মাদক-চাঁদাবাজি-অপরিচ্ছন্নতাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত সিদ্ধিরগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রচার প্রচারণায় সরগরম এলাকা। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে অলিগলি। হাটে বাজারে চায়ের দোকানে প্রার্থী নিয়ে চলছে ভোটারদের বিশ্লেষণ। নারায়ণগঞ্জ সিটির সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের ৩টি ওয়ার্ড এর বাইরে নয়। এসব এলাকার প্রধান সমস্যা মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজী। এছাড়াও এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনা। এর সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে কিশোর গ্যাং।

২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১১ ও ২০১৬ সালে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এলাকার সমস্যা সমাধানে কোন ভূমিকা রাখেনি বলে অভিযোগ ভোটারদের। শুধুমাত্র নির্বাচন এলেই প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি দেখা যায়। নির্বাচনের পরে কাউকে পাওয়া যায় না। নির্বাচিতরাই নানা অপকর্মে জড়িয়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে বলে জানায় ভোটাররা। এবারও ভোটে অংশ নেয়া প্রার্থীরা নানা প্রুতিশ্রুতি দিলেও ভোটাররা তা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না। ভোটাররা এবার শিক্ষিত ও মার্জিত প্রার্থীদের নির্বাচিত করার কথা ভাবছে। ওয়ার্ড নং ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের ভোটারের সাথে কথা বলে নানা সমস্যা ও তাদের মতামত জানা যায়।

ওয়ার্ড-১ : নারায়ণগঞ্জ সিটির সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী পূর্ব অংশ ও মিজমিজি বাতেনপাড়া এলাকা নিয়ে ১নং ওয়ার্ড গঠিত। সমস্যার অন্ত নেই এ ওয়ার্ডে। ডিএনডির ভিতরে হওয়ায় ঘিঞ্জি ঘিঞ্জি ঘরবাড়ি উঠায় ঘনবসতিতে পরিণত হয়েছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট সরু ও চিকন হওয়ায় বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পাশাপাশি মশার জ¦ালাতন রয়েছে। এছাড়াও আবাসিক এলাকায় রয়েছে বিভিন্ন কারখানা যার ধোঁয়া ও বর্জ্য থেকে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। নানা রোগে ভোগছে স্থানীয়রা। এর সাথে রয়েছে ছরিয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা আবর্জনা। হিরাঝিল এলাকার আমিরুল জানান, এ এলাকার বেশিরভাগ লোক জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে। বাড়ি নির্মাণ করতে সকলকেই মোটা অংকের চাঁদা দিতে হয়েছে। আমরা সবাই এ বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রার্থী নির্বাচন করে ভোট দিব। আলআমিন নগরের বাসিন্দা ও গার্মেন্টস কর্মী শাহনাজ জানান, সড়ক পাকা হয়েছে কিন্তু বাতি নেই। তাই সন্ধ্যার পর ভয়ে ভয়ে চলতে হয়। এ সমস্যার সমাধান চাই। বাতানপাড়া এলাকার সামছুল জানান, এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী বেড়ে গেছে। উঠতি বয়সের ছেলেদের হাতে বিভিন্ন মাদক যা ভবিষ্যতের জন্য খুবই ভয়ংকর। আমরা এর প্রতিকার চাই। পাশাপাশি মশার জ¦ালাতন রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ যে নেবে তাকেই ভোট দেবেন বলে জানান।

নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, এই ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৫১ জন। এখানে ৭ প্রার্থী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। প্রার্থীরা হলেন- মাহমুদুর রহমান (লাটিম), ওমর ফারুক (ঝুড়ি), আবদুর রহিম (ঘুড়ি), জাহিদুল ইসলাম (ট্রাক্টর), আবদুল মালেক (ব্যাডমিন্টন), মাহাবুব আলম (মিষ্টিকুমড়া) এবং আনোয়ার ইসলাম (ঠেলাগাড়ি)। প্রার্থীদের প্রচারণায় সরগরম ওয়ার্ডটি। এই ওয়ার্ডের একমাত্র গ্র্যাজুয়েট প্রার্থী মাহমুদুর রহমান জানান, আমি নির্বাচিত হলে এলাকাটি মাদক ও চাঁদাবাজ মুক্ত করে একটি পরিচ্ছন্ন এলাকা গড়ে তুলব।

