নাইক্ষ্যংছড়িতে উদ্ধার করা অবৈধ অস্ত্রগুলো কাদের, গন্তব্য কোথায়?

বছরের শুরুতে ফের অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে পার্বত্যজেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির গভীর জঙ্গল থেকে। গতকাল ভোরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব ১৫) বিশেষ অভিযানে ২টি বিদেশি পিস্তল এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বন্দুক এবং গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অস্ত্রগুলো বহনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া ৪ রোহিঙ্গা যুবককেও আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেনÑ মোহাম্মদ নূর (৩২), নাজিমুল্লাহ (৩৪), মো. আমান উল্লাহ (২৩) এবং মো. খাইরুল আমিন (১৯)। তারা সবাই কক্সবাজার উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা। এদিকে নাইক্ষ্যংছড়িতে উদ্ধার অস্ত্রগুলো কাদের কাছ থেকে আনা হয়েছে, গন্তব্য কোথায় ছিল সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলেনি র‌্যাব। অন্য সংস্থাগুলো বলছে, এসব অস্ত্র পার্বত্য অঞ্চলের সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে এসেছে। এসব অস্ত্র পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহার হয়। এমনো হতে পারে অস্ত্র চোরাচালানের জন্য মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে মূল হোতারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকে।

র‌্যাব সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন টেলিফোনে সংবাদকে জানান, নাইক্ষ্যংছড়িতে র‌্যাবের অভিযানে যে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তার মূল সরবরাহকারী কারা, এসব অস্ত্র কাদের মাধ্যমে এসেছে সে বিষয়ে তদন্ত করছে র‌্যাব। অস্ত্রগুলো উদ্ধারের সময় আটক হওয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়েও খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে অভ্যন্তরীণ আধিপত্য, টেকনাফ কেন্দ্রিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিভিন্ন সময়ে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী বাহিনী নানাভাবে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ করছে বলেও তথ্য রয়েছে। এসব অস্ত্র পার্বত্য অঞ্চলের সীমান্তসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের কাছে আসছে।

এছাড়া পার্বত্য অঞ্চল কেন্দ্রিক বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছেও অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। পার্বত্য অঞ্চল কেন্দ্রিক সন্ত্রাসী বাহিনীগুলো এখণ অস্ত্র ও মাদকের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের সঙ্গে পার্বত্য অঞ্চল কেন্দ্রিক কোন সন্ত্রাসী বাহিনীর কি-না বা এসব অস্ত্রের জন্য রোহিঙ্গাদের বহনকারী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কি-না এটি তদন্ত করা হচ্ছে।

কক্সবাজার র?্যাব-১৫-এর উপ-অধিনায়ক তানভীর হাসান বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রুর গহীন অরণ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এসময় মাটিতে পুঁতে রাখা ১টি বিদেশি পিস্তল, ২ টি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পিস্তল, ১টি স্টেনগান ও ৩টি দেশীয় তৈরি অস্ত্রসহ বেশ কিছু গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। র‌্যাব বলছে, পার্বত্য অঞ্চল এবং আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য অস্ত্রগুলো মজুদ করা হয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্র সীমান্ত পথ পার হয়ে মায়ানমার থেকে আনা হয়েছে। এসব অস্ত্র পার্বত্য অঞ্চলের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কতৃক আমদানি করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা। অস্ত্রগুলো লাকড়ির মধ্যে করে পাচার করার সময় অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। র‌্যাব জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চল কেন্দ্রিক কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী রয়েছে যারা পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সময়ে মজুদ করে থাকে। এছাড়া এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অবৈধ অস্ত্র বিক্রির সঙ্গেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পার্বত্য অঞ্চল থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যদের।

