাদের জন্য আমরা স্কুল থেকেই মাস্কের ব্যবস্থা করেছি। তবে সমস্যা হচ্ছে মাস্ক পরার বিষয়ে অভিভাবকরা সচেতন নয়। তারা মাস্ক ছাড়া সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। বর্তমানে স্কুলে ভর্তি কার্যক্রম চলছে তাই শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার কাজ নিয়মিত করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেহেনা ইয়াসমিন বলেন, এখন শিক্ষার্থীদের টিকা নিয়ে ব্যস্ত। স্বাস্থ্যবিধির ব্যতিক্রম হলে সুনির্দিষ্টভাবে জানালে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের জটলা করে চলা বা স্কুলের বাইরে খাবারের দোকানে ভিড় করা মূলত প্রতিষ্ঠানের আওতার মধ্যে পড়ে না। তারপরও আমরা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করব। আগামী মাসিক মিটিংয়ে এনিয়ে তাগাদা দেয়া হবে।