ওয়ার্ড-২ : মিজমিজি দক্ষিণপাড়া ও পশ্চিমপাড়া. কান্দাপাড়া ও সাহেবপাড়া নিয়ে গঠিত এই ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডেও মাদক, চাঁদাবাজি রয়েছে। এর সাথে রয়েছে ভূমিদস্যুতা। একশ্রেণীর লোক জোরপূর্বক অন্যের জমি দখলে নিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ এলাকাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাছাকাছি হওয়ায় সন্ধ্যার পর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে থাকে। রাস্তাঘাট পাকা হলেও বাতি নেই। ড্রেন পরিস্কার না থাকায় রয়েছে মশার যন্ত্রণা। পশ্চিমপাড়ার লুৎফর রহমান জানান, সড়কে বাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা লোকমান জানান, এখানে একশ্রেণির লোক অন্যের জমি দখলে নিয়ে টাকা আদায় করে থাকে। আমরা এ থেকে নিস্তার চাই। এই ওয়ার্ডে ভোটার ২০ হাজার ৭২ জন। এই ওয়ার্ডে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। এরা হলেন- ইকবাল হোসেন (লাটিম), আমিনুল হক ভূঁইয়া (ঘুড়ি), শফিকুল ইসলাম (ঝুড়ি), সামসুল আলম (করাত), কামাল হোসেন আলিম (ব্যাডমিন্টন), মো. ইসমাইল (রেডিও), সোহরাব হোসেন (মিষ্টিকুমড়া) এবং সুলতান গিয়াস উদ্দিন (এয়ার কন্ডিশনার)।

ওয়ার্ড-৩ : নিমাইকাশারী, নয়াআটি, বাঘমারা, সানারপাড় নিয়ে এই ওয়ার্ড গঠিত। এখানে ভোটার ২২ হাজার ৮২৭ জন। এই ওয়ার্ডের মূল সমস্যা মাদক, চাঁদাবাজি এবং ভূমি দস্যু। এছাড়াও এ ওয়ার্ডেও বিভিন্ন সড়কে রয়েছে ময়লা আবর্জনা। এর সাথে রয়েছে সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং, ছিনতাই, জমি দখল বেড়েই চলেছে। এ ওয়ার্ডের বাসিন্দা সালাম জানান, এখানে কবরস্থান নেই। অন্য এলাকায় গিয়ে লাশ দাফন করতে হয়। নির্বাচনে এই ওয়ার্ড থেকে ৭ জন প্রার্থী রয়েছেন। এরা হলেন- শাহজালাল বাদল (ঠেলাগাড়ি), তোফায়েল হোসেন (ঘুড়ি), এ আর ফররুখ আহমাদ (রেডিও), চাঁদনী আক্তার জ্যোতি (ঝুড়ি), আলমগীর (লাটিম) এবং মো. ইরান (মিষ্টিকুমড়া)। প্রার্থী শাহজালাল বাদল আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির দ- পাওয়া আসামি নূর হোসেনের ভাতিজা। এই ওয়ার্ডের একমাত্র এমফিল ও বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ প্রাপ্ত প্রার্থী এ আর ফররুখ জানান, আমি নির্বাচিত হলে এলাকার মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি বন্ধ করাসহ স্থানীয় বিরোধ নিষ্পত্তিতে কাউন্সিল গঠন করে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করব।

image

গুরুদাসপুর (নাটোর) : আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন করায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর করে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা -সংবাদ

আরও খবর
সৈয়দপুরে স্কুল-কলেজে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত
কিশোরী ধর্ষণ-পর্নোগ্রাফি আসামি ধরছে না পুলিশ
নলছিটিতে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জে নতুন করোনা শনাক্ত ২
চুনারুঘাটে মেছো বাঘের আক্রমণে নারীসহ আহত ৫
দিনাজপুরে মহারাজা স্কুলে মাইন ট্র্যাজেডি দিবস
স্কাউটিং করে শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে শিক্ষামন্ত্রী
চুনারুঘাটে জামানত হারালেন ১৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী
পোরশায় ভোটযুদ্ধে বিজয়ী স্বামী পরাজিত স্ত্রী
মেছোবাঘের শাবক উদ্ধার
শিশু ধর্ষণের ১৭ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ

শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২ , ২৪ পৌষ ১৪২৮ ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

মাদক-চাঁদাবাজি-অপরিচ্ছন্নতাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত সিদ্ধিরগঞ্জ

প্রতিনিধি, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

image

গুরুদাসপুর (নাটোর) : আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন করায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর করে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা -সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রচার প্রচারণায় সরগরম এলাকা। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে অলিগলি। হাটে বাজারে চায়ের দোকানে প্রার্থী নিয়ে চলছে ভোটারদের বিশ্লেষণ। নারায়ণগঞ্জ সিটির সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের ৩টি ওয়ার্ড এর বাইরে নয়। এসব এলাকার প্রধান সমস্যা মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজী। এছাড়াও এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনা। এর সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে কিশোর গ্যাং।

২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১১ ও ২০১৬ সালে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এলাকার সমস্যা সমাধানে কোন ভূমিকা রাখেনি বলে অভিযোগ ভোটারদের। শুধুমাত্র নির্বাচন এলেই প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি দেখা যায়। নির্বাচনের পরে কাউকে পাওয়া যায় না। নির্বাচিতরাই নানা অপকর্মে জড়িয়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে বলে জানায় ভোটাররা। এবারও ভোটে অংশ নেয়া প্রার্থীরা নানা প্রুতিশ্রুতি দিলেও ভোটাররা তা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না। ভোটাররা এবার শিক্ষিত ও মার্জিত প্রার্থীদের নির্বাচিত করার কথা ভাবছে। ওয়ার্ড নং ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের ভোটারের সাথে কথা বলে নানা সমস্যা ও তাদের মতামত জানা যায়।

ওয়ার্ড-১ : নারায়ণগঞ্জ সিটির সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী পূর্ব অংশ ও মিজমিজি বাতেনপাড়া এলাকা নিয়ে ১নং ওয়ার্ড গঠিত। সমস্যার অন্ত নেই এ ওয়ার্ডে। ডিএনডির ভিতরে হওয়ায় ঘিঞ্জি ঘিঞ্জি ঘরবাড়ি উঠায় ঘনবসতিতে পরিণত হয়েছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট সরু ও চিকন হওয়ায় বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পাশাপাশি মশার জ¦ালাতন রয়েছে। এছাড়াও আবাসিক এলাকায় রয়েছে বিভিন্ন কারখানা যার ধোঁয়া ও বর্জ্য থেকে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। নানা রোগে ভোগছে স্থানীয়রা। এর সাথে রয়েছে ছরিয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা আবর্জনা। হিরাঝিল এলাকার আমিরুল জানান, এ এলাকার বেশিরভাগ লোক জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে। বাড়ি নির্মাণ করতে সকলকেই মোটা অংকের চাঁদা দিতে হয়েছে। আমরা সবাই এ বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রার্থী নির্বাচন করে ভোট দিব। আলআমিন নগরের বাসিন্দা ও গার্মেন্টস কর্মী শাহনাজ জানান, সড়ক পাকা হয়েছে কিন্তু বাতি নেই। তাই সন্ধ্যার পর ভয়ে ভয়ে চলতে হয়। এ সমস্যার সমাধান চাই। বাতানপাড়া এলাকার সামছুল জানান, এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী বেড়ে গেছে। উঠতি বয়সের ছেলেদের হাতে বিভিন্ন মাদক যা ভবিষ্যতের জন্য খুবই ভয়ংকর। আমরা এর প্রতিকার চাই। পাশাপাশি মশার জ¦ালাতন রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ যে নেবে তাকেই ভোট দেবেন বলে জানান।

নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, এই ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৫১ জন। এখানে ৭ প্রার্থী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। প্রার্থীরা হলেন- মাহমুদুর রহমান (লাটিম), ওমর ফারুক (ঝুড়ি), আবদুর রহিম (ঘুড়ি), জাহিদুল ইসলাম (ট্রাক্টর), আবদুল মালেক (ব্যাডমিন্টন), মাহাবুব আলম (মিষ্টিকুমড়া) এবং আনোয়ার ইসলাম (ঠেলাগাড়ি)। প্রার্থীদের প্রচারণায় সরগরম ওয়ার্ডটি। এই ওয়ার্ডের একমাত্র গ্র্যাজুয়েট প্রার্থী মাহমুদুর রহমান জানান, আমি নির্বাচিত হলে এলাকাটি মাদক ও চাঁদাবাজ মুক্ত করে একটি পরিচ্ছন্ন এলাকা গড়ে তুলব।

ওয়ার্ড-২ : মিজমিজি দক্ষিণপাড়া ও পশ্চিমপাড়া. কান্দাপাড়া ও সাহেবপাড়া নিয়ে গঠিত এই ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডেও মাদক, চাঁদাবাজি রয়েছে। এর সাথে রয়েছে ভূমিদস্যুতা। একশ্রেণীর লোক জোরপূর্বক অন্যের জমি দখলে নিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ এলাকাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাছাকাছি হওয়ায় সন্ধ্যার পর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে থাকে। রাস্তাঘাট পাকা হলেও বাতি নেই। ড্রেন পরিস্কার না থাকায় রয়েছে মশার যন্ত্রণা। পশ্চিমপাড়ার লুৎফর রহমান জানান, সড়কে বাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা লোকমান জানান, এখানে একশ্রেণির লোক অন্যের জমি দখলে নিয়ে টাকা আদায় করে থাকে। আমরা এ থেকে নিস্তার চাই। এই ওয়ার্ডে ভোটার ২০ হাজার ৭২ জন। এই ওয়ার্ডে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। এরা হলেন- ইকবাল হোসেন (লাটিম), আমিনুল হক ভূঁইয়া (ঘুড়ি), শফিকুল ইসলাম (ঝুড়ি), সামসুল আলম (করাত), কামাল হোসেন আলিম (ব্যাডমিন্টন), মো. ইসমাইল (রেডিও), সোহরাব হোসেন (মিষ্টিকুমড়া) এবং সুলতান গিয়াস উদ্দিন (এয়ার কন্ডিশনার)।

ওয়ার্ড-৩ : নিমাইকাশারী, নয়াআটি, বাঘমারা, সানারপাড় নিয়ে এই ওয়ার্ড গঠিত। এখানে ভোটার ২২ হাজার ৮২৭ জন। এই ওয়ার্ডের মূল সমস্যা মাদক, চাঁদাবাজি এবং ভূমি দস্যু। এছাড়াও এ ওয়ার্ডেও বিভিন্ন সড়কে রয়েছে ময়লা আবর্জনা। এর সাথে রয়েছে সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং, ছিনতাই, জমি দখল বেড়েই চলেছে। এ ওয়ার্ডের বাসিন্দা সালাম জানান, এখানে কবরস্থান নেই। অন্য এলাকায় গিয়ে লাশ দাফন করতে হয়। নির্বাচনে এই ওয়ার্ড থেকে ৭ জন প্রার্থী রয়েছেন। এরা হলেন- শাহজালাল বাদল (ঠেলাগাড়ি), তোফায়েল হোসেন (ঘুড়ি), এ আর ফররুখ আহমাদ (রেডিও), চাঁদনী আক্তার জ্যোতি (ঝুড়ি), আলমগীর (লাটিম) এবং মো. ইরান (মিষ্টিকুমড়া)। প্রার্থী শাহজালাল বাদল আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির দ- পাওয়া আসামি নূর হোসেনের ভাতিজা। এই ওয়ার্ডের একমাত্র এমফিল ও বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ প্রাপ্ত প্রার্থী এ আর ফররুখ জানান, আমি নির্বাচিত হলে এলাকার মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি বন্ধ করাসহ স্থানীয় বিরোধ নিষ্পত্তিতে কাউন্সিল গঠন করে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করব।