র‌্যাব বলছে, তাদের কাছে তথ্য ছিল নাইক্ষ্যংছড়ির বালুখালি গভীর জঙ্গলে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রুপের কার্যক্রম চলছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৬ জানুয়ারি থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির বালুখালির একটি রাবার বাগানে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। টার্গেট অঞ্চলকে ঘিরে রেখে অভিযানে নামে র‌্যাব। অভিযানের সময় প্রথমে দুই যুবককে মাথায় লাকড়ি নিয়ে পাহাড়ি অঞ্চলে যাতায়াত করতে দেখা যায়। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে চ্যালেঞ্জ করে র‌্যাব। এক পর্যায়ে ৪ যুবককে আটক করে লাকড়ির বোঝাগুলো খুলে লাকড়ির মধ্যে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়া যায়। পরে তাদের আটক করা হয়। র‌্যাব বলছে, তারা ধারণা করছে পার্বত্য অঞ্চল ছাড়াও পাশ্বর্বর্তী রোহিঙ্গা ক্য্যাম্পকে ঘিরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে অস্ত্রগুলো মজুদ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হতে পারে। যে চার রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয়েছে তারা নাইক্ষ্যংছড়ির অদূরে কক্সবাজারের উখিয়ার একটি ক্যাম্পের বাসিন্দা। রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচিত এসব মায়ানমার নাগরিকদের সঙ্গে পার্বত্য অঞ্চলের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর যোগসূত্র আছে কি-না সে বিষয়ে র‌্যাব তদন্ত শুরু করেছে।

র‌্যাব বলছে, সম্প্রতি রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলছে রোহিঙ্গা বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। ওইসব অস্ত্রে নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে গোলাগুলি এবং হত্যকাণ্ডের ঘটনাও ঘটছে। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই কাজের জন্য অবৈধ অস্ত্রের মজুদ বেড়েছে। অবৈধ অস্ত্রের মজুদ গড়তে পার্বত্য অঞ্চলের সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় অথবা অস্ত্রগুলো তাদের কাছ থেকেও কেনা হতে পারে। সার্বিক বিষয়গুলো তদন্তে উঠে আসবে।

শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২ , ২৪ পৌষ ১৪২৮ ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

নাইক্ষ্যংছড়িতে উদ্ধার করা অবৈধ অস্ত্রগুলো কাদের, গন্তব্য কোথায়?

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক/ প্রতিনিধি বান্দরবান

image

বছরের শুরুতে ফের অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে পার্বত্যজেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির গভীর জঙ্গল থেকে। গতকাল ভোরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব ১৫) বিশেষ অভিযানে ২টি বিদেশি পিস্তল এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বন্দুক এবং গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অস্ত্রগুলো বহনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া ৪ রোহিঙ্গা যুবককেও আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেনÑ মোহাম্মদ নূর (৩২), নাজিমুল্লাহ (৩৪), মো. আমান উল্লাহ (২৩) এবং মো. খাইরুল আমিন (১৯)। তারা সবাই কক্সবাজার উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা। এদিকে নাইক্ষ্যংছড়িতে উদ্ধার অস্ত্রগুলো কাদের কাছ থেকে আনা হয়েছে, গন্তব্য কোথায় ছিল সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলেনি র‌্যাব। অন্য সংস্থাগুলো বলছে, এসব অস্ত্র পার্বত্য অঞ্চলের সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে এসেছে। এসব অস্ত্র পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহার হয়। এমনো হতে পারে অস্ত্র চোরাচালানের জন্য মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে মূল হোতারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকে।

র‌্যাব সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন টেলিফোনে সংবাদকে জানান, নাইক্ষ্যংছড়িতে র‌্যাবের অভিযানে যে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তার মূল সরবরাহকারী কারা, এসব অস্ত্র কাদের মাধ্যমে এসেছে সে বিষয়ে তদন্ত করছে র‌্যাব। অস্ত্রগুলো উদ্ধারের সময় আটক হওয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়েও খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে অভ্যন্তরীণ আধিপত্য, টেকনাফ কেন্দ্রিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিভিন্ন সময়ে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী বাহিনী নানাভাবে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ করছে বলেও তথ্য রয়েছে। এসব অস্ত্র পার্বত্য অঞ্চলের সীমান্তসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের কাছে আসছে।

এছাড়া পার্বত্য অঞ্চল কেন্দ্রিক বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছেও অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। পার্বত্য অঞ্চল কেন্দ্রিক সন্ত্রাসী বাহিনীগুলো এখণ অস্ত্র ও মাদকের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের সঙ্গে পার্বত্য অঞ্চল কেন্দ্রিক কোন সন্ত্রাসী বাহিনীর কি-না বা এসব অস্ত্রের জন্য রোহিঙ্গাদের বহনকারী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কি-না এটি তদন্ত করা হচ্ছে।

কক্সবাজার র?্যাব-১৫-এর উপ-অধিনায়ক তানভীর হাসান বলেন, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রুর গহীন অরণ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এসময় মাটিতে পুঁতে রাখা ১টি বিদেশি পিস্তল, ২ টি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পিস্তল, ১টি স্টেনগান ও ৩টি দেশীয় তৈরি অস্ত্রসহ বেশ কিছু গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। র‌্যাব বলছে, পার্বত্য অঞ্চল এবং আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য অস্ত্রগুলো মজুদ করা হয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্র সীমান্ত পথ পার হয়ে মায়ানমার থেকে আনা হয়েছে। এসব অস্ত্র পার্বত্য অঞ্চলের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কতৃক আমদানি করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা। অস্ত্রগুলো লাকড়ির মধ্যে করে পাচার করার সময় অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। র‌্যাব জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চল কেন্দ্রিক কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী রয়েছে যারা পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সময়ে মজুদ করে থাকে। এছাড়া এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অবৈধ অস্ত্র বিক্রির সঙ্গেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পার্বত্য অঞ্চল থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যদের।

র‌্যাব বলছে, তাদের কাছে তথ্য ছিল নাইক্ষ্যংছড়ির বালুখালি গভীর জঙ্গলে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রুপের কার্যক্রম চলছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৬ জানুয়ারি থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির বালুখালির একটি রাবার বাগানে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। টার্গেট অঞ্চলকে ঘিরে রেখে অভিযানে নামে র‌্যাব। অভিযানের সময় প্রথমে দুই যুবককে মাথায় লাকড়ি নিয়ে পাহাড়ি অঞ্চলে যাতায়াত করতে দেখা যায়। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে চ্যালেঞ্জ করে র‌্যাব। এক পর্যায়ে ৪ যুবককে আটক করে লাকড়ির বোঝাগুলো খুলে লাকড়ির মধ্যে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়া যায়। পরে তাদের আটক করা হয়। র‌্যাব বলছে, তারা ধারণা করছে পার্বত্য অঞ্চল ছাড়াও পাশ্বর্বর্তী রোহিঙ্গা ক্য্যাম্পকে ঘিরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে অস্ত্রগুলো মজুদ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হতে পারে। যে চার রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয়েছে তারা নাইক্ষ্যংছড়ির অদূরে কক্সবাজারের উখিয়ার একটি ক্যাম্পের বাসিন্দা। রোহিঙ্গা হিসেবে পরিচিত এসব মায়ানমার নাগরিকদের সঙ্গে পার্বত্য অঞ্চলের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর যোগসূত্র আছে কি-না সে বিষয়ে র‌্যাব তদন্ত শুরু করেছে।

র‌্যাব বলছে, সম্প্রতি রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলছে রোহিঙ্গা বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। ওইসব অস্ত্রে নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে গোলাগুলি এবং হত্যকাণ্ডের ঘটনাও ঘটছে। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই কাজের জন্য অবৈধ অস্ত্রের মজুদ বেড়েছে। অবৈধ অস্ত্রের মজুদ গড়তে পার্বত্য অঞ্চলের সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় অথবা অস্ত্রগুলো তাদের কাছ থেকেও কেনা হতে পারে। সার্বিক বিষয়গুলো তদন্তে উঠে আসবে।